০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিডওয়াইফারি সোসাইটির নবনির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৫ Time View

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ (ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ) বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির (বিএমএস) নবনির্বাচিত ২০২৫ সালের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা জানিয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

নবনির্বাচিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন—রুজিনা খাতুন (প্রেসিডেন্ট), আফসানা আক্তার (ভাইস-প্রেসিডেন্ট), হাসনা আক্তার (জেনারেল সেক্রেটারি), বকুল আক্তার লিজা (এডুকেশন সেক্রেটারি), সংগীতা সাহা প্রেমা (ট্রেজারার), রিমা আক্তার (এক্সেকিউটিভ মেম্বার), আয়েশা বেগম (এক্সেকিউটিভ মেম্বার) এবং তাসলিমা আক্তার (এক্সেকিউটিভ মেম্বার)।

ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ–এর মিডওয়াইফারি এডুকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান শারমিন রহমান নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজকের আয়োজনে উপস্থিত হতে পেরে আমরা সম্মানিত। আপনাদের এই নির্বাচন, শুধুমাত্র আপনাদের ব্যক্তিগত স্বীকৃতি নয়—বরং দেশের সব মিডওয়াইফদের আস্থা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন। প্রমাণভিত্তিক সেবা, আন্তঃপেশাগত সহযোগিতা এবং মিডওয়াইফদের পূর্ণ কর্ম-পরিধি অনুযায়ী কাজের সুযোগ নিশ্চিত করতে পারলে মাতৃস্বাস্থ্য ও নবজাতকের স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পারে।

তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা, সুষ্ঠু নিয়োগ, পদোন্নতি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আপনাদের নেতৃত্ব বাংলাদেশের মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারির অতিরিক্ত পরিচালক (মিডওয়াইফারি) খানা রাণী বড়ই, নবনির্বাচিত নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মিডওয়াইফদের গ্রহণযোগ্যতা দেশে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা এখন মাতৃ–নবজাতক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

ইউএনএফপিএ’র ন্যাশনাল মিডওয়াইফারি অফিসার রওশন আরা মিডওয়াইফদের নেতাদের প্রশংসা করে বলেন, দেশে মিডওয়াইফারি পদের সংখ্যা ও কর্মপরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে দক্ষ মিডওয়াইফারি নেতৃগোষ্ঠী তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ জানান।  

বিএমএস’র প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নারীপক্ষের প্রতিনিধি সামিয়া আফরিন নির্বাচিত সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মিডওয়াইফরা আর অবহেলিত নন—তারা এখন ফ্রন্টলাইন হিরো। তিনি নারীদের আরও সক্রিয়ভাবে নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বিএমএস সভাপতি রুজিনা খাতুন তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হলো সারা দেশে মিডওয়াইফারি–নেতৃত্বাধীন সেবা বিস্তারে কাজ করা এবং  মিডওয়াইফারি লেড কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি মিডওয়াইফদের দক্ষতা ও ক্যারিয়ার অগ্রগতির জন্য পোস্ট–বেসিক মিডওয়াইফারি প্রোগ্রাম চালুকরণ দেশের সব শ্রম–কক্ষে সঠিক প্রোটোকল ও মান নিশ্চিত করাও আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রত্যেক মা ও নবজাতকের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও প্রমাণভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।

ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ ডিন ড. লরা রাইখেনব্যাক বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে মিডওয়াইফারি শিক্ষা ও নেতৃত্ব উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিএমএস দেশের মিডওয়াইফদের জন্য একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে পারে মিডওয়াইফরা—মান উন্নয়ন, পেশাগত অধিকার এবং সেবার মানোন্নয়নে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০১৩ সাল থেকে ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ মিডওয়াইফদের শিক্ষা প্রদান করে আসছে, যা জাতীয় মিডওয়াইফারি জনশক্তিকে শক্তিশালী করছে। বিএমএস, সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করতে পারবো।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

মিডওয়াইফারি সোসাইটির নবনির্বাচিত সদস্যদের সংবর্ধনা

সময়ঃ ১২:০০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ (ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ) বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির (বিএমএস) নবনির্বাচিত ২০২৫ সালের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সংবর্ধনা জানিয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

