০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘চাইলেই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে শিক্ষা কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়’

  • Voice24 Admin
  • Update Time : ১২:০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৪১ Time View

শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, চাইলেই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে শিক্ষা কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর আমরা করে গেলেও ভবিষ্যৎ সরকার এটি রাখবে কী না, তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। 

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সব কিছু শিক্ষা কমিশনের ওপর থাকলে সমাধান হবে, তা সঠিক নয়। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর একেবারেই কিছু হচ্ছে না—তা সঠিক নয়। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভিন্ন কার্যক্রম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন।

তিনি বলেন, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সরকার বসে থাকেনি। ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে ভিসি নিয়োগ হয়েছে। সেখানে লোকাল প্রশাসন ও লোকাল পলিটিক্সের প্রভাব রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু স্বাভাবিক করার। এখনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুমের সংস্কৃতি থাকলে এটি বন্ধ করতে হবে। নতুনরা হলে থাকবে। আর সিনিয়ররা সাময়িক বাইরে থাকবে। এই উদারতা শুরু করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য এখনও পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কাঠামোর জন্য ঠিকই বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাদারি মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতার কারণে পাবলিক শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই প্রথা বন্ধ করতে হবে। 

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম না থাকাকে জুলাই আন্দোলনের সাফল্য বলে মনে করেন তিনি। 

আনু মুহাম্মদ বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন থেকে সত্যেন বসু, জগদীশ চন্দ্র বসু ও তাজ উদ্দিনের নাম পরিবর্তন করার কথা বলছেন, তারা শুধু ভিসি নয় শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।

সেমিনারে যৌথ সঞ্চালনা করেন ড. কাজী মারুফুল ইসলাম ও কাব্য কৃত্তিকা। বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক তাহমিনা খানম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অলিউর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুস্মিন আফসানা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শার্মি হোসেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার শিক্ষক অভিন্যু কিবরিয়া এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কাজী ফরিদ। 

ট্যাগঃ

‘চাইলেই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে শিক্ষা কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়’

Update Time : ১২:০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, চাইলেই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে শিক্ষা কমিশন গঠন করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর আমরা করে গেলেও ভবিষ্যৎ সরকার এটি রাখবে কী না, তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। 

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সব কিছু শিক্ষা কমিশনের ওপর থাকলে সমাধান হবে, তা সঠিক নয়। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর একেবারেই কিছু হচ্ছে না—তা সঠিক নয়। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভিন্ন কার্যক্রম সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন।

তিনি বলেন, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য সরকার বসে থাকেনি। ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে ভিসি নিয়োগ হয়েছে। সেখানে লোকাল প্রশাসন ও লোকাল পলিটিক্সের প্রভাব রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু স্বাভাবিক করার। এখনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুমের সংস্কৃতি থাকলে এটি বন্ধ করতে হবে। নতুনরা হলে থাকবে। আর সিনিয়ররা সাময়িক বাইরে থাকবে। এই উদারতা শুরু করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য এখনও পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কাঠামোর জন্য ঠিকই বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাদারি মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতার কারণে পাবলিক শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই প্রথা বন্ধ করতে হবে। 

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম না থাকাকে জুলাই আন্দোলনের সাফল্য বলে মনে করেন তিনি। 

আনু মুহাম্মদ বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন থেকে সত্যেন বসু, জগদীশ চন্দ্র বসু ও তাজ উদ্দিনের নাম পরিবর্তন করার কথা বলছেন, তারা শুধু ভিসি নয় শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন।

সেমিনারে যৌথ সঞ্চালনা করেন ড. কাজী মারুফুল ইসলাম ও কাব্য কৃত্তিকা। বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুশাদ ফরিদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক তাহমিনা খানম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অলিউর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুস্মিন আফসানা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শার্মি হোসেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার শিক্ষক অভিন্যু কিবরিয়া এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কাজী ফরিদ।