০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্বাভাবিক জোয়ারে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত  

  • Voice24 Admin
  • Update Time : ১২:১০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪৪ Time View

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের কারণে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন ও চরএলাহী ইউনিয়নের কিছু অংশ ও হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে নদীর পাড়ের বাড়িঘর।

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত হাতিয়া উপজেলার টাংকির ঘাট ও চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়ক তলিয়ে যায়। একইসঙ্গে নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এলাকার অনেক ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া জোয়ারের পানিতে উপজেলার নলচিরা, সোনাদিয়া ও সুখচর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

হাতিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা রাজু জানান, জোয়ারের পানিতে অনেক ফসলি জমি ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরেও পানি উঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো পরিবার। বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানের হরিণসহ বন্য প্রাণীর জন্য এ দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়া হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরো জানান, নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের সময়ও পানি উঠে। আবার জোয়ার চলে গেলে পানি নেমে যায়। তবে দুর্যোগের সময় অস্বাভাবিক জোয়ার হলে পানি সহজে নামতে চায় না।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, সুখচর ইউনিয়ন, সোনাদিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে পানি উঠেছে।  কোথাও ২-৩ ফুট করে পানি আছে। সুখচরের একটি বেড়িবাঁধ শুক্রবার (২৫ জুলাই) ভেঙে গিয়ে সেখানে প্লাবিত হয়।

ইউএনও আরো জানান, বেড়ি বাঁধের বাহিরে জেলে পাড়ায় নিয়মিত পানি ওঠে-নামে। নলচিরা ইউনিয়নের কিছু জায়গা নদী ভাঙনের মুখে অনেকে তাদের ঘরবাড়ি, দোকান ঘর সরিয়ে নিয়েছে। আজকে বিকেলে নদীর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকায় কয়েকটা রুটে বোট চলছে বলে জানান তিনি। 

ট্যাগঃ

অস্বাভাবিক জোয়ারে হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত  

Update Time : ১২:১০:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে জোয়ারের কারণে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন ও চরএলাহী ইউনিয়নের কিছু অংশ ও হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে নদীর পাড়ের বাড়িঘর।

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত হাতিয়া উপজেলার টাংকির ঘাট ও চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়ক তলিয়ে যায়। একইসঙ্গে নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এলাকার অনেক ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া জোয়ারের পানিতে উপজেলার নলচিরা, সোনাদিয়া ও সুখচর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

হাতিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা রাজু জানান, জোয়ারের পানিতে অনেক ফসলি জমি ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরেও পানি উঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো পরিবার। বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানের হরিণসহ বন্য প্রাণীর জন্য এ দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়া হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরো জানান, নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ না থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের সময়ও পানি উঠে। আবার জোয়ার চলে গেলে পানি নেমে যায়। তবে দুর্যোগের সময় অস্বাভাবিক জোয়ার হলে পানি সহজে নামতে চায় না।

জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন জানান, সুখচর ইউনিয়ন, সোনাদিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে পানি উঠেছে।  কোথাও ২-৩ ফুট করে পানি আছে। সুখচরের একটি বেড়িবাঁধ শুক্রবার (২৫ জুলাই) ভেঙে গিয়ে সেখানে প্লাবিত হয়।

ইউএনও আরো জানান, বেড়ি বাঁধের বাহিরে জেলে পাড়ায় নিয়মিত পানি ওঠে-নামে। নলচিরা ইউনিয়নের কিছু জায়গা নদী ভাঙনের মুখে অনেকে তাদের ঘরবাড়ি, দোকান ঘর সরিয়ে নিয়েছে। আজকে বিকেলে নদীর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকায় কয়েকটা রুটে বোট চলছে বলে জানান তিনি।