১২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গভীর চক্রান্ত চলছে: রিজভী

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৭ Time View

বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পাহাড়ে হঠাৎ অশান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয় মানুষকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলছে এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে। এই সময়েই গার্মেন্টস সেক্টরেও অশান্তির চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা মনে করেন, এসব কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়— প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে কোনও না কোনও চক্র জড়িত রয়েছে। এমনকি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গভীর চক্রান্ত চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশবিরোধী যদি কোনও চক্রান্ত বা মাস্টারপ্ল্যান থেকে থাকে, কোনও অশুভ পরিকল্পনা থেকে থাকে, তাহলে আমাদের সবাইকে তা ব্যর্থ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘জামায়াতের এক নেতার বক্তব্যে মানুষকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে। পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের আক্রমণ করতে পারে, যুদ্ধ হতে পারে— এই কথাগুলো কেন আসছে? এটা কি কোনও পাতানো বিষয়? হ্যাঁ, আমাদের অনেক অমীমাংসিত বিষয় আছে— পানি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি। এসব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু আক্রমণের আশঙ্কা কেন ছড়ানো হচ্ছে? এটাও মানুষকে ভাবাচ্ছে যে, বিষয়টি কি পরিকল্পিত?” এমন বক্তব্য দেশের জন্য বিপজ্জনক ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ববিরোধী।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একসময় একটি ফ্যাসিবাদের পতন দেখেছি। কিন্তু আজ আবারও নতুন করে মাটির ভেতর থেকে, পাতাল থেকে, আরেকটি ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কি না— সেটি আজ মানুষের মনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু কর্মকাণ্ড সে আশঙ্কাকে উসকে দিচ্ছে। জামায়াত নেতার ভারতের সাঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণার; কথার পেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। বড় ধরনের কোনও গেম প্ল্যান কি না তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। জামায়াত একটি ভয়ংকর নীলনকশার মধ্যে রয়েছে। এটা রাষ্ট্রবিরোধী কথা। দেশের স্বার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার ইঙ্গিত রয়েছে।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এই উৎসব অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। এই উৎসবকে ঘিরে যেমন নানা ধরনের অপতৎপরতা রয়েছে, তেমনি আমরা চাই, উৎসবটি যেন কোনও ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্ন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এজন্য আমরা সবাই সতর্ক আছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে বিএনপির নেতাকর্মীরা নজরদারি করছে এবং নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং পূজা নির্বিঘ্নে পালনের বিষয়ে বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন।’

 

রিজভী বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্তকারী সক্রিয় রয়েছে, যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে জাতিগত সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এসব চক্রান্ত প্রতিহত করতে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের এই উৎসবগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করুন। কেউ যাতে উসকানিমূলক কিছু করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য (দফতর সংযুক্ত)আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগঃ

দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গভীর চক্রান্ত চলছে: রিজভী

সময়ঃ ১২:০৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পাহাড়ে হঠাৎ অশান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয় মানুষকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলছে এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে। এই সময়েই গার্মেন্টস সেক্টরেও অশান্তির চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা মনে করেন, এসব কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়— প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে কোনও না কোনও চক্র জড়িত রয়েছে। এমনকি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গভীর চক্রান্ত চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশবিরোধী যদি কোনও চক্রান্ত বা মাস্টারপ্ল্যান থেকে থাকে, কোনও অশুভ পরিকল্পনা থেকে থাকে, তাহলে আমাদের সবাইকে তা ব্যর্থ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘জামায়াতের এক নেতার বক্তব্যে মানুষকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে। পার্শ্ববর্তী দেশ আমাদের আক্রমণ করতে পারে, যুদ্ধ হতে পারে— এই কথাগুলো কেন আসছে? এটা কি কোনও পাতানো বিষয়? হ্যাঁ, আমাদের অনেক অমীমাংসিত বিষয় আছে— পানি, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি। এসব বিষয় আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু আক্রমণের আশঙ্কা কেন ছড়ানো হচ্ছে? এটাও মানুষকে ভাবাচ্ছে যে, বিষয়টি কি পরিকল্পিত?” এমন বক্তব্য দেশের জন্য বিপজ্জনক ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ববিরোধী।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একসময় একটি ফ্যাসিবাদের পতন দেখেছি। কিন্তু আজ আবারও নতুন করে মাটির ভেতর থেকে, পাতাল থেকে, আরেকটি ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কি না— সেটি আজ মানুষের মনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু কর্মকাণ্ড সে আশঙ্কাকে উসকে দিচ্ছে। জামায়াত নেতার ভারতের সাঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণার; কথার পেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। বড় ধরনের কোনও গেম প্ল্যান কি না তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। জামায়াত একটি ভয়ংকর নীলনকশার মধ্যে রয়েছে। এটা রাষ্ট্রবিরোধী কথা। দেশের স্বার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার ইঙ্গিত রয়েছে।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এই উৎসব অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। এই উৎসবকে ঘিরে যেমন নানা ধরনের অপতৎপরতা রয়েছে, তেমনি আমরা চাই, উৎসবটি যেন কোনও ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্ন ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এজন্য আমরা সবাই সতর্ক আছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে বিএনপির নেতাকর্মীরা নজরদারি করছে এবং নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং পূজা নির্বিঘ্নে পালনের বিষয়ে বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন।’

 

রিজভী বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্তকারী সক্রিয় রয়েছে, যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে জাতিগত সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এসব চক্রান্ত প্রতিহত করতে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের এই উৎসবগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করুন। কেউ যাতে উসকানিমূলক কিছু করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’

এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য (দফতর সংযুক্ত)আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।