১১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন জেলায় বাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৬৩ Time View

নাটোরসহ রাজশাহী বিভাগের তিন জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিকদের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। চাঁপাইনবাগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় এই তিন জেলার শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

বাস ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে সরাসরি বাস না পেয়ে ভেঙে ভেঙে যেতে তাদের বেশি সময় ও খরচ লাগছে।

ঢাকাগামী যাত্রী নাহিদা জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় তার পরীক্ষা আছে। সরাসরি বাস না পেয়ে তাকে এখন ভেঙে ভেঙে যেতে হবে। এতে তার খরচ ও সময় বেশি লাগবে।

আরেক যাত্রী সাহেদ বলেন, দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা উচিত।

পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাদেরকে যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই, বাধ্য হয়ে ধর্মঘট করছেন।

হানিফ পরিবহনের চালক সামাদ বলেন, “কর্মের আয়ে যদি সংসার না চলে, তাহলে কী করার আছে? ১০ বছর ধরে একই বেতন পাচ্ছি আমরা। অথচ, ১০ বছরে খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।”

অপর বাসচালক রাশেদ বলেন, “তিন জেলার শ্রমিক নেতারা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় গিয়েছেন। বিকেলে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে তাদের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী চলাচল করলে চালককে ১ হাজার ৩০০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৫৭০ টাকা ও চালকের সহকারীকে ৫২০ টাকা দেন পরিবহন মালিকরা। দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন মালিকদের কাছে বেতন বৃদ্ধির দাবি করেও প্রতিকার পাননি পরিবহন শ্রমিকরা। চালকের বেতন ২ হাজার টাকা এবং সুপারভাইজার ও চালকের সহকারীর বেতন ৫০০ টাকা বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

ট্যাগঃ

তিন জেলায় বাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সময়ঃ ১২:০৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটোরসহ রাজশাহী বিভাগের তিন জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিকদের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। চাঁপাইনবাগঞ্জ, রাজশাহী ও নাটোর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় এই তিন জেলার শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে পরিবহন মালিকদের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

বাস ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে সরাসরি বাস না পেয়ে ভেঙে ভেঙে যেতে তাদের বেশি সময় ও খরচ লাগছে।

ঢাকাগামী যাত্রী নাহিদা জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় তার পরীক্ষা আছে। সরাসরি বাস না পেয়ে তাকে এখন ভেঙে ভেঙে যেতে হবে। এতে তার খরচ ও সময় বেশি লাগবে।

আরেক যাত্রী সাহেদ বলেন, দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা উচিত।

পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাদেরকে যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই, বাধ্য হয়ে ধর্মঘট করছেন।

হানিফ পরিবহনের চালক সামাদ বলেন, “কর্মের আয়ে যদি সংসার না চলে, তাহলে কী করার আছে? ১০ বছর ধরে একই বেতন পাচ্ছি আমরা। অথচ, ১০ বছরে খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।”

অপর বাসচালক রাশেদ বলেন, “তিন জেলার শ্রমিক নেতারা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় গিয়েছেন। বিকেলে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে তাদের বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী চলাচল করলে চালককে ১ হাজার ৩০০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৫৭০ টাকা ও চালকের সহকারীকে ৫২০ টাকা দেন পরিবহন মালিকরা। দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন মালিকদের কাছে বেতন বৃদ্ধির দাবি করেও প্রতিকার পাননি পরিবহন শ্রমিকরা। চালকের বেতন ২ হাজার টাকা এবং সুপারভাইজার ও চালকের সহকারীর বেতন ৫০০ টাকা বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।