০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই, বললেন তাজুল

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৫৩ Time View

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানেই পুলিশ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই।

ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে ‘অস্থায়ী কারাগার’ ঘোষণার প্রসঙ্গে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আনতে হবে। সেটা সংবিধান, ট্রাইব্যুনাল আইন ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে আছে। তারপর আদালত তাকে যেখানে রাখতে বলবেন সেখানে রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোন জায়গাকে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হবে সেটা প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার বিবেচ্য বিষয় নয়, আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো আইন অনুযায়ী কাজটা করতে হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত জানি না যে আদৌ কোনও সাবজেল ঘোষণা হয়েছে কিনা। কোনও ডকুমেন্ট আমার হাতে নেই। যদি সরকার কোনও নির্দিষ্ট জায়গাকে সাবজেল ডিক্লেয়ার করে, সরকারের সেই ক্ষমতা আছে। কোন জায়গাটাকে তারা জেল ঘোষণা করবেন, সেটা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত।’

তবে সরাসরি কাউকে জেলে নেওয়ার বিধান নেই বলে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে আনতে হবে। আদালতে আনার পর আদালত যদি অর্ডার দিয়ে বলেন—কারাগারে পাঠান, তখন কারাগার বলতে সেটা কেন্দ্রীয় কারাগারও হতে পারে, সেটা জাতীয় সংসদ ভবনের মধ্যেও হতে পারে, এমপি হোস্টেল হতে পারে বা অন্য কোনও জায়গাকেও যদি সরকার কারাগার ঘোষণা করেন, সে জায়গায় পাঠানো যেতে পারে।’

এর আগে গত ১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে ‘কারাগার’ ঘোষণা করে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত এসেছে। রবিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখা।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিগত সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সম্প্রতি সাবেক ও বর্তমান ২৪ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তা ঢাকায় সেনা হেফাজতে আছেন।

ট্যাগঃ

সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই, বললেন তাজুল

সময়ঃ ১২:০১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানেই পুলিশ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই।

ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে ‘অস্থায়ী কারাগার’ ঘোষণার প্রসঙ্গে সোমবার (১৩ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আসামিকে যদি গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আনতে হবে। সেটা সংবিধান, ট্রাইব্যুনাল আইন ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে আছে। তারপর আদালত তাকে যেখানে রাখতে বলবেন সেখানে রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোন জায়গাকে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হবে সেটা প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার বিবেচ্য বিষয় নয়, আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো আইন অনুযায়ী কাজটা করতে হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত জানি না যে আদৌ কোনও সাবজেল ঘোষণা হয়েছে কিনা। কোনও ডকুমেন্ট আমার হাতে নেই। যদি সরকার কোনও নির্দিষ্ট জায়গাকে সাবজেল ডিক্লেয়ার করে, সরকারের সেই ক্ষমতা আছে। কোন জায়গাটাকে তারা জেল ঘোষণা করবেন, সেটা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত।’

তবে সরাসরি কাউকে জেলে নেওয়ার বিধান নেই বলে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে আনতে হবে। আদালতে আনার পর আদালত যদি অর্ডার দিয়ে বলেন—কারাগারে পাঠান, তখন কারাগার বলতে সেটা কেন্দ্রীয় কারাগারও হতে পারে, সেটা জাতীয় সংসদ ভবনের মধ্যেও হতে পারে, এমপি হোস্টেল হতে পারে বা অন্য কোনও জায়গাকেও যদি সরকার কারাগার ঘোষণা করেন, সে জায়গায় পাঠানো যেতে পারে।’

এর আগে গত ১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে ‘কারাগার’ ঘোষণা করে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত এসেছে। রবিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কারা-১ শাখা।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিগত সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সম্প্রতি সাবেক ও বর্তমান ২৪ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গত ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তা ঢাকায় সেনা হেফাজতে আছেন।