১২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরে চিকিৎসক হত্যারহস্য উদ্ঘাটন, সাবেক কর্মচারী গ্রেফতার

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৪ Time View

নাটোরে চিকিৎসক ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালের সাবেক এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল শহরের মাদ্রাসা মোড়ের জনসেবা ক্লিনিকে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘটনার পর থেকে তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে হাসপাতালের স্টাফ আসাদুল ইসলাম আসাদকে মূল আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আসাদ ডা. আমিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন জনসেবা ক্লিনিকে। হাসপাতালের এক নারী স্টাফের সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে ডা. আমিরুলের সঙ্গে আসাদের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গত ২৫ আগস্ট আসাদকে ডা. আমিরুল মারধর করেন এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন।

এরপর আসাদ ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় বোরকা পরে ডা. আমিরুল ইসলামের চেম্বারের কক্ষে প্রবেশ করে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। রাত ১টার দিকে ডাক্তার নিজের কক্ষে ফিরে আসেন এবং ওষুধ সেবন শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ডা. আমিরুলকে আসাদ হত্যা করে সকাল সোয়া ৬টার দিকে ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে যায়।

এসপি আরও বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর থেকেই প্রযুক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করেছি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মূল আসামি আসাদকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আসাদ দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করায় ডা. আমিরুল ইসলামের চলাফেরা ও অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতো। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরেই সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’

প্রসঙ্গত, সোমবার নাটোর শহরের জনসেবা ক্লিনিক থেকে ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম নামে ওই চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই ক্লিনিকের মালিক।

ট্যাগঃ

নাটোরে চিকিৎসক হত্যারহস্য উদ্ঘাটন, সাবেক কর্মচারী গ্রেফতার

সময়ঃ ১২:০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটোরে চিকিৎসক ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালের সাবেক এক কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল শহরের মাদ্রাসা মোড়ের জনসেবা ক্লিনিকে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘটনার পর থেকে তথ্য ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে হাসপাতালের স্টাফ আসাদুল ইসলাম আসাদকে মূল আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আসাদ ডা. আমিরুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন জনসেবা ক্লিনিকে। হাসপাতালের এক নারী স্টাফের সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে ডা. আমিরুলের সঙ্গে আসাদের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গত ২৫ আগস্ট আসাদকে ডা. আমিরুল মারধর করেন এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন।

এরপর আসাদ ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় বোরকা পরে ডা. আমিরুল ইসলামের চেম্বারের কক্ষে প্রবেশ করে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। রাত ১টার দিকে ডাক্তার নিজের কক্ষে ফিরে আসেন এবং ওষুধ সেবন শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ডা. আমিরুলকে আসাদ হত্যা করে সকাল সোয়া ৬টার দিকে ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে যায়।

এসপি আরও বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর থেকেই প্রযুক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করেছি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মূল আসামি আসাদকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আসাদ দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করায় ডা. আমিরুল ইসলামের চলাফেরা ও অভ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতো। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরেই সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’

প্রসঙ্গত, সোমবার নাটোর শহরের জনসেবা ক্লিনিক থেকে ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম নামে ওই চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই ক্লিনিকের মালিক।