পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে জেলা জেলায় স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি শেষ করেছে ইসলামী আন্দোলন। এবার দাবি আদায়ে তৃতীয় ধাপে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ১৪ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও ১৫ অক্টোবর সারাদেশের সব জেলায় সকাল ১১টা থেকে ১২টা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান রবিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দলের এক জরুরি বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে তৃতীয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, “গণঅভ্যূত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে জুলাই সনদে পিআর যুক্ত করে নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে। ২৪ এর জুলাইয়ে রক্তের নজরানা দিয়ে ছাত্র-জনতা যে দাবির যথার্থতা প্রমাণ করেছে, সেই দাবির আইনি ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি আদায়ে আমাদের রাজপথে লড়াই করতে হচ্ছে- এর চেয়ে দুঃখজনক বিষয় আর কিছু হতে পারে না। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছাত্র-জনতার রক্তের দায় শোধ করতে রাজনৈতিক আন্দোলন চালিয়েই যাবে।”
তিনি আরো বলেন, “পাঁচ দফা দাবি আদায়ে এর আগেও আমরা দুই দফায় কর্মসূচি পালন করেছি। দ্বিতীয় দফায় ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর দেশব্যাপী গণসংযোগ, ৯ অক্টোবর বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং আজকে সারাদেশের সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কর্মসূচিতে মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।”
“সরকারের পক্ষ থেকে জনতার যৌক্তিক এসব দাবির প্রতি ইতিবাচক সংবেদনশীলতা প্রদর্শন না করায় আমরা তৃতীয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি,” বলেন আতাউর রহমান।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মাধ্যমে গণভোট প্রদান করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট প্রদান করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, অধ্যাপক নাছির উদ্দিন, ডাক্তার শহিদুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরি, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ প্রমুখ।
Voice24 Admin 











