চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর তিন বছরের শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাথী আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে শিশুটির বাবা রুবেল পাটওয়ারী সাথী আক্তারকে আসামি করে শাহরাস্তি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার পানচাইল গ্রামের রুবেল পাটওয়ারীর শিশুসন্তান তাসনুহা তাবাসসুম ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিখোঁজ হন। খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবুরি দল নামিয়ে তল্লাশি করা হয়। পরে পুকুরে জাল ফেলেও তাসনুহাকে পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির লোকজন পুকুরে বস্তাবন্দি কিছু ভাসতে দেখেন। তারা বস্তাটি তুলে আনলে ভেতরে তাসনুহার মরদেহ দেখতে পান।
এরপর পুলিশ ও এলাকাবাসী তল্লাশি চালিয়ে তাসনুহার চাচার ঘরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের চিহ্ন দেখতে পান। এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচা রিপন পাটওয়ারী ও চাচি সাথী আক্তারকে আটক করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাওলানা আমিনুল হক বলেন, ‘‘আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আমি ঘর তল্লাশি করতে বলি। তল্লাশি করে আলামত পাওয়া যায়। পরে সে অনুযায়ী সাথী ও তার স্বামী রিপনকে আটক করলে তারা তাসনুহাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’’
শাহরাস্তি থানার ওসি আবুল বাসার বলেন, ‘‘এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, তাসনুহা বুধবার সকাল থেকেই রিপনের ঘরে চাচাতো ভাইদের সাথে খেলছিল। একপর্যায়ে তার চাচি সাথী ভাতের মাড় গালতে গিয়ে গরম মাড় ছিটকে তাসনুহার শরীরে পড়ে। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। তাসনুহা চিৎকার করে করে উঠলে সাথী তার মুখ এবং গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মরদেহ কম্বলে পেঁচিয়ে আলমিরাতে রাখে। পরে সে সুকৌশলে তাসনুহার মরদেহ বস্তা বন্দি অবস্থায় পুকুরে ডুবিয়ে দেয়।’’
রুবেল পাটওয়ারী এ ঘটনার বিচার চেয়ে বলেন, ‘‘আমাদের একমাত্র আদরের মেয়ে ছিল তাসনুহা। মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হলে এমন কাজ করতে পারে?’’
শাহরাস্তি থানা সূত্রে জানা গেছে, সাথী আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চাঁদপুর কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/অমরেশ