১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৈতৃক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:১১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৫৪ Time View

খুলনা: পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা, হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে নিরাপত্তা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন খুলনার মাসুমা আক্তার। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুমা আক্তার জানান, তার বাবা কাজী মাহবুবুর রহমান বৈধ দলিলের মাধ্যমে ১৯৯১ সালে খুলনার বটিয়াঘাটা (বর্তমান লবণচরা) থানার মাথাভাঙ্গা মৌজায় জমি ক্রয় করেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে অংশ পেয়ে নিয়মিত খাজনা দিয়ে দখলে ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি মাদক মামলা দিয়ে অপমানিত করার ষড়যন্ত্রও চলছে। আদালতের একাধিক রায় আমার পক্ষে এলেও তারা হুমকি, ভাঙচুর ও দখল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালে তিনি আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করলে লবণচরা থানা তদন্ত করে জমি তার বৈধ দখলে আছে বলে প্রতিবেদন দেয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আদালত বিবাদীদের নিষিদ্ধ করেন। পরবর্তীতে দায়রা জজ আদালতও একই রায় বহাল রাখে। কিন্তু এরপরও বিবাদীরা ভাঙচুর, গাছ কাটা, সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলা এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।

মাসুমা আক্তারের অভিযোগ, প্রভাবশালী ওই পক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশ ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালায়। এমনকি তার ও পরিবারের ওপর নতুন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তিনি সাংবাদিকদের সামনে তিন দফা দাবি জানান: আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন, সম্পত্তি দখলকারীদের উচ্ছেদ এবং তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি বলেন, আমি আইন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। আদালতের রায় আমার পক্ষে থাকলেও প্রভাবশালী মহল তা মানছে না। আমি সরকারের ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—আমার বৈধ সম্পত্তি যেন আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরিবারসহ আমরা নিরাপদে বসবাস করতে পারি।

এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্যাগঃ

পৈতৃক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ, আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি

সময়ঃ ১২:১১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

খুলনা: পৈতৃক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা, হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে নিরাপত্তা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন খুলনার মাসুমা আক্তার। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুমা আক্তার জানান, তার বাবা কাজী মাহবুবুর রহমান বৈধ দলিলের মাধ্যমে ১৯৯১ সালে খুলনার বটিয়াঘাটা (বর্তমান লবণচরা) থানার মাথাভাঙ্গা মৌজায় জমি ক্রয় করেন। বাবার মৃত্যুর পর তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে অংশ পেয়ে নিয়মিত খাজনা দিয়ে দখলে ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি মাদক মামলা দিয়ে অপমানিত করার ষড়যন্ত্রও চলছে। আদালতের একাধিক রায় আমার পক্ষে এলেও তারা হুমকি, ভাঙচুর ও দখল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালে তিনি আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করলে লবণচরা থানা তদন্ত করে জমি তার বৈধ দখলে আছে বলে প্রতিবেদন দেয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আদালত বিবাদীদের নিষিদ্ধ করেন। পরবর্তীতে দায়রা জজ আদালতও একই রায় বহাল রাখে। কিন্তু এরপরও বিবাদীরা ভাঙচুর, গাছ কাটা, সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলা এবং প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।

মাসুমা আক্তারের অভিযোগ, প্রভাবশালী ওই পক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশ ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালায়। এমনকি তার ও পরিবারের ওপর নতুন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তিনি সাংবাদিকদের সামনে তিন দফা দাবি জানান: আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন, সম্পত্তি দখলকারীদের উচ্ছেদ এবং তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি বলেন, আমি আইন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। আদালতের রায় আমার পক্ষে থাকলেও প্রভাবশালী মহল তা মানছে না। আমি সরকারের ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—আমার বৈধ সম্পত্তি যেন আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরিবারসহ আমরা নিরাপদে বসবাস করতে পারি।

এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।