০৮:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাকসু নির্বাচন: ভোট গণনায় কেন কচ্ছপগতি?

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৯:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪২ Time View

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন হলো। ভোটগ্রহণ শেষে বিলম্বে গণনা শুরু করার পর ৩০ ঘণ্টা কেটে গেলেও ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘসময় ধরে চলা ভোট গণনা কার্যক্রমে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষিকা মারা গেছেন। ভোট গণনায় কেন এই কচ্ছপগতি, কী হচ্ছে আসলে- এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দেশের মানুুষের মধ্যে।

ভোটগ্রহণ হয়েছে ওএমআর ব্যালটে। ভোট গণনা করার কথা ডিজিটাল মেশিনে। সেই সিদ্ধান্ত বদলে হাতে গোনা হচ্ছে ব্যালট। জাকসু নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বদলকেই ভোটগণায় বিলম্বের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

জাকসু নির্বাচনের তিন দিন আগে (৮ সেপ্টেম্বর) জাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করার তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‍এবারের নির্বাচন কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে একজন ভোটারকে ৪০ জন প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। সে বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং বিভিন্ন অংশীজনের সাথে পরামর্শক্রমে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

তিনি আরো বলেন, ব্যালট পেপারটা ওএমআর ফর্ম সিস্টেমে হবে এবং সেটা মেশিন রিডেবল হবে। এমনকি ভোটের ফলাফল মেশিনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা হবে।

তবে নির্বাচনের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) রাতারাতি এই সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ভোটগ্রহণ ওএমআর ফর্ম সিস্টেমে হলেও ভোট গণনার পূর্বে জানানো হয় ডিজিটাল নয়, ম্যানুয়াল (হাতে গোণা) পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা হবে।

জানা যায়, নির্বাচনের আগের দিন (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতারা, বাগছাসের জাবি শাখার সদস্য সচিব ও নির্বাচনে জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সংগঠক ও নির্বাচনে এজিএস (নারী) প্রার্থী সোহাগী সামিয়াসহ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

সেখানে তারা ভোট গণনা কার্যক্রম পরিবর্তন করে ম্যানুয়ালি গণনার দাবি জানান। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ম্যানুয়ালি অর্থাৎ হাতে গোনা পদ্ধতিতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা প্রথম দিকে ব্যালট পেপার ওএমআর মেশিনে গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু মেশিনে ভোট গণনার বিষয়ে একটি ছাত্র সংগঠন (ছাত্রদল) অভিযোগ দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তবে ভোট গণনা পদ্ধতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য পক্ষের সাথে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নেতারা।

নির্বাচনের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী ও বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম দাবি করেন, ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াতে ইসলামী-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।

তবে এসব ব্যালট ও ওএমআর মেশিন কেনা হয়েছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিএনপি-সমর্থিত মালিকের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এই প্রমাণ দেখিয়েছেন জাকসুর শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রমাণ দেখান তিনি।

জামায়াতপন্থি প্রতিষ্ঠান থেকে ওএমআর নেওয়াকে মিথ্যা দাবি বর্ণনা করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওএমআর যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে সেটিকে জামায়াত ট্যাগ দিয়ে বাতিলের চেষ্টা করেছে ছাত্রদল ও বাগছাস। জামায়াতপন্থি যদি কোনো কিছু থাকে, আপনারা দেখতে চাইবেন সে যন্ত্রটি ঠিক আছে কি না; সেটা আপনাদের কনসার্ন থাকা উচিত ছিল, কিন্তু আপনারা কনসার্ন সেটি জামায়াতপন্থি কি না। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখতে পেয়েছি, সেটি জামায়াতপন্থি নয়, বরং বিএনপিপন্থি প্রতিষ্ঠান।

এ সময় মাজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনের যে ব্যালট তা কেনা হয়েছে জামায়াত-সমর্থিত মালিকের প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে এইচআর সফট বিডি নামে যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে, সেটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হলে রকমানুর জামান রনি। যার ফেসবুক পোস্টে খালেদা জিয়া ছবি ও বিএনপির সমর্থনে একাধিক পোস্ট রয়েছে।

ওএমআরে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে শিবিরের ওই নেতা বলেন, তার গ্লানি এখনো আমাদের টানতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যারা ভোট গণনা করছেন তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাস্তবিকভাবে কোনোভাবেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোট গণনা করা সম্ভব নয়। ওএমআরের মতো ঠুনকো অজুহাতে ছাত্রদল নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

এদিকে ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। অনেকেই হাস্যরসাত্মক উপায়েও সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না।

এক শিক্ষার্থী পোস্ট করেছেন, “কিছুদিন আগে যারা শিক্ষাকার্যক্রমে অটোমেশনের দাবিতে আন্দোলন করলেন, আজ তারাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে চাচ্ছেন।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “মেশিনেরও আবার দল থাকে আগে জানতাম না। যদি আপনাদের সন্দেহ হয়, তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন, যদি মেশিনে ভুল আসে, তখন ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা যেত। এভাবে পুরো জাহাঙ্গীরনগরকে ভোগান্তিতে ফেলার হেতু কি?”

ট্যাগঃ

জাকসু নির্বাচন: ভোট গণনায় কেন কচ্ছপগতি?

