০২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন পাবিপ্রবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪৯ Time View

জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকুরা সায়েন্স প্রোগ্রাম অব জাপান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এজেন্সিতে (জেএসটি) ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে যাচ্ছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) একজন শিক্ষক ও সাতজন শিক্ষার্থী।

সাতদিনের এ নলেজ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদ। আট সদস্যের এই দলটি আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক এবং ল্যাবগুলোতে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। দেশে এসে তারা সেই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাবেন।

পাবিপ্রবি থেকে শিক্ষার্থীসহ এমন একটি গবেষক দল প্রথমবারের মতো বিদেশের কোনো বিশ্বদ্যিালয়ে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ সব অনুষদের ডিনগণ উপস্থিত ছিলেন।

পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ন করছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। তিনি বলেন, “এই প্রথম আমরা এই গবেষক দলটি পাঠাচ্ছি জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম থেকে জ্ঞান আহরণের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা গবেষণায় সমৃদ্ধ হতে পারবো। সাতজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক নিয়ে এটি এক সপ্তাহের প্রোগ্রাম।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন সপ্তাহের প্রোগ্রামও আছে; পরবর্তীতে সেটাও আমরা চেষ্টা করবো। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি কার্যকর সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার প্রত্যাশা করছি। চুক্তি হলে প্রতি বছর পাবিপ্রবি থেকে অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী মাস্টার্স ও পিএইচডিতে গবেষণার সুযোগ পাবেন।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “আমাদের প্রধানত তৈরি পোশাক ও জনশক্তি রপ্তানি করি। এআই ও মেশিন লার্নিং শেখার মাধ্যমে আমরা কৃষি পণ্য রপ্তানি করতে পারব। স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। তাদের প্রযুক্তি বিশ্বের সেরা।”

তিনি বলেন, “তাদের এই নলেজ শেয়ারিং তোমরা ক্যারিয়ার গঠনে কাজে লাগাতে পারবে। তোমাদের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাবে। আমরা এখানে যোগদানের পর থেকেই গবেষণায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পাবিপ্রবি গবেষণায় ভালো করছে।”

ট্যাগঃ

জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন পাবিপ্রবির ৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

সময়ঃ ১২:০৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাকুরা সায়েন্স প্রোগ্রাম অব জাপান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এজেন্সিতে (জেএসটি) ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে যাচ্ছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) একজন শিক্ষক ও সাতজন শিক্ষার্থী।

সাতদিনের এ নলেজ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদ। আট সদস্যের এই দলটি আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক এবং ল্যাবগুলোতে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। দেশে এসে তারা সেই অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগাবেন।

পাবিপ্রবি থেকে শিক্ষার্থীসহ এমন একটি গবেষক দল প্রথমবারের মতো বিদেশের কোনো বিশ্বদ্যিালয়ে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ সব অনুষদের ডিনগণ উপস্থিত ছিলেন।

পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ন করছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। তিনি বলেন, “এই প্রথম আমরা এই গবেষক দলটি পাঠাচ্ছি জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম থেকে জ্ঞান আহরণের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা গবেষণায় সমৃদ্ধ হতে পারবো। সাতজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক নিয়ে এটি এক সপ্তাহের প্রোগ্রাম।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টির তিন সপ্তাহের প্রোগ্রামও আছে; পরবর্তীতে সেটাও আমরা চেষ্টা করবো। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি কার্যকর সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার প্রত্যাশা করছি। চুক্তি হলে প্রতি বছর পাবিপ্রবি থেকে অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী মাস্টার্স ও পিএইচডিতে গবেষণার সুযোগ পাবেন।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “আমাদের প্রধানত তৈরি পোশাক ও জনশক্তি রপ্তানি করি। এআই ও মেশিন লার্নিং শেখার মাধ্যমে আমরা কৃষি পণ্য রপ্তানি করতে পারব। স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। তাদের প্রযুক্তি বিশ্বের সেরা।”

তিনি বলেন, “তাদের এই নলেজ শেয়ারিং তোমরা ক্যারিয়ার গঠনে কাজে লাগাতে পারবে। তোমাদের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাবে। আমরা এখানে যোগদানের পর থেকেই গবেষণায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পাবিপ্রবি গবেষণায় ভালো করছে।”