০১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ঐতিহাসিক’ ডাকসু নির্বাচন: ‘সর্বাত্মক’ প্রস্তুতি, শিক্ষার্থীদের রায় দেওয়ার দিন আজ

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৫ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বহুল প্রত্যাশার সেই দিন এসে গেছে, যা দেখবে পুরো দেশ। আইন-কানুন ও ইচ্ছা-অনিচ্ছার সব চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল ৮টায়, শিক্ষার্থীরা তাদের বৈধ প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার জন্য রায় দেওয়া শুরু করতে পারবেন এই সময় থেকে; যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠার পর ডাকসু নির্বাচন হয়েছে ৩৬ বার। দীর্ঘ বিরতির পর ৩৭তম বারে এসে ইসলামী ছাত্রশিবিরের অংশ নেওয়ার ঘটনা যেমন বাড়তি কৌতূহল তৈরি করেছে, তেমনি তর্ক-বিতর্কের পরিসরও বাড়িয়েছে। ফলে উদার ও প্রগতিশীল চর্চার ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনগুলো এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী-প্রার্থীদের বিপরীতে ধর্মভিত্তিক ছাত্রসংগঠনের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে এবারের ডাকসু ভোটকে।

‘মিনি সংসদ’ খ্যাত ডাকসু। বলা হয় ডাকসুতে দেখা যায় দেশের রাজনীতির প্রতিচ্ছবি, জাতীয় সংসদের ছায়া। ফলে এই নির্বাচনের তফসিল থেকে ভোটগ্রহণ- এই পুরো প্রক্রিয়া দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্তরে সমান গুরুত্বে আলোচনায় এসেছে। সেটি মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সুষ্ঠু-স্বচ্ছ ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ডাকসুর নেতৃত্ব নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী-ভোটারের ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্র ও বুথ থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। ভোটগ্রহণের সময় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, শিক্ষার্থীদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করাসহ নানা ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সব কিছুর মধ্যেই ছয় বছর পর ডাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। 

বিভিন্ন প্যানেল থেকে এবং স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নেওয়া ডাকসু প্রার্থীদের এবারের প্রচারযজ্ঞে দেখা গেছে ভিন্নতা। আলোচনায় এসেছেন পাহাড়ি ও প্রতিবন্ধিতা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাম প্রার্থীরা।

ভোট দিতে পারবেন যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীরাই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার হওয়ার যোগ্য। এর মধ্যে অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিল করছেন, ভর্তি হওয়া এমন শিক্ষার্থীরাই এবার ভোটার হতে পেরেছেন। সান্ধ্যকালীন ও পার্ট টাইম কোর্সের শিক্ষার্থীরা ডাকসুর ভোটার হতে পারেননি, কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, বিশেষ করে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা ও জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার মামলা রয়েছে, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ভোটার কত, ছাত্র না ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বেশি?
আপত্তি নিষ্পত্তি ও সংশোধনের পর নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ২০ হাজার ৮৭৩ জন ছাত্র এবং ১৮ হাজার ৯০২ জন ছাত্রী। ছাত্রী ভোটারদের শতকরা হার ৪৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, আর ছাত্রদের হার ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

ছাত্র ভোটারদের মধ্যে অমর একুশে হলে ১২৯৫ জন, কবি জসীমউদ্দিন হলে ১৩০৩ জন, জগন্নাথ হলে ২২২২ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১৬০৬ জন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ১৯৯৮ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ১৭৬২ জন, বিজয় একাত্তর হলে ২০২৭ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ১৭৫১ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ১৯৫৭ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬৬৪ জন, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ১৪৯৯ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ১৩৭৭ জন এবং হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ১৪০২ জন রয়েছেন।

ছাত্রী ভোটারদের মধ্যে রোকেয়া হলে ৫৬৪১ জন, শামসুন নাহার হলে ৪০৮৪ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ২১০৩ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৪৪৩৪ জন এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২৬৪০ জন আছেন।

ডাকসুতে এবার পদ ২৮টি
গত জানুয়ারিতে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শদান, নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন-সংশোধন এবং ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন-পরিমার্জন করার বিষয়ে পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব কমিটি সংশোধন-পরিমার্জনের কাজ করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়।

গঠনতন্ত্র সংশোধন-পরিমার্জন কমিটির সুপারিশে দেখা গেছে, এবার ২৮টি পদ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন ৪টি পদ তৈরি করা হয়েছে। আর পরিমার্জন করা হয়েছে তিনটির; এরমধ্যে দুটি আলাদা পদ থেকে একটি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। 

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদের নাম পরিবর্তন করে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক’ করা হয়েছে। কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদকে ‘রিডিং রুম’ যোগ করে ‘কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক’ পদ করা হয়েছে। আগে সাহিত্য সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সম্পাদক দুটি আলাদা পদ ছিল। এখন সেটি ‘সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক’ পদ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৪টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব পদ হচ্ছে: গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।

নিয়ম অনুযায়ী, ডাকসুর সভাপতি ক্ষমতাবলে উপাচার্যই থাকেন। আর তিনি একজন অধ্যাপককে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করেন। ফলে এ দুটি পদে কোনো ভোটগ্রহণ হবে না।

যেসব পদে নির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস), সদস্য পদ ১৩টি এবং ৫টি সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অপরিবর্তিত ৫টি সম্পাদক পদ হলো: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক; আন্তর্জাতিক সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; ছাত্র পরিবহন সম্পাদক এবং সমাজসেবা সম্পাদক।

ডাকসুতে যতজন লড়ছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন এবং সদস্য পদে লড়াই করছেন ২১৭ জন।

ভিপি ও জিএস পদে আলোচনায় যারা
ডাকসু নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন, শিবির সমর্থিত প্যানেলের আবু সাদিক কায়েম, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা এবং বাগছাস সমর্থিত আব্দুল কাদের। তাদের মধ্য থেকেই এবারে ভিপি নির্বাচিত হবেন বলেই মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। 

জিএস পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের শেখ তানভীর বারি হামিম, বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের আবু বাকের মজুমদার, শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম ফরহাদ, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী।

৮ ভোটকেন্দ্রে বুথ থাকবে ৮১০
৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট ৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮১০টি সমবণ্টিতভাবে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই সংখ্যার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে যেন প্রতিটি ভোটার ভোট প্রদান করতে পারেন এবং একজন ভোটার গড়পড়তা ১০ মিনিট সময় ব্যয় করেই ভোটদান শেষ করতে পারেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিকাল ৪টার মধ্যে বুথে উপস্থিত সকল ভোটারের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে, এমনকি লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। নির্বাচনের দিন ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা থাকবে। ভোটারদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিতে সব বাস সার্ভিসের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।

ভোট দিতে হবে যেভাবে
ভোট দেওয়ার বিষয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস একটি সচেতনতামূলক ভিডিওচিত্র প্রচার করছে। এতে দেখানো হয়, ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হলে তার লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন স্লিপ দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল আইডি কার্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। পরিচয় নিশ্চিতের পর ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় কালির দাগ দেবেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা।

ভোটার তালিকায় নিজের নামের পাশে স্বাক্ষর করবেন ভোটার। এরপর পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটার নম্বর জানাতে হবে। ব্যালট নিয়ে ভোটার প্রবেশ করবেন গোপন কক্ষে। ব্যালট পেপার থেকে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর খুঁজে বের করবেন ভোটার।

এরপর পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের ঘরে স্পষ্টভাবে ক্রস চিহ্ন দেবেন ভোটার। খেয়াল রাখতে হবে, ক্রস চিহ্নটি যেন ঘরের বাইরে না যায়। পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদান শেষে ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার জমা দেবেন ভোটার।

কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট বক্স থাকবে। ব্যালট পেপার ভাঁজ না করে সেগুলো নির্ধারিত বাক্সে ফেলে ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

ডাকসু নির্বাচনে ১১ প্যানেলে লড়ছেন যারা

১. ছাত্রদলের প্যানেল ‘আবিদ-হামিম-মায়েদ’
এই প্যানেলের ভিপি পদে লড়বেন মো. আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম (কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক), এজিএস পদে লড়েবেন তানভীর আল হাদী মায়েদ (বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক)।

গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ শূন্য রাখা হয়েছে (আহত শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বীকে সমর্থন জানাতে)।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক পদে সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসাইন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে লড়বেন মেহেদী হাসান মুন্না।

সদস্য পদ: জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান ও নিত্যানন্দ পাল।

২. শিবিরের প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’
এই প্যানেলের ভিপি পদে লড়বেন সাদিক কায়েম (শিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক ঢাবি সভাপতি), জিএস পদে এস এম ফরহাদ (ঢাবি শাখা সভাপতি), এজিএস পদে লড়বেন মহিউদ্দিন খান (ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক)।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতিমা তাসনীম জুমা (ইনকিলাব মঞ্চ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার; কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম সাব্বির (বর্তমান ঢাবি শিবিরের অর্থ সম্পাদক), ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সাজ্জাদ হোসাইন খান (ঢাবি শিবিরের দপ্তর সম্পাদক), ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে সাখাওয়াত জাকারিয়া।

সদস্য পদে: সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, তাজিনুর রহমান, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, আনাস বিন মনির।

৩. গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’
ভিপি পদে লড়বেন আবদুল কাদের, জিএস পদে আবু বকর মজুমদার, এজিএস পদে আশরেফা খাতুন।