সময়ঃ ১২:০৯:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন হলো। ভোটগ্রহণ শেষে বিলম্বে গণনা শুরু করার পর ৩০ ঘণ্টা কেটে গেলেও ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘসময় ধরে চলা ভোট গণনা কার্যক্রমে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষিকা মারা গেছেন। ভোট গণনায় কেন এই কচ্ছপগতি, কী হচ্ছে আসলে- এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দেশের মানুুষের মধ্যে।

ভোটগ্রহণ হয়েছে ওএমআর ব্যালটে। ভোট গণনা করার কথা ডিজিটাল মেশিনে। সেই সিদ্ধান্ত বদলে হাতে গোনা হচ্ছে ব্যালট। জাকসু নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বদলকেই ভোটগণায় বিলম্বের কারণ হিসেবে দায়ী করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

জাকসু নির্বাচনের তিন দিন আগে (৮ সেপ্টেম্বর) জাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করার তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‍এবারের নির্বাচন কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে একজন ভোটারকে ৪০ জন প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। সে বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং বিভিন্ন অংশীজনের সাথে পরামর্শক্রমে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

তিনি আরো বলেন, ব্যালট পেপারটা ওএমআর ফর্ম সিস্টেমে হবে এবং সেটা মেশিন রিডেবল হবে। এমনকি ভোটের ফলাফল মেশিনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা হবে।

তবে নির্বাচনের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) রাতারাতি এই সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ভোটগ্রহণ ওএমআর ফর্ম সিস্টেমে হলেও ভোট গণনার পূর্বে জানানো হয় ডিজিটাল নয়, ম্যানুয়াল (হাতে গোণা) পদ্ধতিতে ভোট গণনা করা হবে।

জানা যায়, নির্বাচনের আগের দিন (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতারা, বাগছাসের জাবি শাখার সদস্য সচিব ও নির্বাচনে জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সংগঠক ও নির্বাচনে এজিএস (নারী) প্রার্থী সোহাগী সামিয়াসহ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

সেখানে তারা ভোট গণনা কার্যক্রম পরিবর্তন করে ম্যানুয়ালি গণনার দাবি জানান। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ম্যানুয়ালি অর্থাৎ হাতে গোনা পদ্ধতিতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা প্রথম দিকে ব্যালট পেপার ওএমআর মেশিনে গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু মেশিনে ভোট গণনার বিষয়ে একটি ছাত্র সংগঠন (ছাত্রদল) অভিযোগ দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তবে ভোট গণনা পদ্ধতি পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্যান্য পক্ষের সাথে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের নেতারা।

নির্বাচনের দিন (১১ সেপ্টেম্বর) পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী ও বাগছাস সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম দাবি করেন, ব্যালট পেপার ও ওএমআর মেশিন জামায়াতে ইসলামী-সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে।

তবে এসব ব্যালট ও ওএমআর মেশিন কেনা হয়েছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ বিএনপি-সমর্থিত মালিকের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। এই প্রমাণ দেখিয়েছেন জাকসুর শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রমাণ দেখান তিনি।

জামায়াতপন্থি প্রতিষ্ঠান থেকে ওএমআর নেওয়াকে মিথ্যা দাবি বর্ণনা করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওএমআর যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে সেটিকে জামায়াত ট্যাগ দিয়ে বাতিলের চেষ্টা করেছে ছাত্রদল ও বাগছাস। জামায়াতপন্থি যদি কোনো কিছু থাকে, আপনারা দেখতে চাইবেন সে যন্ত্রটি ঠিক আছে কি না; সেটা আপনাদের কনসার্ন থাকা উচিত ছিল, কিন্তু আপনারা কনসার্ন সেটি জামায়াতপন্থি কি না। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখতে পেয়েছি, সেটি জামায়াতপন্থি নয়, বরং বিএনপিপন্থি প্রতিষ্ঠান।

এ সময় মাজহারুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনের যে ব্যালট তা কেনা হয়েছে জামায়াত-সমর্থিত মালিকের প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে এইচআর সফট বিডি নামে যে প্রতিষ্ঠান থেকে আনা হয়েছে, সেটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হলে রকমানুর জামান রনি। যার ফেসবুক পোস্টে খালেদা জিয়া ছবি ও বিএনপির সমর্থনে একাধিক পোস্ট রয়েছে।

ওএমআরে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে শিবিরের ওই নেতা বলেন, তার গ্লানি এখনো আমাদের টানতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যারা ভোট গণনা করছেন তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাস্তবিকভাবে কোনোভাবেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ভোট গণনা করা সম্ভব নয়। ওএমআরের মতো ঠুনকো অজুহাতে ছাত্রদল নির্বাচন বানচাল করতে চায়।

এদিকে ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। অনেকেই হাস্যরসাত্মক উপায়েও সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না।

এক শিক্ষার্থী পোস্ট করেছেন, “কিছুদিন আগে যারা শিক্ষাকার্যক্রমে অটোমেশনের দাবিতে আন্দোলন করলেন, আজ তারাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা করতে চাচ্ছেন।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “মেশিনেরও আবার দল থাকে আগে জানতাম না। যদি আপনাদের সন্দেহ হয়, তাহলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন, যদি মেশিনে ভুল আসে, তখন ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা যেত। এভাবে পুরো জাহাঙ্গীরনগরকে ভোগান্তিতে ফেলার হেতু কি?”