নামাজের শেষে মুনাজাতের জন্য কয়েকটি হাদিসে বর্ণিত দোয়া উল্লেখ করা হলো:
১. রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নামাজের পর এই দোয়া পড়তেন:
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতাস সালামু ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি শান্তির উৎস এবং তোমার কাছ থেকে শান্তি আসে, তুমি মহিমান্বিত, হে মহত্ত্ব ও সম্মানের অধিকারী। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৯১)
২. ইস্তিগফারের দোয়া
উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
এভাবে তিনবার পড়া। রাসুল (সা.) নামাজের পর ইস্তিগফার করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৪৪)
৩. আয়াতুল কুরসি
নামাজের পর আয়াতুল কুরসি (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫৫) পড়া ফজিলতপূর্ণ। এটি দুশ্চিন্তা দূর করে এবং সুরক্ষা প্রদান করে। (সুনান নাসাই, হাদিস: ৯৯২৮)
৪. সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস
এই তিনটি সুরা নামাজের পর পড়া শয়তানের ক্ষতি ও দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা করে। রাসুল (সা.) এগুলো তিনবার পড়তেন। (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৩)
নামাজের শেষে দোয়ার ফজিলত অপরিসীম। দোয়া একটি সুন্নাহ আমল, যা নামাজের পূর্ণতা বাড়ায় এবং দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বাড়ায়। রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া, ইস্তিগফার, মুমিনের জন্য আধ্যাত্মিক শান্তি ও গুনাহ মাফের মাধ্যম।