০২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবিপ্রবিতে বাস সঙ্কট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৪৭ Time View

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থী বেড়েছে। ভর্তি হয়েছে নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তবে বাসের সংখ্যা না বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে তাদের।

প্রতিদিন ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য বাসে গাদাগাদি করে উঠতে হচ্ছে। অনেকে ঝুলে ঝুলে আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের তথ্য মতে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে ভাড়ায় চালিত ডাবল ডেকার বাস রয়েছে ১৩টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস রয়েছে ১১টি। তবে এর মধ্যে দুইটি বাস দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকায় কার্যত ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থী সংখ্যা সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিবহন ব্যবস্থা নেই।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নোবিপ্রবিতে ১৫তম ব্যাচ থেকে শুরু করে ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। নতুন করে ২০তম ব্যাচের প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীরা যোগ হয়েছেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে মাস্টার্সেরসহ প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী আছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাসের সংখ্যা আগের মতোই। এতে সমস্যা প্রকট হচ্ছে।

অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের দুইটি ও মেয়েদের তিনটি আবাসিক হল থাকলেও সিট সংখ্যা শিক্ষার্থীর তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। তাই অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাইজদীতে অবস্থান করেন। প্রতিদিন মাইজদী থেকে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। ফলে বাস সংকটের কারণে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

১৮তম ব্যাচের মোহাম্মদ রাকিব নামে এক শিক্ষার্থীরা বলেন, “ক্যাম্পাসে আসতে গেলে বাসে সিট পাওয়া যায় না। বাসে জায়গা না থাকায় দাঁড়িয়ে কিংবা ঝুলে আসতে হয়। অনেক সময় তো বাসে ওঠার যায়গাও থাকে না, দরজার সঙ্গে ঝুলে ঝুলে যেতে হয়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থেকে যায়।”

১৬তম ব্যাচের মাহাথির শুভ নামে আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে। কিন্তু বাস বাড়ানো হচ্ছে না। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে দ্রুত নতুন বাস সংযোজন করুক।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন উপদেষ্টা ড. কাউসার হোসেন বলেন, “আমাদের ভাড়ায় চালিত ডাবল ডেকার বাস ১৩টি। প্রত্যেকটি বাস তিনবার করে মাইজদি থেকে আসা যাওয়া করে। এছাড়াও আমাদের নিজস্ব সাদা বাসের সংখ্যা ১১টি। বর্তমানে নয়টি সাদা বাস প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রিপ দেয়। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আমাদের আরোও একটি ডাবল ডেকার বাস এবং আরেকটি সাদা বাস যুক্ত হবে। আশা করি, তখন আমরা অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপ সামাল দিতে পারব।”

সংকট কাটিয়ে উঠতে নতুন বাস ক্রয় করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, “সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা নতুন বাস আপাতত ক্রয় করতে পারছি না। আমরা এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে স্পন্সর হিসেবে বাস নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

ভাড়ায় চালিত বাসের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “ভাড়া চালিত বাসের সংখ্যা বাড়ালে ইউজিসি কর্তৃক বার্ষিক বাজেটের উপর ব্যয় চলে যায়। আমরা যদি কোনোভাবে এ সমস্যা সমাধান করতে না পারি, তখন আমরা ভাড়ায় চালিত বাস বাড়ানো যায় কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

ট্যাগঃ

নোবিপ্রবিতে বাস সঙ্কট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

সময়ঃ ১২:০৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থী বেড়েছে। ভর্তি হয়েছে নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তবে বাসের সংখ্যা না বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে তাদের।

প্রতিদিন ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য বাসে গাদাগাদি করে উঠতে হচ্ছে। অনেকে ঝুলে ঝুলে আসা-যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের তথ্য মতে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে ভাড়ায় চালিত ডাবল ডেকার বাস রয়েছে ১৩টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস রয়েছে ১১টি। তবে এর মধ্যে দুইটি বাস দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকায় কার্যত ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থী সংখ্যা সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিবহন ব্যবস্থা নেই।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নোবিপ্রবিতে ১৫তম ব্যাচ থেকে শুরু করে ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। নতুন করে ২০তম ব্যাচের প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীরা যোগ হয়েছেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে মাস্টার্সেরসহ প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী আছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও বাসের সংখ্যা আগের মতোই। এতে সমস্যা প্রকট হচ্ছে।

অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের দুইটি ও মেয়েদের তিনটি আবাসিক হল থাকলেও সিট সংখ্যা শিক্ষার্থীর তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। তাই অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মাইজদীতে অবস্থান করেন। প্রতিদিন মাইজদী থেকে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। ফলে বাস সংকটের কারণে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

১৮তম ব্যাচের মোহাম্মদ রাকিব নামে এক শিক্ষার্থীরা বলেন, “ক্যাম্পাসে আসতে গেলে বাসে সিট পাওয়া যায় না। বাসে জায়গা না থাকায় দাঁড়িয়ে কিংবা ঝুলে আসতে হয়। অনেক সময় তো বাসে ওঠার যায়গাও থাকে না, দরজার সঙ্গে ঝুলে ঝুলে যেতে হয়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থেকে যায়।”

১৬তম ব্যাচের মাহাথির শুভ নামে আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে। কিন্তু বাস বাড়ানো হচ্ছে না। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে দ্রুত নতুন বাস সংযোজন করুক।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন উপদেষ্টা ড. কাউসার হোসেন বলেন, “আমাদের ভাড়ায় চালিত ডাবল ডেকার বাস ১৩টি। প্রত্যেকটি বাস তিনবার করে মাইজদি থেকে আসা যাওয়া করে। এছাড়াও আমাদের নিজস্ব সাদা বাসের সংখ্যা ১১টি। বর্তমানে নয়টি সাদা বাস প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রিপ দেয়। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আমাদের আরোও একটি ডাবল ডেকার বাস এবং আরেকটি সাদা বাস যুক্ত হবে। আশা করি, তখন আমরা অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপ সামাল দিতে পারব।”

সংকট কাটিয়ে উঠতে নতুন বাস ক্রয় করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, “সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা নতুন বাস আপাতত ক্রয় করতে পারছি না। আমরা এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে স্পন্সর হিসেবে বাস নেওয়ার চেষ্টা করছি।”

ভাড়ায় চালিত বাসের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “ভাড়া চালিত বাসের সংখ্যা বাড়ালে ইউজিসি কর্তৃক বার্ষিক বাজেটের উপর ব্যয় চলে যায়। আমরা যদি কোনোভাবে এ সমস্যা সমাধান করতে না পারি, তখন আমরা ভাড়ায় চালিত বাস বাড়ানো যায় কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”