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাহিয়ান ফারুক, সমাজসেবা সম্পাদক পদে মহির আলম, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে মো. হাসিবুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সাকিব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আল আমিন সরকার, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে আনিকা তাহসিনা, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে মিতু আক্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে সাব্বির আহমেদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে লড়বেন মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র।

সদস্য পদে: মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান, ফেরদৌস আলম।

৪. ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ (উমামা–সাদী নেতৃত্বাধীন)
ভিপি পদে লড়বেন উমামা ফাতেমা, জিএস পদে আল সাদী ভূঁইয়া, এজিএস পদে জাহেদ আহমদ।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মমিনুল ইসলাম (বিধান), আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ফেরদৌস ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ইসরাত জাহান নিঝুম, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে নুসরাত জাহান নিসু।

সদস্য পদে: নওরীন সুলতানা তমা, আবিদ আব্দুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের (তুফান), আব্দুল্লাহ আল মুবিন (রিফাত), অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ আরমান, মো. মুকতারুল ইসলাম (রিদয়), হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক রাফি, মো. সজিব হোসেন, সাদেকুর রহমান সানি।

৫. বামজোটের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’
ভিপি পদে লড়বেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস পদে মেঘমল্লার বসু , এজিএস পদে জাবির আহমেদ জুবেল।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে মোজাম্মেল হক, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে নূজিয়া হাসিন (রাশা), মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে আকাশ আলী, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে লিটন ত্রিপুরা, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আবু মুজাহিদ, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে নিনাদ খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে নাঈম উদ্দীন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ফারিয়া মতিন (ইলা), ক্রীড়া সম্পাদক পদে মালিহা তাবাসসুম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে শেখ তাসনুভা সৃষ্টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ফাতিন ইশরাক, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আমানত ইমরান।

সদস্য পদে: তফসিরুল্লাহ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা), রাজেকুজ্জামান জুয়েল (টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি), ওয়াকার রহমান সৌরভ (পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ), মোহাম্মদ মুস্তাকিম (অর্থনীতি), মিশকাতুল মাশিয়াত তানিশা (ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট), আতিকা আনজুম অর্থী (কারুশিল্প), পৃথিং মারমা (অপরাধ বিজ্ঞান), ইসরাত জাহান ইমু (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস), আনিয়া ফাহমিন (নৃবিজ্ঞান), রাহনুমা আহমেদ নিরেট (পদার্থবিজ্ঞান), সাজিদ উল ইসলাম (প্রাচ্যকলা), হেমা চাকমা (স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি), আলমগীর হোসেন (তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা)।

৬. ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’
ভিপি পদে লড়বেন ইয়াসিন আরাফাত (ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি), জিএস পদে খায়রুল আহসান মারজান (কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল), এজিএস পদে সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (ঢাবি শাখার সেক্রেটারি), মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আবু বকর সিদ্দিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে লড়বেন জুয়াইরিয়া আখতার তামান্না।

কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জাকিয়া আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আলী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ইয়াসিন আরাফাত, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে মো. ইমরান মিয়া, সমাজসেবা সম্পাদক পদে শাহরিয়ার আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে মনসুরুল হক শান্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে মুঈনুল ইসলাম, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে লড়বেন শাহরিয়ার জাবির।

সদস্য পদে: ফারুক হাওলাদার, মোসা. হাবিবা, ইলিয়াস তালুকদার, নূরুল জান্নাত মান্না, ইকরামুল কবির, মোহাম্মদ আফজাল হোসেন সিয়াম, এরফান মোহাম্মদ, রিয়াদ হোসাইন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ ইমাদুল ইসলাম আকাশ, ইসমাইল হোসেন, সাদমান সাকিব, আজিজুল হাসান।

৭. ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’(জামালুদ্দীন খালিদ–মাহিন সরকার নেতৃত্বাধীন)
ভিপি পদে লড়বেন জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ (স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদ), জিএস পদে মো. আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার, এজিএস পদে ফাতেহা শারমিন এ্যানি।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আশিকুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ফারজানা আক্তার মিতু, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ইমরান মিয়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহতাসিন বিল্লাহ ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুহাইমেনুল ইসলাম তকি, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে রাশেদ খান আদিব, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ফাইজুল্লাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে মেহেরিন আফরোজ মাইশা।

সদস্য পদে: গিয়াস উদ্দিন, রাহাত সিকদার, বায়েজিদ হাসান, মো. আব্দুল বাছিত, মো. মোফাজ্জল হোসেন, মনির হোসেন, আবুতালেব (ইফতি), আবরার জারিফ, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ জিহাদ ভূঞাঁ, আকাশ শাহ, ইসমাইল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ।

৮. ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’
ভিপি পদে লড়বেন বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস পদে সাবিনা ইয়াসমিন, এজিএস পদে রাকিবুল ইসলাম।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. শাকিব খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান মজুমদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুখতার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক পদে আশিক হৃদয় আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে রাকিব হোসেন, মানবাধিকার সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহমেদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ইমন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে লড়বেন রজব সালার খান শাওন।

সদস্য পদে: রাহাত, রেজুয়ান, মোহাম্মদ মোহিউদ্দিন আহমেদ, কৌশিক আদির, আব্দুল্লাহ আল নোমান, রাকিবুল আলম রুদ্র, মোফাচ্ছেল হোসেন, এইচ এম মাহতাব ইসলাম।

৯. জুবায়ের–মুসাদ্দিকের স্বতন্ত্র আংশিক প্যানেল
এই প্যানেলে সমাজসেবা সম্পাদক পদে লড়বেন এবি জুবায়ের, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে লড়বেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহম্মদ।

সদস্য পদে: আশিক খান ও আব্দুর রহমান।

১০. ‘সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য’ প্যানেল
এই প্যানেলে ভিপি পদে লড়বেন জান্নাতি বুলবুল (সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী), জিএস পদে মাহমুদুল হাসান (মার্কেটিং বিভাগ) এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে লড়বেন তালহা নেগাবান (আরবি সাহিত্য বিভাগ)।

১১. ‘অপারেজয়-৭১, অদম্য-২৪’ প্যানেল
এই প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়বেন নাইম হাসান হৃদয় (যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ), জিএস পদে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হাসান অনয় এবং এজিএস পদে লড়বেন দর্শন বিভাগের অদিতি ইসলাম।

হল সংসদে পদ কতটি ও কী কী?
প্রতিটি হল সংসদে মোট ১৩টি পদ। সেগুলো হলো: ভিপি, জিএস, এজিএস, সাহিত্য সম্পাদক, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক, পাঠকক্ষ সম্পাদক, অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া সম্পাদক, বহিরাঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক। বাকি চারটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ।

১৮ আবাসিক হলে ভিপি-জিএস প্রার্থী যারা
বেগম রোকেয়া হলে ভিপি পদে লড়ছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা হামিম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ঈশিতা এনাম ঋতু, উর্দু বিভাগের ফাতেমাতুল জান্নাত ইমা, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফারজানা আক্তার (আরজু), অর্থনীতি বিভাগের মোছাম্মৎ আছিয়া আক্তার (রেমিজা) ও সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মোছা. শ্রাবণী আক্তার।

জিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রোকাইয়া সুলতানা ও দর্শন বিভাগের শারমিন আক্তার।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ভিপি পদে প্রার্থী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের মো. ইমন মিয়া, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. জায়েদুল হক (জায়েদ) এবং বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. সুরুজ লড়াই করছেন।

জিএস পদে লড়ছেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আ. রাজ্জাক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তাওহিদুল ইসলাম (তাইমুন), ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের তানভিরুল হক (সোহেল), ফিন্যান্স বিভাগের আরিফ হোসাইন খান ও অর্থনীতি বিভাগের নাসির উদ্দিন আহমেদ।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ভিপি পদে লড়ছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের মো. নাঈমুল আবরার, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. মহিউদ্দিন (মাহাবুব তালুকদার), অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. রাকিব হোসেন খান ও সুমন হোসেন হানিফ।

জিএস পদে প্রার্থী আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ ইমাম, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন, উর্দু বিভাগের মো. এনামুল হক, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. সামির সাদিক ও ফিন্যান্স বিভাগের শেখ মো. ইমরান হোসেন।

বিজয় একাত্তর হলে ভিপি পদে প্রার্থী অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বাসিফ খান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সানজিদ জামান রাব্বি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের হাসানুল বান্না আরফাত লড়াই করছেন।

জিএস পদে প্রার্থী আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক বিল্লাহ, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের কামরুল হাসান, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের মো. সাকিব বিশ্বাস, আইন বিভাগের মো. আবু সালেহিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আল ইমরান।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ভিপি পদে লড়ছেন তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মোক্তার মিয়া, বাংলা বিভাগের মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি বিভাগের মো. আল মেহরাজ শাহরিয়ার মিথুন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. আহসান হাবীব (ইমরোজ), ইতিহাস বিভাগের মো. দেলোয়ার হোসেন হৃদয় ও উর্দু বিভাগের মো. হাসিবুর রহমান আসিফ।

জিএস পদে লড়ছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মাহমুদুল হাসান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. নাজমুস সাকিব।

অমর একুশে হলে ভিপি পদে প্রার্থী গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসাদুল হক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মো. তালহা জুবাইর, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. মাহফুজের রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রবিউল ইসলাম ও ফলিত গণিত বিভাগের শিহাব জামিল।

জিএস পদে লড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান কায়েস, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কায়সার আহমেদ পূর্ণ, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল আহম্মদ ইমন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মো. আব্দুল করিম, ফলিত গণিত বিভাগের মো. মনির হোসেন এবং গণিত বিভাগের মো. রবিউল ইসলাম ও মো. শাহ নোমান জিওন।

শামসুন নাহার হলে ভিপি পদে লড়ছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী কুররাতুল আইন কানিজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তায়েবা হাসান (বিথী), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাছুমা খাতুন ও নৃত্যকলা বিভাগের সুমি আক্তার (স্মৃতি আফরোজ সুমি)।

জিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মারাহ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের রাবেয়া খানম জেরিন ও মার্কেটিং বিভাগের সামিয়া মাসুদ মম।

ফজলুল হক মুসলিম হলভিপি পদে লড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবু জুবাইদ মীম, রসায়ন বিভাগের খন্দকার মো. আবু নাঈম, ফলিত গণিত বিভাগের মেহেদী হাসান ও মো. সোহানুর রহমান সোহাগ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের মো. ওমর ফারুক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. শফিকুর রহমান ও ভূতত্ত্ব বিভাগের শেখ রমজান আলী (রকি)।

জিএস পদে প্রার্থী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো. ইমামুল হাসান, রসায়ন বিভাগের মো. নাজমুল হাসান (নয়ন), জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের মো. মারুফ হাসান ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের হারুন খান সোহেল।

জগন্নাথ হলে ভিপি পদে লড়ছেন প্রাণ রসায়ন ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জয় বিশ্বাস, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পল্লব চন্দ্র বর্মন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শ্রী মধুসূদন কর্মকার, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সুকেশ দেবনাথ, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের স্বপন রায় ও সংস্কৃতি বিভাগের সুশান্ত চন্দ্র সরকার।

জিএস পদে লড়ছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আব্দুল্লাহ আল আমিন, দর্শন বিভাগের মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ শাহরিয়ার, গণিত বিভাগের আব্দুল সালাম ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মেহেদী হাসান।

কবি সুফিয়া কামাল হলে ভিপি পদে লড়ছেন অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিয়া জান্নাত চৌধুরী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাইশা মালিহা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সানজানা আক্তার চৌধুরী (রাত্রি) ও উন্নয়ন অধ্যয়নের সুমাইয়া ফাহমিদা।

জিএস পদে প্রার্থী বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদা সুলতানা, দর্শন বিভাগের মোছা. রুকু খাতুন, আইন বিভাগের সুমাইয়া সিদ্দিকা শান্তা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আফরিন সুলতানা মীম।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ভিপি পদে লড়ছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মো. তানভীর, অর্থনীতি বিভাগের আহমেদ হোসেন জনি, আরবি বিভাগের আহম্মদ উল্লাহ (নোমান), আরবি বিভাগের ছাদিক হোসেন (শিকদার), আরবি বিভাগের মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. আবুজার গিফারি ইফাত।

জিএস পদে প্রার্থী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মহিবুল ইসলাম আকন্দ, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. লূত হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের রাসেলুর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. আব্দুর রহমান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. আব্দুর রহিম ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলে ভিপি পদে লড়ছেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আবু জাফর সিয়াম, ফিন্যান্স বিভাগের মো. মুসলিমুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. মহিউদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোশাররফ হোসাইন, আরবি বিভাগের শরীফ উদ্দিন সরকার ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের সাঈফ আল ইসলাম দীপ।

জিএস পদে প্রার্থী আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ আল সাবাহ, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ইমরান হোসেন, ফিন্যান্স বিভাগের ওমর ফারুক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের রিনভী মোশাররফ।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ভিপি পদে লড়ছেন মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান, রসায়ন বিভাগের মো. আসিফ রায়হান, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের মো. তারেকুল ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের মাছুম বিল্লাল ও ভূতত্ত্ব বিভাগের সোহানুর রহমান সোহাগ।

জিএস পদে প্রার্থী প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম খলিল, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. এনামুল সরদার, অর্থনীতি বিভাগের মো. তাওকির হোসেন ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের হাবিবুর রহমান।

কবি জসীম উদ্দীন হলে ভিপি পদে লড়ছেন মো. আব্দুল ওহেদ, মুহাম্মদ ওসমান গণি, তানভীর আহমেদ নাবিল ও নূরুল গণি (ছগীর)। জিএস পদে প্রার্থী আহমাদুল্লাহ, পারভেজ মাহবুব তানভীর, মো. মারুফ হাসান, মাসুম আব্দুল্লাহ ও সিফাত ইবনে আমিন।

সূর্যসেন হলে ভিপি পদে লড়ছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আজিজুল হক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের মনোয়ার হোসেন (প্রান্ত), আরবি বিভাগের মেসবাউর রহমান ও আধুনিক ভাষা বিভাগের মো. লিমন হাসান।

জিএস পদে প্রার্থী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোখলেছুর রহমান (জাবির), আরবি বিভাগের মো. আজিজুর রহমান মুরাদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. মহিবুল্লাহ রনি।

স্যার এ এফ রহমান হলে ভিপি পদে লড়ছেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, মনোবিজ্ঞান বিভাগের মো. রাকিবুল হাসান, আরবি বিভাগের রফিকুল ইসলাম ও ইংরেজি বিভাগের রবিউল হাসান।

জিএস পদে প্রার্থী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. আশিকুল হক (রিফাত) ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. কাউসার হামিদ।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ভিপি পদে প্রার্থী হয়েছেন বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিম আক্তার আলিফ নাবিলা, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের দিলরুবা আক্তার পলি, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের বাবলী আক্তার মনা, আইন বিভাগের সানজিদা সাবরিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সালসাবিল জান্নাত সুমাইয়া।

জিএস পদে লড়ছেন নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মালিহা বিনতে খান (অবন্তী), মার্কেটিং বিভাগের মিফতাহুল জান্নাত রিফাত, ইতিহাস বিভাগের মুমতাহহিনা মাহজাবীন মোহনা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্বর্ণালী ও ইতিহাস বিভাগের হুমায়রা জান্নাত রিমু।

কুয়েত মৈত্রী হলে ভিপি পদে লড়ছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে রুম্মান, দর্শন বিভাগের নাবিলা শারমিন খান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রাফিয়া রেহনুমা।

জিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস পুতুল, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের নিশিতা জামান নিহা ও মোছা. ছাবিকুন্নাহার।

বহিরাগতদের প্রবেশে ৩৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা 
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সোমবার রাত ৮টা থেকে টানা ৩৪ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে, যা আগামী বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ী ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক, রোগী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।

নিরাপত্তার চাদরে পুরো ক্যাম্পাস 
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ২০৯৬ জন পুলিশ সদস্য, ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম, বিশেষায়িত টিম এবং সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে সোমবার টিএসসি তে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। 
 
তিনি বলেন, বহুল আলোচিত ডাকসুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১ সপ্তাহ ধরে নানাবিধ পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে৷ আশা করছি আগামীকাল বড় কোনো ঘটনা ঘটবে না৷ নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। ১০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু থাকবে। প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হবে। গত ১ মাস ধরে ঢাবি প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি চেকপোস্ট চালু আছে, কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, মোবাইল পেট্রোল, ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত টিম, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, ডিবি (সাদা পোশাকে), সিসিটিভি মনিটরিং সেল, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স থাকবে। বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন থেকে ইউনিফর্মধারী ১৭৭১ জন নিয়োজিত আছেন, আগামীকাল তা বেড়ে হবে ২০৯৬ জন। এর বাইরে সাদা পোশাকে ডিবি, র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা থাকবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোমবার রাত ৮টা থেকে ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরাও অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। আমি আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করলাম। 

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটার ও অন্যান্য যে কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন। যদি অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে তাহলে তাকে যেন পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ছোট ঘটনা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেন অবহিত করা হয়। মঙ্গলবার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা রাখছি। 

জাল আইডি কার্ড বানানো বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা তথ্য পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া চলমান রয়েছে।”

সাইবার বুলিং বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা অত্যাধুনিক যুগ পার করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক শক্তিশালী, সেটিতে বিকৃত ঘটনা আসছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।”

বৈধ অস্ত্র বহনেও নিষেধাজ্ঞা 
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকল ধরনের বৈধ (লাইসেন্সধারী) অস্ত্র প্রবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, “এই নিষেধাজ্ঞা ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।”
 
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আজ ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যতীত অন্য কেউ তার বৈধ বা লাইসেন্সধারী অস্ত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকার মধ্যে বহন করতে পারবেন না। কেউ বহন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সোমবার বিকাল থেকে বন্ধ হয়েছে ঢাবি মেট্রো স্টেশন। এদিন বিকাল ৪টা থেকে ও ৯ সেপ্টেম্বর পুরো দিন স্টেশন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনসংলগ্ন যাতায়াতের জন্য বিকল্প পন্থা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়।

ডাকসুর ভোট গণনা সরাসরি দেখা যাবে ‘এলইডি স্ক্রিনে’
নির্বাচনের ভোট গণনা এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর ভোট গণনা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদর্শন করা হবে।

৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিন ছিল। ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ হবে এবং সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

তিনটি কারণে এবারের ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ঢাবি ভিসি 
তিনটি কারণে এবারের ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানিয়েছেন।
তার বর্ণনা অনুযায়ী কারণগুলো হলো: প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি, যা ধীরে ধীরে জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত, গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ডাকসুর সক্রিয়তা সরাসরি সম্পর্কিত। তৃতীয়ত, এই নির্বাচন বিভিন্ন অংশীজনকে একত্রিত করেছে এবং আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগামীকাল বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। ১১ মাসের দীর্ঘ প্রস্তুতি, হাজারো শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা আর নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। ডাকসুকে ঘিরে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, ভলান্টিয়ার টিমসহ সবাই মাঠে রয়েছে। তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।”

প্রার্থীদের উদ্দেশে ভিসি বলেন, “ডাকসু একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার পর থেকে মাত্র আটবার এই নির্বাচন হয়েছে। অনেক প্রশাসন এমন আয়োজন করতে আগ্রহী থাকে না। কিন্তু আপনারা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিতুন বা হারুন, সেটিই হবে আপনাদের বড় অবদান। তাই একে অপরের প্রতি সহনশীল হোন। হার-জিত যাই হোক, আমাদের মধ্যে এমন কিছু নেই যাতে বড় কোনো সংঘাত তৈরি হয়। যদি তবুও কেউ আইন ভঙ্গ করে, তবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রচারের শেষ দিনে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ 
৭ সেপ্টেম্বর শেষ দিনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল, শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য, বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদসহ ১০টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার ছিল চোখে পড়ার মতো। হল পাড়া থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, টিএসসি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলাভবন এলাকা, মল চত্বর, বটতলাসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছেন প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন সমানতালে।

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারের অভিযোগ, ডাকসু নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি আমরা। প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন ভোট দিতে পারবেন কি না, এমন শঙ্কাও শিক্ষার্থীরা আমাদের জানিয়েছেন। একটা গোষ্ঠীকে জেতানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে কি না এমন শঙ্কাও আছে।”

বাকের অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির লোকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে চাপ দিচ্ছে, যাতে শিবির বা ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলকে ভোট দেয়। এমন কাজ করত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও ছাত্রলীগ। আপনারা ছাত্রলীগের মতো হয়েন না, ঢাবি শিক্ষার্থীরা এটা মেনে নিবে না।”

একই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, “ক্যাম্পাসের মধ্যে জামায়াতের লোক ভোট চাচ্ছে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে। লেগুনা ভাড়া করে নাজিরা বাজারে নিয়ে যাচ্ছে ও খেয়ে আসছে। যারা ছাত্রত্ব শেষ হয়ে এমফিল করছেন, তাদের নাজিরা বাজারই ভরসা।”

ডাকসু নির্বাচনের প্রচার যখন তুঙ্গে, তখন শরীরে অস্ত্রোপচারের কারণে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে হয়েছে প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুকে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রবিবার হুইলচেয়ারে বসে ক্যাম্পাসে এসেছেন তিনি। এসেই সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা অনাবাসিক যারা, তারা প্লিজ ভোট দিতে আসুন। ভোট দিতে আসলে একটা ইকুয়েশন বদলে যাবে। এখানে যত সমীকরণ হচ্ছে, তা দাঁড়াবে না। স্বাধীনতাবিরোধীরা একটি পদেও জিতে আসতে পারবে না।”

প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, “কোনো বড় নেতা এলাকা থেকে ফোন দিয়ে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে ভোট চাওয়া, এটা ফ্যাসিবাদী কায়দা। নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম দেখে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা যতগুলো অভিযোগ করেছি, উনারা সুষ্ঠু তদন্ত করেননি, আমাদেরকে ফিডব্যাকও জানাননি। প্রচারণার শুরুর দিনে আমাদের এক নারী প্রার্থীর ছবি বিকৃত করা হয়েছিল, সেটির কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ছাড়া ক্রমাগত সাইবার বুলিং করেছে, লিখিত অভিযোগ দিলে সেটারও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রবিবার শপথ পাঠের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ। দুপুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি। শপথ বাক্যে তারা ঘোষণা দেন— অতীতের গণরুম প্রথা, গেস্টরুম নির্যাতন, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর যে রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, তা আর কখনো ক্যাম্পাসে ফিরতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া ঢাবি ক্যাম্পাসকে নারীবান্ধব, সুরক্ষিত ও সমঅধিকারভিত্তিক এলাকায় পরিণত করা হবে। নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও ক্ষমতায়নের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। শেষ প্রতিজ্ঞায় বলা হয়, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করবেন তারা।

যেমন থাকবে আবহাওয়া
মঙ্গলবার ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায়ও একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। 

নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেনাবাহিনীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে- এটি বন্ধ করতে সেনাবাহিনী কোনো পদক্ষে নেবে কি না এবং আগামীকালের ভোটে যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়ে সে ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী কী ভূমিকা রাখবে প্রশ্ন করা হলে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এর আগেও আমরা আইএসপিআরের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বলেছি ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবুও কিছু স্বার্থনেষী মহল প্রপাগান্ডা করার চেষ্টা করছে, কিন্তু এ প্রপাগান্ডা করে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, “এ নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে আমরা সবার মঙ্গল কামনা করি।  এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুস্থ পরিবেশে গণতন্ত্র চর্চা আমরা এটি চাই এবং নির্বাচনের চর্চা হোক আমরা এটিও চাই।”

ডাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে শঙ্কা নেই 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ধরণের শঙ্কা নেই বলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন  ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, “আমরা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। কোন ধরণের শঙ্কা আমরা দেখছি না। ভোটগ্রহণ সকাল আটটা থেকে চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। যদি চারটার সময়‌ও কেউ ভোটকেন্দ্রের সামনে অবস্থান করবে তাদের‌ও সুযোগ দেওয়া হবে।”

তিনি আরো বলেন, “এবারের নির্বাচন হবে একটি মডেল নির্বাচন, যা বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করতে পারে এমন দৃষ্টান্ত ঢাবি শিক্ষার্থীরা তৈরি করবে।”

অধ্যাপক জসীম বলেন, “যেভাবে আপনাদের কথা দিয়েছিলাম ‌সেগুলোর প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরনণ করে আজকের এই পর্যায়ে এসেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডাকসুতে অংশগ্রহণ করছে। আপনারা ডাকসু প্রার্থীদের সংখ্যা দেখেই বুঝতে পারছেন।”

শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থী সবাই যেন ভোট দিতে আসে তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে। আমরা ৮ টি কেন্দ্রে ৮১০ টি বুথ স্থাপন করেছি। আমরা সকল অংশীজনের সহযোগিতা চাই। যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি।”

নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোয় ৭ প্রার্থীকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদমর্যাদা) ওমর ফারুক রাকিবকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে কোনো রূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

ছাত্রদল ঢাবি সংসদ থেকে আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল সংসদের এজিএস পদে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অছিকুর রহমান জয় ও একই হল সংসদের সদস্য পদে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য নাহিন নিয়াজ মাহি; মাস্টারদা সূর্যসেন হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক পদে মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য সাব্বির আহমেদ সোহান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জেভিয়ার হাসান; ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদের ভিপি পদে ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের কর্মী (সাবেক দপ্তর সম্পাদক) সোহানুর রহমান সোহাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সিফাতুল ইসলাম নির্বাচন করায় তাদের সকল সাংগঠনিক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ এবং হল সংসদসমূহে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসমূহ ব্যতীত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যেসকল নেতাকর্মী এখনও নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদেরকে এই সতর্কীকরণ বিবৃতির মাধ্যমে সর্বশেষ সতর্কবার্তা প্রদান করা হলো। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে এসব  প্রার্থীরা স্ব স্ব প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর এসব প্রার্থিতা সরে না দাঁড়ানোয় আজ তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিল সংগঠনটি। এর আগেও একবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সর্তকর্তা করেছিল সংগঠনটি।

ট্যাগঃ

‘ঐতিহাসিক’ ডাকসু নির্বাচন: ‘সর্বাত্মক’ প্রস্তুতি, শিক্ষার্থীদের রায় দেওয়ার দিন আজ

সময়ঃ ১২:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বহুল প্রত্যাশার সেই দিন এসে গেছে, যা দেখবে পুরো দেশ। আইন-কানুন ও ইচ্ছা-অনিচ্ছার সব চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হবে মঙ্গলবার সকাল ৮টায়, শিক্ষার্থীরা তাদের বৈধ প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার জন্য রায় দেওয়া শুরু করতে পারবেন এই সময় থেকে; যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠার পর ডাকসু নির্বাচন হয়েছে ৩৬ বার। দীর্ঘ বিরতির পর ৩৭তম বারে এসে ইসলামী ছাত্রশিবিরের অংশ নেওয়ার ঘটনা যেমন বাড়তি কৌতূহল তৈরি করেছে, তেমনি তর্ক-বিতর্কের পরিসরও বাড়িয়েছে। ফলে উদার ও প্রগতিশীল চর্চার ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনগুলো এবং স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী-প্রার্থীদের বিপরীতে ধর্মভিত্তিক ছাত্রসংগঠনের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে এবারের ডাকসু ভোটকে।

‘মিনি সংসদ’ খ্যাত ডাকসু। বলা হয় ডাকসুতে দেখা যায় দেশের রাজনীতির প্রতিচ্ছবি, জাতীয় সংসদের ছায়া। ফলে এই নির্বাচনের তফসিল থেকে ভোটগ্রহণ- এই পুরো প্রক্রিয়া দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্তরে সমান গুরুত্বে আলোচনায় এসেছে। সেটি মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সুষ্ঠু-স্বচ্ছ ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ডাকসুর নেতৃত্ব নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী-ভোটারের ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্র ও বুথ থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। ভোটগ্রহণের সময় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, শিক্ষার্থীদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করাসহ নানা ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সব কিছুর মধ্যেই ছয় বছর পর ডাকসু নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। 

বিভিন্ন প্যানেল থেকে এবং স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নেওয়া ডাকসু প্রার্থীদের এবারের প্রচারযজ্ঞে দেখা গেছে ভিন্নতা। আলোচনায় এসেছেন পাহাড়ি ও প্রতিবন্ধিতা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাম প্রার্থীরা।

ভোট দিতে পারবেন যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীরাই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার হওয়ার যোগ্য। এর মধ্যে অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিল করছেন, ভর্তি হওয়া এমন শিক্ষার্থীরাই এবার ভোটার হতে পেরেছেন। সান্ধ্যকালীন ও পার্ট টাইম কোর্সের শিক্ষার্থীরা ডাকসুর ভোটার হতে পারেননি, কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, বিশেষ করে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতা ও জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার মামলা রয়েছে, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ভোটার কত, ছাত্র না ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বেশি?
আপত্তি নিষ্পত্তি ও সংশোধনের পর নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ২০ হাজার ৮৭৩ জন ছাত্র এবং ১৮ হাজার ৯০২ জন ছাত্রী। ছাত্রী ভোটারদের শতকরা হার ৪৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, আর ছাত্রদের হার ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

ছাত্র ভোটারদের মধ্যে অমর একুশে হলে ১২৯৫ জন, কবি জসীমউদ্দিন হলে ১৩০৩ জন, জগন্নাথ হলে ২২২২ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১৬০৬ জন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ১৯৯৮ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ১৭৬২ জন, বিজয় একাত্তর হলে ২০২৭ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ১৭৫১ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ১৯৫৭ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬৬৪ জন, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ১৪৯৯ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ১৩৭৭ জন এবং হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ১৪০২ জন রয়েছেন।

ছাত্রী ভোটারদের মধ্যে রোকেয়া হলে ৫৬৪১ জন, শামসুন নাহার হলে ৪০৮৪ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ২১০৩ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৪৪৩৪ জন এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ২৬৪০ জন আছেন।

ডাকসুতে এবার পদ ২৮টি
গত জানুয়ারিতে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরামর্শদান, নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয়ন-সংশোধন এবং ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্র সংশোধন-পরিমার্জন করার বিষয়ে পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব কমিটি সংশোধন-পরিমার্জনের কাজ করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়।

গঠনতন্ত্র সংশোধন-পরিমার্জন কমিটির সুপারিশে দেখা গেছে, এবার ২৮টি পদ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন ৪টি পদ তৈরি করা হয়েছে। আর পরিমার্জন করা হয়েছে তিনটির; এরমধ্যে দুটি আলাদা পদ থেকে একটি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। 

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদের নাম পরিবর্তন করে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক’ করা হয়েছে। কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদকে ‘রিডিং রুম’ যোগ করে ‘কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক’ পদ করা হয়েছে। আগে সাহিত্য সম্পাদক এবং সংস্কৃতি সম্পাদক দুটি আলাদা পদ ছিল। এখন সেটি ‘সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক’ পদ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ৪টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব পদ হচ্ছে: গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।

নিয়ম অনুযায়ী, ডাকসুর সভাপতি ক্ষমতাবলে উপাচার্যই থাকেন। আর তিনি একজন অধ্যাপককে কোষাধ্যক্ষ মনোনীত করেন। ফলে এ দুটি পদে কোনো ভোটগ্রহণ হবে না।

যেসব পদে নির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস), সদস্য পদ ১৩টি এবং ৫টি সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি। অপরিবর্তিত ৫টি সম্পাদক পদ হলো: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক; আন্তর্জাতিক সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; ছাত্র পরিবহন সম্পাদক এবং সমাজসেবা সম্পাদক।

ডাকসুতে যতজন লড়ছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন এবং সদস্য পদে লড়াই করছেন ২১৭ জন।

ভিপি ও জিএস পদে আলোচনায় যারা
ডাকসু নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন, শিবির সমর্থিত প্যানেলের আবু সাদিক কায়েম, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা এবং বাগছাস সমর্থিত আব্দুল কাদের। তাদের মধ্য থেকেই এবারে ভিপি নির্বাচিত হবেন বলেই মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। 

জিএস পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের শেখ তানভীর বারি হামিম, বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের আবু বাকের মজুমদার, শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম ফরহাদ, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আরাফাত চৌধুরী।

৮ ভোটকেন্দ্রে বুথ থাকবে ৮১০
৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট ৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮১০টি সমবণ্টিতভাবে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই সংখ্যার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে যেন প্রতিটি ভোটার ভোট প্রদান করতে পারেন এবং একজন ভোটার গড়পড়তা ১০ মিনিট সময় ব্যয় করেই ভোটদান শেষ করতে পারেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিকাল ৪টার মধ্যে বুথে উপস্থিত সকল ভোটারের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে, এমনকি লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। নির্বাচনের দিন ক্যাম্পাসে সকল শিক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা থাকবে। ভোটারদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিতে সব বাস সার্ভিসের সময়সূচি অনুযায়ী চলবে।

ভোট দিতে হবে যেভাবে
ভোট দেওয়ার বিষয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস একটি সচেতনতামূলক ভিডিওচিত্র প্রচার করছে। এতে দেখানো হয়, ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হলে তার লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন স্লিপ দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল আইডি কার্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। পরিচয় নিশ্চিতের পর ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় কালির দাগ দেবেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা।

ভোটার তালিকায় নিজের নামের পাশে স্বাক্ষর করবেন ভোটার। এরপর পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটার নম্বর জানাতে হবে। ব্যালট নিয়ে ভোটার প্রবেশ করবেন গোপন কক্ষে। ব্যালট পেপার থেকে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর খুঁজে বের করবেন ভোটার।

এরপর পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের ঘরে স্পষ্টভাবে ক্রস চিহ্ন দেবেন ভোটার। খেয়াল রাখতে হবে, ক্রস চিহ্নটি যেন ঘরের বাইরে না যায়। পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদান শেষে ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার জমা দেবেন ভোটার।

কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট বক্স থাকবে। ব্যালট পেপার ভাঁজ না করে সেগুলো নির্ধারিত বাক্সে ফেলে ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

ডাকসু নির্বাচনে ১১ প্যানেলে লড়ছেন যারা

১. ছাত্রদলের প্যানেল ‘আবিদ-হামিম-মায়েদ’
এই প্যানেলের ভিপি পদে লড়বেন মো. আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম (কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক), এজিএস পদে লড়েবেন তানভীর আল হাদী মায়েদ (বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক)।

গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ শূন্য রাখা হয়েছে (আহত শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বীকে সমর্থন জানাতে)।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে সাইফ উল্লাহ সাইফ, সমাজসেবা সম্পাদক পদে সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসাইন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে লড়বেন মেহেদী হাসান মুন্না।

সদস্য পদ: জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, হাসিবুর রহমান সাকিব, শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, শামসুল হক আনান ও নিত্যানন্দ পাল।

২. শিবিরের প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’
এই প্যানেলের ভিপি পদে লড়বেন সাদিক কায়েম (শিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক ঢাবি সভাপতি), জিএস পদে এস এম ফরহাদ (ঢাবি শাখা সভাপতি), এজিএস পদে লড়বেন মহিউদ্দিন খান (ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক)।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ফাতিমা তাসনীম জুমা (ইনকিলাব মঞ্চ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার; কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে খান জসীম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম সাব্বির (বর্তমান ঢাবি শিবিরের অর্থ সম্পাদক), ক্রীড়া সম্পাদক পদে আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সাজ্জাদ হোসাইন খান (ঢাবি শিবিরের দপ্তর সম্পাদক), ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে সাখাওয়াত জাকারিয়া।

সদস্য পদে: সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, তাজিনুর রহমান, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, আনাস বিন মনির।

৩. গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমর্থিত ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’
ভিপি পদে লড়বেন আবদুল কাদের, জিএস পদে আবু বকর মজুমদার, এজিএস পদে আশরেফা খাতুন।

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাহিয়ান ফারুক, সমাজসেবা সম্পাদক পদে মহির আলম, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে মো. হাসিবুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সাকিব, ক্রীড়া সম্পাদক পদে আল আমিন সরকার, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে আনিকা তাহসিনা, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে মিতু আক্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আহাদ বিন ইসলাম শোয়েব, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে সাব্বির আহমেদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে লড়বেন মো. ঈসমাইল হোসেন রুদ্র।

সদস্য পদে: মো. মাসউদুজ্জামান, ফেরদৌস আইয়াম, ইসমাঈল, তাপসী রাবেয়া, মো. আরমানুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রিফতি আল জাবেদ, আশরাফ অনিক, রওনক জাহান, মাহফুজা নওয়ার নওরীন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আরিফুর রহমান, ফেরদৌস আলম।

৪. ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ (উমামা–সাদী নেতৃত্বাধীন)
ভিপি পদে লড়বেন উমামা ফাতেমা, জিএস পদে আল সাদী ভূঁইয়া, এজিএস পদে জাহেদ আহমদ।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে নূমান আহমাদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মমিনুল ইসলাম (বিধান), আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে নাফিজ বাশার আলিফ, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে সুর্মী চাকমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অনিদ হাসান, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ফেরদৌস ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. সাদিকুজ্জামান সরকার, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে মো. রাফিজ খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে তানভীর সামাদ, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ইসরাত জাহান নিঝুম, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে নুসরাত জাহান নিসু।

সদস্য পদে: নওরীন সুলতানা তমা, আবিদ আব্দুল্লাহ, ববি বিশ্বাস, মো. শাকিল, মো. হাসান জুবায়ের (তুফান), আব্দুল্লাহ আল মুবিন (রিফাত), অর্ক বড়ুয়া, আবির হাসান, নেওয়াজ শরীফ আরমান, মো. মুকতারুল ইসলাম (রিদয়), হাসিবুর রহমান, রাফিউল হক রাফি, মো. সজিব হোসেন, সাদেকুর রহমান সানি।

৫. বামজোটের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’
ভিপি পদে লড়বেন শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস পদে মেঘমল্লার বসু , এজিএস পদে জাবির আহমেদ জুবেল।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে মোজাম্মেল হক, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে নূজিয়া হাসিন (রাশা), মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে আকাশ আলী, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে লিটন ত্রিপুরা, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আবু মুজাহিদ, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে নিনাদ খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে নাঈম উদ্দীন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ফারিয়া মতিন (ইলা), ক্রীড়া সম্পাদক পদে মালিহা তাবাসসুম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে শেখ তাসনুভা সৃষ্টি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ফাতিন ইশরাক, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আমানত ইমরান।

সদস্য পদে: তফসিরুল্লাহ (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা), রাজেকুজ্জামান জুয়েল (টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি), ওয়াকার রহমান সৌরভ (পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ), মোহাম্মদ মুস্তাকিম (অর্থনীতি), মিশকাতুল মাশিয়াত তানিশা (ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট), আতিকা আনজুম অর্থী (কারুশিল্প), পৃথিং মারমা (অপরাধ বিজ্ঞান), ইসরাত জাহান ইমু (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস), আনিয়া ফাহমিন (নৃবিজ্ঞান), রাহনুমা আহমেদ নিরেট (পদার্থবিজ্ঞান), সাজিদ উল ইসলাম (প্রাচ্যকলা), হেমা চাকমা (স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি), আলমগীর হোসেন (তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা)।

৬. ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’
ভিপি পদে লড়বেন ইয়াসিন আরাফাত (ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি), জিএস পদে খায়রুল আহসান মারজান (কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল), এজিএস পদে সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (ঢাবি শাখার সেক্রেটারি), মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আবু বকর সিদ্দিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে লড়বেন জুয়াইরিয়া আখতার তামান্না।

কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জাকিয়া আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আলী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ইয়াসিন আরাফাত, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে মো. ইমরান মিয়া, সমাজসেবা সম্পাদক পদে শাহরিয়ার আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে মনসুরুল হক শান্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে মুঈনুল ইসলাম, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে লড়বেন শাহরিয়ার জাবির।

সদস্য পদে: ফারুক হাওলাদার, মোসা. হাবিবা, ইলিয়াস তালুকদার, নূরুল জান্নাত মান্না, ইকরামুল কবির, মোহাম্মদ আফজাল হোসেন সিয়াম, এরফান মোহাম্মদ, রিয়াদ হোসাইন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ ইমাদুল ইসলাম আকাশ, ইসমাইল হোসেন, সাদমান সাকিব, আজিজুল হাসান।

৭. ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’(জামালুদ্দীন খালিদ–মাহিন সরকার নেতৃত্বাধীন)
ভিপি পদে লড়বেন জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ (স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদ), জিএস পদে মো. আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার, এজিএস পদে ফাতেহা শারমিন এ্যানি।

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আশিকুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ফারজানা আক্তার মিতু, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ইমরান মিয়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহতাসিন বিল্লাহ ইমন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুহাইমেনুল ইসলাম তকি, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে রাশেদ খান আদিব, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ফাইজুল্লাহ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে মেহেরিন আফরোজ মাইশা।

সদস্য পদে: গিয়াস উদ্দিন, রাহাত সিকদার, বায়েজিদ হাসান, মো. আব্দুল বাছিত, মো. মোফাজ্জল হোসেন, মনির হোসেন, আবুতালেব (ইফতি), আবরার জারিফ, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ জিহাদ ভূঞাঁ, আকাশ শাহ, ইসমাইল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ।

৮. ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’
ভিপি পদে লড়বেন বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস পদে সাবিনা ইয়াসমিন, এজিএস পদে রাকিবুল ইসলাম।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. শাকিব খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান মজুমদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুখতার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক পদে আশিক হৃদয় আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে রাকিব হোসেন, মানবাধিকার সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহমেদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ইমন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে লড়বেন রজব সালার খান শাওন।

সদস্য পদে: রাহাত, রেজুয়ান, মোহাম্মদ মোহিউদ্দিন আহমেদ, কৌশিক আদির, আব্দুল্লাহ আল নোমান, রাকিবুল আলম রুদ্র, মোফাচ্ছেল হোসেন, এইচ এম মাহতাব ইসলাম।

৯. জুবায়ের–মুসাদ্দিকের স্বতন্ত্র আংশিক প্যানেল
এই প্যানেলে সমাজসেবা সম্পাদক পদে লড়বেন এবি জুবায়ের, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে লড়বেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহম্মদ।

সদস্য পদে: আশিক খান ও আব্দুর রহমান।

১০. ‘সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য’ প্যানেল
এই প্যানেলে ভিপি পদে লড়বেন জান্নাতি বুলবুল (সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী), জিএস পদে মাহমুদুল হাসান (মার্কেটিং বিভাগ) এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে লড়বেন তালহা নেগাবান (আরবি সাহিত্য বিভাগ)।

১১. ‘অপারেজয়-৭১, অদম্য-২৪’ প্যানেল
এই প্যানেল থেকে ভিপি পদে লড়বেন নাইম হাসান হৃদয় (যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ), জিএস পদে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হাসান অনয় এবং এজিএস পদে লড়বেন দর্শন বিভাগের অদিতি ইসলাম।

হল সংসদে পদ কতটি ও কী কী?
প্রতিটি হল সংসদে মোট ১৩টি পদ। সেগুলো হলো: ভিপি, জিএস, এজিএস, সাহিত্য সম্পাদক, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক, পাঠকক্ষ সম্পাদক, অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া সম্পাদক, বহিরাঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক, সমাজসেবা সম্পাদক। বাকি চারটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ।

১৮ আবাসিক হলে ভিপি-জিএস প্রার্থী যারা
বেগম রোকেয়া হলে ভিপি পদে লড়ছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আয়শা সিদ্দিকা হামিম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ঈশিতা এনাম ঋতু, উর্দু বিভাগের ফাতেমাতুল জান্নাত ইমা, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফারজানা আক্তার (আরজু), অর্থনীতি বিভাগের মোছাম্মৎ আছিয়া আক্তার (রেমিজা) ও সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মোছা. শ্রাবণী আক্তার।

জিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রোকাইয়া সুলতানা ও দর্শন বিভাগের শারমিন আক্তার।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ভিপি পদে প্রার্থী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের মো. ইমন মিয়া, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. জায়েদুল হক (জায়েদ) এবং বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. সুরুজ লড়াই করছেন।

জিএস পদে লড়ছেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আ. রাজ্জাক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তাওহিদুল ইসলাম (তাইমুন), ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের তানভিরুল হক (সোহেল), ফিন্যান্স বিভাগের আরিফ হোসাইন খান ও অর্থনীতি বিভাগের নাসির উদ্দিন আহমেদ।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ভিপি পদে লড়ছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের মো. নাঈমুল আবরার, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. মহিউদ্দিন (মাহাবুব তালুকদার), অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. রাকিব হোসেন খান ও সুমন হোসেন হানিফ।

জিএস পদে প্রার্থী আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ ইমাম, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন, উর্দু বিভাগের মো. এনামুল হক, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. সামির সাদিক ও ফিন্যান্স বিভাগের শেখ মো. ইমরান হোসেন।

বিজয় একাত্তর হলে ভিপি পদে প্রার্থী অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বাসিফ খান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মো. সাজ্জাদ হোসেন, বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সানজিদ জামান রাব্বি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের হাসানুল বান্না আরফাত লড়াই করছেন।

জিএস পদে প্রার্থী আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক বিল্লাহ, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের কামরুল হাসান, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের মো. সাকিব বিশ্বাস, আইন বিভাগের মো. আবু সালেহিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আল ইমরান।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ভিপি পদে লড়ছেন তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মোক্তার মিয়া, বাংলা বিভাগের মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি বিভাগের মো. আল মেহরাজ শাহরিয়ার মিথুন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মো. আহসান হাবীব (ইমরোজ), ইতিহাস বিভাগের মো. দেলোয়ার হোসেন হৃদয় ও উর্দু বিভাগের মো. হাসিবুর রহমান আসিফ।

জিএস পদে লড়ছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মাহমুদুল হাসান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. নাজমুস সাকিব।

অমর একুশে হলে ভিপি পদে প্রার্থী গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসাদুল হক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মো. তালহা জুবাইর, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. মাহফুজের রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. রবিউল ইসলাম ও ফলিত গণিত বিভাগের শিহাব জামিল।

জিএস পদে লড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান কায়েস, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কায়সার আহমেদ পূর্ণ, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল আহম্মদ ইমন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মো. আব্দুল করিম, ফলিত গণিত বিভাগের মো. মনির হোসেন এবং গণিত বিভাগের মো. রবিউল ইসলাম ও মো. শাহ নোমান জিওন।

শামসুন নাহার হলে ভিপি পদে লড়ছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী কুররাতুল আইন কানিজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তায়েবা হাসান (বিথী), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাছুমা খাতুন ও নৃত্যকলা বিভাগের সুমি আক্তার (স্মৃতি আফরোজ সুমি)।

জিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মারাহ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের রাবেয়া খানম জেরিন ও মার্কেটিং বিভাগের সামিয়া মাসুদ মম।

ফজলুল হক মুসলিম হলভিপি পদে লড়ছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবু জুবাইদ মীম, রসায়ন বিভাগের খন্দকার মো. আবু নাঈম, ফলিত গণিত বিভাগের মেহেদী হাসান ও মো. সোহানুর রহমান সোহাগ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের মো. ওমর ফারুক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. শফিকুর রহমান ও ভূতত্ত্ব বিভাগের শেখ রমজান আলী (রকি)।

জিএস পদে প্রার্থী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো. ইমামুল হাসান, রসায়ন বিভাগের মো. নাজমুল হাসান (নয়ন), জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের মো. মারুফ হাসান ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের হারুন খান সোহেল।

জগন্নাথ হলে ভিপি পদে লড়ছেন প্রাণ রসায়ন ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জয় বিশ্বাস, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পল্লব চন্দ্র বর্মন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শ্রী মধুসূদন কর্মকার, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সুকেশ দেবনাথ, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের স্বপন রায় ও সংস্কৃতি বিভাগের সুশান্ত চন্দ্র সরকার।

জিএস পদে লড়ছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ হাসান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আব্দুল্লাহ আল আমিন, দর্শন বিভাগের মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ শাহরিয়ার, গণিত বিভাগের আব্দুল সালাম ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মেহেদী হাসান।

কবি সুফিয়া কামাল হলে ভিপি পদে লড়ছেন অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিয়া জান্নাত চৌধুরী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাইশা মালিহা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সানজানা আক্তার চৌধুরী (রাত্রি) ও উন্নয়ন অধ্যয়নের সুমাইয়া ফাহমিদা।

জিএস পদে প্রার্থী বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদা সুলতানা, দর্শন বিভাগের মোছা. রুকু খাতুন, আইন বিভাগের সুমাইয়া সিদ্দিকা শান্তা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আফরিন সুলতানা মীম।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ভিপি পদে লড়ছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মো. তানভীর, অর্থনীতি বিভাগের আহমেদ হোসেন জনি, আরবি বিভাগের আহম্মদ উল্লাহ (নোমান), আরবি বিভাগের ছাদিক হোসেন (শিকদার), আরবি বিভাগের মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. আবুজার গিফারি ইফাত।

জিএস পদে প্রার্থী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মহিবুল ইসলাম আকন্দ, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. লূত হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের রাসেলুর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. আব্দুর রহমান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. আব্দুর রহিম ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হলে ভিপি পদে লড়ছেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আবু জাফর সিয়াম, ফিন্যান্স বিভাগের মো. মুসলিমুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. মহিউদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মোশাররফ হোসাইন, আরবি বিভাগের শরীফ উদ্দিন সরকার ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের সাঈফ আল ইসলাম দীপ।

জিএস পদে প্রার্থী আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ আল সাবাহ, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ইমরান হোসেন, ফিন্যান্স বিভাগের ওমর ফারুক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের রিনভী মোশাররফ।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ভিপি পদে লড়ছেন মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান, রসায়ন বিভাগের মো. আসিফ রায়হান, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের মো. তারেকুল ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের মাছুম বিল্লাল ও ভূতত্ত্ব বিভাগের সোহানুর রহমান সোহাগ।

জিএস পদে প্রার্থী প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম খলিল, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. এনামুল সরদার, অর্থনীতি বিভাগের মো. তাওকির হোসেন ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের হাবিবুর রহমান।

কবি জসীম উদ্দীন হলে ভিপি পদে লড়ছেন মো. আব্দুল ওহেদ, মুহাম্মদ ওসমান গণি, তানভীর আহমেদ নাবিল ও নূরুল গণি (ছগীর)। জিএস পদে প্রার্থী আহমাদুল্লাহ, পারভেজ মাহবুব তানভীর, মো. মারুফ হাসান, মাসুম আব্দুল্লাহ ও সিফাত ইবনে আমিন।

সূর্যসেন হলে ভিপি পদে লড়ছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আজিজুল হক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের মনোয়ার হোসেন (প্রান্ত), আরবি বিভাগের মেসবাউর রহমান ও আধুনিক ভাষা বিভাগের মো. লিমন হাসান।

জিএস পদে প্রার্থী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোখলেছুর রহমান (জাবির), আরবি বিভাগের মো. আজিজুর রহমান মুরাদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মো. মহিবুল্লাহ রনি।

স্যার এ এফ রহমান হলে ভিপি পদে লড়ছেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, মনোবিজ্ঞান বিভাগের মো. রাকিবুল হাসান, আরবি বিভাগের রফিকুল ইসলাম ও ইংরেজি বিভাগের রবিউল হাসান।

জিএস পদে প্রার্থী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. আশিকুল হক (রিফাত) ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. কাউসার হামিদ।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ভিপি পদে প্রার্থী হয়েছেন বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিম আক্তার আলিফ নাবিলা, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের দিলরুবা আক্তার পলি, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের বাবলী আক্তার মনা, আইন বিভাগের সানজিদা সাবরিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সালসাবিল জান্নাত সুমাইয়া।

জিএস পদে লড়ছেন নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মালিহা বিনতে খান (অবন্তী), মার্কেটিং বিভাগের মিফতাহুল জান্নাত রিফাত, ইতিহাস বিভাগের মুমতাহহিনা মাহজাবীন মোহনা, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্বর্ণালী ও ইতিহাস বিভাগের হুমায়রা জান্নাত রিমু।

কুয়েত মৈত্রী হলে ভিপি পদে লড়ছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে রুম্মান, দর্শন বিভাগের নাবিলা শারমিন খান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রাফিয়া রেহনুমা।

জিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস পুতুল, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের নিশিতা জামান নিহা ও মোছা. ছাবিকুন্নাহার।

বহিরাগতদের প্রবেশে ৩৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা 
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সোমবার রাত ৮টা থেকে টানা ৩৪ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রবেশপথ সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে, যা আগামী বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ (শাহবাগ, পলাশী, দোয়েল চত্বর, শিববাড়ী ক্রসিং, ফুলার রোড, উদয়ন স্কুল ও নীলক্ষেত) সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ আইডি কার্ডধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রবেশ করতে পারবেন এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত ও জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন (অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক, রোগী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিক ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহন) ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।

নিরাপত্তার চাদরে পুরো ক্যাম্পাস 
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ২০৯৬ জন পুলিশ সদস্য, ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম, বিশেষায়িত টিম এবং সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলে সোমবার টিএসসি তে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। 
 
তিনি বলেন, বহুল আলোচিত ডাকসুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ১ সপ্তাহ ধরে নানাবিধ পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে৷ আশা করছি আগামীকাল বড় কোনো ঘটনা ঘটবে না৷ নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। ১০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু থাকবে। প্রয়োজনে তা আরো বাড়ানো হবে। গত ১ মাস ধরে ঢাবি প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮টি চেকপোস্ট চালু আছে, কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, মোবাইল পেট্রোল, ডগ স্কোয়াড, বিশেষায়িত টিম, বোম এক্সপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম, ডিবি (সাদা পোশাকে), সিসিটিভি মনিটরিং সেল, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স থাকবে। বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন থেকে ইউনিফর্মধারী ১৭৭১ জন নিয়োজিত আছেন, আগামীকাল তা বেড়ে হবে ২০৯৬ জন। এর বাইরে সাদা পোশাকে ডিবি, র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা থাকবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোমবার রাত ৮টা থেকে ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাইসেন্সধারী ব্যক্তিরাও অস্ত্র বহন করতে পারবেন না। আমি আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করলাম। 

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটার ও অন্যান্য যে কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন। যদি অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে তাহলে তাকে যেন পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ছোট ঘটনা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেন অবহিত করা হয়। মঙ্গলবার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা রাখছি। 

জাল আইডি কার্ড বানানো বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা তথ্য পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া চলমান রয়েছে।”

সাইবার বুলিং বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা অত্যাধুনিক যুগ পার করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক শক্তিশালী, সেটিতে বিকৃত ঘটনা আসছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।”

বৈধ অস্ত্র বহনেও নিষেধাজ্ঞা 
নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকল ধরনের বৈধ (লাইসেন্সধারী) অস্ত্র প্রবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সোমবার ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বলা হয়, “এই নিষেধাজ্ঞা ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।”
 
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আজ ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যতীত অন্য কেউ তার বৈধ বা লাইসেন্সধারী অস্ত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকার মধ্যে বহন করতে পারবেন না। কেউ বহন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে সোমবার বিকাল থেকে বন্ধ হয়েছে ঢাবি মেট্রো স্টেশন। এদিন বিকাল ৪টা থেকে ও ৯ সেপ্টেম্বর পুরো দিন স্টেশন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনসংলগ্ন যাতায়াতের জন্য বিকল্প পন্থা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়।

ডাকসুর ভোট গণনা সরাসরি দেখা যাবে ‘এলইডি স্ক্রিনে’
নির্বাচনের ভোট গণনা এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর ভোট গণনা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদর্শন করা হবে।

৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিন ছিল। ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ হবে এবং সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

তিনটি কারণে এবারের ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ঢাবি ভিসি 
তিনটি কারণে এবারের ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানিয়েছেন।
তার বর্ণনা অনুযায়ী কারণগুলো হলো: প্রথমত, এটি শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি, যা ধীরে ধীরে জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয়ত, গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ডাকসুর সক্রিয়তা সরাসরি সম্পর্কিত। তৃতীয়ত, এই নির্বাচন বিভিন্ন অংশীজনকে একত্রিত করেছে এবং আমাদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগামীকাল বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। ১১ মাসের দীর্ঘ প্রস্তুতি, হাজারো শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা আর নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। ডাকসুকে ঘিরে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, ভলান্টিয়ার টিমসহ সবাই মাঠে রয়েছে। তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।”

প্রার্থীদের উদ্দেশে ভিসি বলেন, “ডাকসু একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। স্বাধীনতার পর থেকে মাত্র আটবার এই নির্বাচন হয়েছে। অনেক প্রশাসন এমন আয়োজন করতে আগ্রহী থাকে না। কিন্তু আপনারা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিতুন বা হারুন, সেটিই হবে আপনাদের বড় অবদান। তাই একে অপরের প্রতি সহনশীল হোন। হার-জিত যাই হোক, আমাদের মধ্যে এমন কিছু নেই যাতে বড় কোনো সংঘাত তৈরি হয়। যদি তবুও কেউ আইন ভঙ্গ করে, তবে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রচারের শেষ দিনে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ 
৭ সেপ্টেম্বর শেষ দিনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল, শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট, উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য, বাম-সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদসহ ১০টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার ছিল চোখে পড়ার মতো। হল পাড়া থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, টিএসসি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলাভবন এলাকা, মল চত্বর, বটতলাসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছেন প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন সমানতালে।

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারের অভিযোগ, ডাকসু নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি আমরা। প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন ভোট দিতে পারবেন কি না, এমন শঙ্কাও শিক্ষার্থীরা আমাদের জানিয়েছেন। একটা গোষ্ঠীকে জেতানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে কি না এমন শঙ্কাও আছে।”

বাকের অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপির লোকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে চাপ দিচ্ছে, যাতে শিবির বা ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলকে ভোট দেয়। এমন কাজ করত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও ছাত্রলীগ। আপনারা ছাত্রলীগের মতো হয়েন না, ঢাবি শিক্ষার্থীরা এটা মেনে নিবে না।”

একই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, “ক্যাম্পাসের মধ্যে জামায়াতের লোক ভোট চাচ্ছে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে। লেগুনা ভাড়া করে নাজিরা বাজারে নিয়ে যাচ্ছে ও খেয়ে আসছে। যারা ছাত্রত্ব শেষ হয়ে এমফিল করছেন, তাদের নাজিরা বাজারই ভরসা।”

ডাকসু নির্বাচনের প্রচার যখন তুঙ্গে, তখন শরীরে অস্ত্রোপচারের কারণে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে হয়েছে প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুকে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রবিবার হুইলচেয়ারে বসে ক্যাম্পাসে এসেছেন তিনি। এসেই সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা অনাবাসিক যারা, তারা প্লিজ ভোট দিতে আসুন। ভোট দিতে আসলে একটা ইকুয়েশন বদলে যাবে। এখানে যত সমীকরণ হচ্ছে, তা দাঁড়াবে না। স্বাধীনতাবিরোধীরা একটি পদেও জিতে আসতে পারবে না।”

প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, “কোনো বড় নেতা এলাকা থেকে ফোন দিয়ে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে ভোট চাওয়া, এটা ফ্যাসিবাদী কায়দা। নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম দেখে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমরা যতগুলো অভিযোগ করেছি, উনারা সুষ্ঠু তদন্ত করেননি, আমাদেরকে ফিডব্যাকও জানাননি। প্রচারণার শুরুর দিনে আমাদের এক নারী প্রার্থীর ছবি বিকৃত করা হয়েছিল, সেটির কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ছাড়া ক্রমাগত সাইবার বুলিং করেছে, লিখিত অভিযোগ দিলে সেটারও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রবিবার শপথ পাঠের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ। দুপুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি। শপথ বাক্যে তারা ঘোষণা দেন— অতীতের গণরুম প্রথা, গেস্টরুম নির্যাতন, জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর যে রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, তা আর কখনো ক্যাম্পাসে ফিরতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া ঢাবি ক্যাম্পাসকে নারীবান্ধব, সুরক্ষিত ও সমঅধিকারভিত্তিক এলাকায় পরিণত করা হবে। নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও ক্ষমতায়নের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া। শেষ প্রতিজ্ঞায় বলা হয়, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করবেন তারা।

যেমন থাকবে আবহাওয়া
মঙ্গলবার ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায়ও একই ধরনের আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। 

নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেনাবাহিনীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে- এটি বন্ধ করতে সেনাবাহিনী কোনো পদক্ষে নেবে কি না এবং আগামীকালের ভোটে যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়ে সে ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী কী ভূমিকা রাখবে প্রশ্ন করা হলে মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এর আগেও আমরা আইএসপিআরের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে বলেছি ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবুও কিছু স্বার্থনেষী মহল প্রপাগান্ডা করার চেষ্টা করছে, কিন্তু এ প্রপাগান্ডা করে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেন, “এ নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে আমরা সবার মঙ্গল কামনা করি।  এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুস্থ পরিবেশে গণতন্ত্র চর্চা আমরা এটি চাই এবং নির্বাচনের চর্চা হোক আমরা এটিও চাই।”

ডাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে শঙ্কা নেই 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ধরণের শঙ্কা নেই বলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন  ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ এর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, “আমরা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। কোন ধরণের শঙ্কা আমরা দেখছি না। ভোটগ্রহণ সকাল আটটা থেকে চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। যদি চারটার সময়‌ও কেউ ভোটকেন্দ্রের সামনে অবস্থান করবে তাদের‌ও সুযোগ দেওয়া হবে।”

তিনি আরো বলেন, “এবারের নির্বাচন হবে একটি মডেল নির্বাচন, যা বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করতে পারে এমন দৃষ্টান্ত ঢাবি শিক্ষার্থীরা তৈরি করবে।”

অধ্যাপক জসীম বলেন, “যেভাবে আপনাদের কথা দিয়েছিলাম ‌সেগুলোর প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরনণ করে আজকের এই পর্যায়ে এসেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডাকসুতে অংশগ্রহণ করছে। আপনারা ডাকসু প্রার্থীদের সংখ্যা দেখেই বুঝতে পারছেন।”

শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থী সবাই যেন ভোট দিতে আসে তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে। আমরা ৮ টি কেন্দ্রে ৮১০ টি বুথ স্থাপন করেছি। আমরা সকল অংশীজনের সহযোগিতা চাই। যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি।”

নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোয় ৭ প্রার্থীকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদমর্যাদা) ওমর ফারুক রাকিবকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে কোনো রূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

ছাত্রদল ঢাবি সংসদ থেকে আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল সংসদের এজিএস পদে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অছিকুর রহমান জয় ও একই হল সংসদের সদস্য পদে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য নাহিন নিয়াজ মাহি; মাস্টারদা সূর্যসেন হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক পদে মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য সাব্বির আহমেদ সোহান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জেভিয়ার হাসান; ফজলুল হক মুসলিম হল সংসদের ভিপি পদে ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের কর্মী (সাবেক দপ্তর সম্পাদক) সোহানুর রহমান সোহাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সিফাতুল ইসলাম নির্বাচন করায় তাদের সকল সাংগঠনিক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ এবং হল সংসদসমূহে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসমূহ ব্যতীত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যেসকল নেতাকর্মী এখনও নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদেরকে এই সতর্কীকরণ বিবৃতির মাধ্যমে সর্বশেষ সতর্কবার্তা প্রদান করা হলো। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে এসব  প্রার্থীরা স্ব স্ব প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর এসব প্রার্থিতা সরে না দাঁড়ানোয় আজ তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিল সংগঠনটি। এর আগেও একবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সর্তকর্তা করেছিল সংগঠনটি।