রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত অভিভাবক রজনী খাতুনের (৩৭) কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি দল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামে রজনীর বাড়িতে যান। 

যশোর বিমান ঘাঁটির উইং কমান্ডার কামরুল হাসান বারীর নেতৃত্বে দলটির সদস্যরা রজনীর কবর জিয়ারত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে তারা রজনীর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

রজনী সাদিপুরের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের মেয়ে। রজনী রাজধানীর উত্তরায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। 

রজনী দুর্ঘটনার দিন মেয়ে ঝুমঝুমকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে মাথায় বিমানের ধ্বংসাবশেষের আঘাত পেয়ে মারা যান। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ঝুমঝুম দুর্ঘটনার সময় স্কুলের ক্যানটিনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। রজনীর ছোট ছেলে এস এম রোহান ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে এবং সেদিন অসুস্থ থাকায় স্কুলে যায়নি। বড় ছেলে এস এম রুবাই ঢাকার একটি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। 

বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিদলের শ্রদ্ধা নিবেদন প্রসঙ্গে রজনীর স্বামী জহুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। মহান আল্লাহ যেন আমার স্ত্রীকে জান্নাত দান করেন। সবার কাছে সেই দোয়া কামনা করছি।” 

এ বিষয়ে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি। 

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, “বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রজনীর কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এ সময় উপজেলা প্রশাসন ও দৌলতপুর থানার (ওসি) সোলাইমান শেখ উপস্থিত ছিলেন।”