০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ডিজিটাল গ্রাম’ বাস্তবায়নের পথে পারিলা ইউনিয়নের যাত্রা

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:১৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৬৭ Time View

তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা এখন আর কেবল শহরে সীমাবদ্ধ নয়। গ্রামাঞ্চলের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নে চালু হলো ‘ইউনিয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’।

পবার হড়গ্রাম ও দর্শনপাড়া ইউনিয়নে সফলভাবে এ কার্যক্রম শুরু করার পর এবার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই কেন্দ্র চালু করা হলো। এখান থেকেই আধুনিক ‘ডিজিটাল গ্রাম’ গড়ার যাত্রা শুরু হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সেবা উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি জ্ঞান অপরিহার্য। ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া এখন কেউ এগিয়ে যেতে পারবে না। ইউনিয়ন পর্যায়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ, যা গ্রামের তরুণ-তরুণীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে। পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় এ উদ্যোগ ছড়িয়ে দিতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ। তিনি বলেন, “একসময় এমন কিছু কল্পনাও করা যেত না। এখন ইউনিয়ন পরিষদে বসে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। এই কেন্দ্র দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। এটি শুধু প্রযুক্তি শেখার ক্ষেত্র নয়, বরং এক ধরনের সামাজিক পরিবর্তনের সূচনাও।”

তিনি জানান, ইতোমধ্যে পবার হড়গ্রাম ও দর্শনপাড়া ইউনিয়নেও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়েছে এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। গ্রামও ডিজিটাল হয়ে উঠছে।

কেন্দ্রটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ২০ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। কেন্দ্রটি আধুনিক কম্পিউটার, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া উপকরণে সুসজ্জিত। প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাশির, পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মোর্শেদ ও স্থানীয় জামায়াত নেতা মো. নুরুজ্জামান।

কেন্দ্রের প্রশিক্ষক আব্দুল বারী জানান, এখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত যেকোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। প্রশিক্ষণ কোর্সে থাকছে কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন (এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট), ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন।

ট্যাগঃ

‘ডিজিটাল গ্রাম’ বাস্তবায়নের পথে পারিলা ইউনিয়নের যাত্রা

সময়ঃ ১২:১৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা এখন আর কেবল শহরে সীমাবদ্ধ নয়। গ্রামাঞ্চলের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নে চালু হলো ‘ইউনিয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’।

পবার হড়গ্রাম ও দর্শনপাড়া ইউনিয়নে সফলভাবে এ কার্যক্রম শুরু করার পর এবার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই কেন্দ্র চালু করা হলো। এখান থেকেই আধুনিক ‘ডিজিটাল গ্রাম’ গড়ার যাত্রা শুরু হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সেবা উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি জ্ঞান অপরিহার্য। ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া এখন কেউ এগিয়ে যেতে পারবে না। ইউনিয়ন পর্যায়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ, যা গ্রামের তরুণ-তরুণীদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে। পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় এ উদ্যোগ ছড়িয়ে দিতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ। তিনি বলেন, “একসময় এমন কিছু কল্পনাও করা যেত না। এখন ইউনিয়ন পরিষদে বসে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। এই কেন্দ্র দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। এটি শুধু প্রযুক্তি শেখার ক্ষেত্র নয়, বরং এক ধরনের সামাজিক পরিবর্তনের সূচনাও।”

তিনি জানান, ইতোমধ্যে পবার হড়গ্রাম ও দর্শনপাড়া ইউনিয়নেও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়েছে এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। গ্রামও ডিজিটাল হয়ে উঠছে।

কেন্দ্রটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ২০ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। কেন্দ্রটি আধুনিক কম্পিউটার, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া উপকরণে সুসজ্জিত। প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবু বাশির, পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মোর্শেদ ও স্থানীয় জামায়াত নেতা মো. নুরুজ্জামান।

কেন্দ্রের প্রশিক্ষক আব্দুল বারী জানান, এখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত যেকোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। প্রশিক্ষণ কোর্সে থাকছে কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন (এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট), ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন।