ঢাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ২২:৫৪, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আপডেট: ২২:৫৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পণ্যের মতো ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিক্রি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ প্রিন্স।
তিনি বলেছেন, “প্রার্থীদের মধ্যে সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে ব্যক্তিগত আক্রমণ, অপমানজনক মন্তব্য এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। পণ্যের মতো ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিক্রি করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের আড্ডা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত এ অপপ্রচার শুরু হয়ে গেছে।”
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন দল সমর্থিত প্রার্থী ও প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নাজিরাবাজার, ধানমন্ডি স্টার কাবাব, আজিমপুরসহ ক্যাম্পাসের আশেপাশের হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ডাকসু ভোটারদের নিয়ে গিয়ে আপ্যায়ন করে নিজেদের দিকে ভেড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ নির্বাচনকে প্রতিযোগিতার বদলে বাজারে পরিণত করছে।”
তিনি আরো বলেন, “শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের কাছে নানা ধরণের খাবার, উপহার সামগ্রী ও উপঢৌকন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ভোটের জন্য অর্থের আদান-প্রদান হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জেলাগুলোর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শিক্ষার্থীদের রীতিমত ফোন ও মেসেজ দিয়ে তাদের দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।”
এ সময় তিনি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে সক্রিয় হয়ে অনৈতিক আপ্যায়ন, উপটৌকন বিতরণ, অর্থের লেনদেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ ও গুজব ছড়ানো বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে; আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং প্রার্থীদের ভাষার শালীনতা বজায় রাখতে বাধ্য করতে হবে; শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে, স্বাধীনভাবে ও তাদের বোঝাপড়া অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী