ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল রাত ১২টার মধ্যেই হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডাকসু নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে। রাত ১২টার মধ্যেই ফলাফল হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
তারা জানান, কোনো কেন্দ্রে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনে তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখবেন। কেউ ভুয়া অভিযোগ দিয়ে পার পাবে না। অভিযোগ তদন্ত করার জন্য যথেষ্ট সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কেউ ইচ্ছেকৃত বা পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবেন।
এখন পর্যন্ত ঢাবির সাতটি হলের ভোট কাস্টিংয়ের ফলাফল পাওয়া গেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সূর্য সেন হলের মোট ভোটার ১ হাজার ৪৯৮ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১৬ জন ভোট দিয়েছেন, যা মোট সংখ্যার ৮৮ শতাংশ। কবি জসীম উদ্দিন হল মোট ভোটার ১ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ০১৭ জন, যা মোটা সংখ্যার ৮৬ শতাংশ।
তারা জানান, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে মোট ভোটার ১ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৩১৫ জন, যা মোট সংখ্যার ৭৫ শতাংশ। শেখ মুজিবুর রহমান হলে মোট ভোটার ১ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৩৯৯ জন, যা মোট সংখ্যার ৮৫.৭২ শতাংশ।
অন্যদিকে, শারিরীক শিক্ষা কেন্দ্রে প্রায় ৮৩.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের রিটানিং কর্মকর্তা ও কেন্দ্র প্রধান ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক।
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে তিনটি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে জগন্নাথ হলে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২২২ জন। ভোট কাস্ট হয়েছে ১ হাজার ৮৩১টি এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৩৯১ জন। শতকরা হিসেবে কাস্টিং ভোটের হার ৮৩ শতাংশ।”
তিনি বলেন, “সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৩ জন। এর মধ্যে কাস্ট হয়েছে ১ হাজার ৬৬০টি এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৩০৩ জন। শতকরা হিসেবে কাস্টিং ভোটের হার ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
“স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের মোট ভোটার সংখ্যা ৬৬৯ জন। এর মধ্যে কাস্ট হয়েছে ৫৫৩টি এবং অনুপস্থিত ছিলেন ১১৬ জন্য। শতকরা হিসেবে কাস্টিং ভোটের হার ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ,” যুক্ত করেন ড. গাউসুল হক।
ড. গাউসুল হক বলেন, “সবমিলে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে তিন হলের মোট ভোট সংখ্যা ৪ হাজার ৮৬১টি।এর মধ্যে মোট ৪ হাজার ৪৪টি ভোট কাস্ট হয়েছে, যা শতকরা হিসেবে ৮৩.১৯ শতাংশ।”