০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম ছিল বিপ্লবের দুর্গ

  • Voice24 Admin
  • Update Time : ১২:০০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪২ Time View
অনুষ্ঠানে অতিথিরা।

চট্টগ্রাম: ‘জুলাই অভ্যুত্থান শুধু ঢাকার নয়, চট্টগ্রাম ছিল এই বিপ্লবের অন্যতম দুর্গ। চট্টগ্রাম ছিল আমাদের অহংকার।

এই জনপদ থেকেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়েছিলো।

সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে সপ্তাহব্যাপি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে  এসব কথা বলেন।

এর আগে, ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে সপ্তাহব্যাপি এ অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন তিনি।

‘জুলাই শহীদদের প্রতি সম্মান শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি সারাজীবনের একটি গ্রাফিতি’,—এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে যে কোনো সাহসী উদ্যোগের পাশে থাকব সবসময়। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সবাই আইনের দৃষ্টিতে সমান হবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকবে মুক্ত চিন্তার জন্য উন্মুক্ত, আর আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। ’

ফরিদা খানম আরও বলেন, ‘জুলাই মানেই স্বজন হারানোর মাস। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে হয়তো এই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতেন—কেউ হতেন জেলা প্রশাসক, কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক কিংবা সাংবাদিক। তাঁরাই ছিলেন জুলাই আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা। ’

বক্তব্য রাখেন— শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাবা শফিউল আলম। তিনি বলেন, শহীদদের রক্ত ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা এই সরকার হত্যাকারিদের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো শহীদদের জুলাই সনদ স্বীকৃতি দিতে পারেনি। আমরা (শহীদ পরিবার) আর এই সরকারের কাছে বিচারের আশা করি না।  

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই স্মৃতি উদযাপন উপকমিটির আহ্বায়ক সালেহ নোমান ও সদস্যসচিব মিয়া মোহাম্মদ আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন— জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, চট্টগ্রামের মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. মহিউদ্দিন, নগর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমী ও স্বপন মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ পরিবারের ৫ জন এবং ৪৩ সম্মুখযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।  

এসময় শহীদ ওয়াসিম আকরাম, শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত, শহীদ মোহাম্মদ ফারুক, শহীদ ইশমামুল হক ও শহীদ ওমর ফারুকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ পরিবারের ৫ জন এবং ৪৩ সম্মুখযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্যাগঃ

জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম ছিল বিপ্লবের দুর্গ

Update Time : ১২:০০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
অনুষ্ঠানে অতিথিরা।

চট্টগ্রাম: ‘জুলাই অভ্যুত্থান শুধু ঢাকার নয়, চট্টগ্রাম ছিল এই বিপ্লবের অন্যতম দুর্গ। চট্টগ্রাম ছিল আমাদের অহংকার।

এই জনপদ থেকেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি হয়েছিলো।

সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে সপ্তাহব্যাপি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে  এসব কথা বলেন।

এর আগে, ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে সপ্তাহব্যাপি এ অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন তিনি।

‘জুলাই শহীদদের প্রতি সম্মান শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি সারাজীবনের একটি গ্রাফিতি’,—এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে যে কোনো সাহসী উদ্যোগের পাশে থাকব সবসময়। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সবাই আইনের দৃষ্টিতে সমান হবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকবে মুক্ত চিন্তার জন্য উন্মুক্ত, আর আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে। ’

ফরিদা খানম আরও বলেন, ‘জুলাই মানেই স্বজন হারানোর মাস। যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে হয়তো এই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতেন—কেউ হতেন জেলা প্রশাসক, কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক কিংবা সাংবাদিক। তাঁরাই ছিলেন জুলাই আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা। ’

বক্তব্য রাখেন— শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাবা শফিউল আলম। তিনি বলেন, শহীদদের রক্ত ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা এই সরকার হত্যাকারিদের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো শহীদদের জুলাই সনদ স্বীকৃতি দিতে পারেনি। আমরা (শহীদ পরিবার) আর এই সরকারের কাছে বিচারের আশা করি না।  

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই স্মৃতি উদযাপন উপকমিটির আহ্বায়ক সালেহ নোমান ও সদস্যসচিব মিয়া মোহাম্মদ আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন— জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, চট্টগ্রামের মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. মহিউদ্দিন, নগর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমী ও স্বপন মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ পরিবারের ৫ জন এবং ৪৩ সম্মুখযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।  

এসময় শহীদ ওয়াসিম আকরাম, শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্ত, শহীদ মোহাম্মদ ফারুক, শহীদ ইশমামুল হক ও শহীদ ওমর ফারুকের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ পরিবারের ৫ জন এবং ৪৩ সম্মুখযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।