নবনির্বাচিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন—রুজিনা খাতুন (প্রেসিডেন্ট), আফসানা আক্তার (ভাইস-প্রেসিডেন্ট), হাসনা আক্তার (জেনারেল সেক্রেটারি), বকুল আক্তার লিজা (এডুকেশন সেক্রেটারি), সংগীতা সাহা প্রেমা (ট্রেজারার), রিমা আক্তার (এক্সেকিউটিভ মেম্বার), আয়েশা বেগম (এক্সেকিউটিভ মেম্বার) এবং তাসলিমা আক্তার (এক্সেকিউটিভ মেম্বার)।

ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ–এর মিডওয়াইফারি এডুকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান শারমিন রহমান নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আজকের আয়োজনে উপস্থিত হতে পেরে আমরা সম্মানিত। আপনাদের এই নির্বাচন, শুধুমাত্র আপনাদের ব্যক্তিগত স্বীকৃতি নয়—বরং দেশের সব মিডওয়াইফদের আস্থা ও প্রত্যাশার প্রতিফলন। প্রমাণভিত্তিক সেবা, আন্তঃপেশাগত সহযোগিতা এবং মিডওয়াইফদের পূর্ণ কর্ম-পরিধি অনুযায়ী কাজের সুযোগ নিশ্চিত করতে পারলে মাতৃস্বাস্থ্য ও নবজাতকের স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে পারে।

তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা, সুষ্ঠু নিয়োগ, পদোন্নতি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আপনাদের নেতৃত্ব বাংলাদেশের মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে রূপান্তরিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অব নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারির অতিরিক্ত পরিচালক (মিডওয়াইফারি) খানা রাণী বড়ই, নবনির্বাচিত নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মিডওয়াইফদের গ্রহণযোগ্যতা দেশে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তারা এখন মাতৃ–নবজাতক স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

ইউএনএফপিএ’র ন্যাশনাল মিডওয়াইফারি অফিসার রওশন আরা মিডওয়াইফদের নেতাদের প্রশংসা করে বলেন, দেশে মিডওয়াইফারি পদের সংখ্যা ও কর্মপরিধি আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে দক্ষ মিডওয়াইফারি নেতৃগোষ্ঠী তৈরি করার জন্য ধন্যবাদ জানান।  

বিএমএস’র প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নারীপক্ষের প্রতিনিধি সামিয়া আফরিন নির্বাচিত সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মিডওয়াইফরা আর অবহেলিত নন—তারা এখন ফ্রন্টলাইন হিরো। তিনি নারীদের আরও সক্রিয়ভাবে নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বিএমএস সভাপতি রুজিনা খাতুন তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, আমাদের অগ্রাধিকার হলো সারা দেশে মিডওয়াইফারি–নেতৃত্বাধীন সেবা বিস্তারে কাজ করা এবং  মিডওয়াইফারি লেড কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি মিডওয়াইফদের দক্ষতা ও ক্যারিয়ার অগ্রগতির জন্য পোস্ট–বেসিক মিডওয়াইফারি প্রোগ্রাম চালুকরণ দেশের সব শ্রম–কক্ষে সঠিক প্রোটোকল ও মান নিশ্চিত করাও আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রত্যেক মা ও নবজাতকের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও প্রমাণভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।

ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ ডিন ড. লরা রাইখেনব্যাক বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে মিডওয়াইফারি শিক্ষা ও নেতৃত্ব উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। বিএমএস দেশের মিডওয়াইফদের জন্য একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে পারে মিডওয়াইফরা—মান উন্নয়ন, পেশাগত অধিকার এবং সেবার মানোন্নয়নে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০১৩ সাল থেকে ব্র্যাক জেপিজিএসপিএইচ মিডওয়াইফদের শিক্ষা প্রদান করে আসছে, যা জাতীয় মিডওয়াইফারি জনশক্তিকে শক্তিশালী করছে। বিএমএস, সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা একসঙ্গে মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করতে পারবো।