০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সন্তানের মতো চিলকে লালন-পালন করেছেন তিনি

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৫০ Time View

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২০ আগস্ট ২০২৫  

বরগুনা পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি সড়কে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন গৃহবধু ঝুমুর আক্তার (৪০)। চিলের একটি মৃতপ্রায় বাচ্চাকে কুড়িয়ে পেয়ে আট মাস লালন-পালন করার পরে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন গৃহবধূ ঝুমুর। 

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকালে বন বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতিতে চিলটিকে উড়িয়ে দেন তিনি। 

ঝুমুর আক্তার জানান, গত শীতে এক রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। সকালে তিনি তার ঘরের সামনে দেখতে পান চিলের বাচ্চাটিকে। এসময় আহত পাখিটি মৃতপ্রায় ছিল। পরে সেবা যত্ন করে পাখিটিকে তিনি সুস্থ্য করেন। কিন্তু বাচ্চা হওয়ার কারণে পাখিটি উড়তে পারতো না। তাই গত ৮ মাস ধরে নিজ হাতে লালন-পালন করে পাখিটিকে উড়তে শিখিয়েছেন তিনি। 

ঝুমুর বলেন, “পাখিটিকে আমি মাছ-মাংস যা দিয়েছি সব খেয়েছে। নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করেছি। তবে, এখনো পাখিটি পুরোপুরি উড়তে পারে না। আর অভাবের সংসারে ওকে খাওয়ানোর সামর্থ্য আমার নেই। তাই বন বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতিতে অবমুক্ত করেছি। কিন্তু পাখিটি বার বার আমার কাছেই ফিরে আসে। এজন্য বন বিভাগ পাখিটিকে তাদের তত্বাবধানে নিয়ে গেছে। তারা ওয়াদা করেছেন পাখিটি পুরোপুরি উড়তে শেখার পর অবমুক্ত করা হবে। তার আগে পর্যন্ত বন বিভাগ পাখিটিকে লালন-পালন করবে। 

খুলনা বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণিবিজ্ঞানী মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “গৃহবধু ঝুমুর মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এই কথার তিনি বড় উদাহরণ রেখেছেন। চিল পাখির বাচ্চাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছে। এটা আমরা অনুভব করেছি। আমাদের উপস্থিতিতে তিনি অবমুক্ত করেছিলেন। কিন্তু বাচ্চাটিকে আরো ভালোভাবে উড়তে শিখাতে হবে। তাই আমরা খুলনার বন্যপ্রাণী ট্রিটমেন্ট সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছি।”

ইমরান হোসেন /শাহেদ

ট্যাগঃ

টিভিতে আজকের খেলা (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫)

সন্তানের মতো চিলকে লালন-পালন করেছেন তিনি

সময়ঃ ১২:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২০ আগস্ট ২০২৫  

বরগুনা পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি সড়কে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন গৃহবধু ঝুমুর আক্তার (৪০)। চিলের একটি মৃতপ্রায় বাচ্চাকে কুড়িয়ে পেয়ে আট মাস লালন-পালন করার পরে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন গৃহবধূ ঝুমুর। 

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকালে বন বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতিতে চিলটিকে উড়িয়ে দেন তিনি। 

ঝুমুর আক্তার জানান, গত শীতে এক রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। সকালে তিনি তার ঘরের সামনে দেখতে পান চিলের বাচ্চাটিকে। এসময় আহত পাখিটি মৃতপ্রায় ছিল। পরে সেবা যত্ন করে পাখিটিকে তিনি সুস্থ্য করেন। কিন্তু বাচ্চা হওয়ার কারণে পাখিটি উড়তে পারতো না। তাই গত ৮ মাস ধরে নিজ হাতে লালন-পালন করে পাখিটিকে উড়তে শিখিয়েছেন তিনি। 

ঝুমুর বলেন, “পাখিটিকে আমি মাছ-মাংস যা দিয়েছি সব খেয়েছে। নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করেছি। তবে, এখনো পাখিটি পুরোপুরি উড়তে পারে না। আর অভাবের সংসারে ওকে খাওয়ানোর সামর্থ্য আমার নেই। তাই বন বিভাগের কর্মীদের উপস্থিতিতে অবমুক্ত করেছি। কিন্তু পাখিটি বার বার আমার কাছেই ফিরে আসে। এজন্য বন বিভাগ পাখিটিকে তাদের তত্বাবধানে নিয়ে গেছে। তারা ওয়াদা করেছেন পাখিটি পুরোপুরি উড়তে শেখার পর অবমুক্ত করা হবে। তার আগে পর্যন্ত বন বিভাগ পাখিটিকে লালন-পালন করবে। 

খুলনা বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাণিবিজ্ঞানী মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “গৃহবধু ঝুমুর মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এই কথার তিনি বড় উদাহরণ রেখেছেন। চিল পাখির বাচ্চাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছে। এটা আমরা অনুভব করেছি। আমাদের উপস্থিতিতে তিনি অবমুক্ত করেছিলেন। কিন্তু বাচ্চাটিকে আরো ভালোভাবে উড়তে শিখাতে হবে। তাই আমরা খুলনার বন্যপ্রাণী ট্রিটমেন্ট সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছি।”

ইমরান হোসেন /শাহেদ