০২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপনে বাকৃবি ছাত্রীদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে সাবেক ছাত্রকে দিতেন আরেক ছাত্রী

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪৯ Time View

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গোপনে সহপাঠীদের ঘুমন্ত, ব্যক্তিগত ও অপ্রস্তুত মুহূর্তের ছবি তুলে এক সিনিয়র সাবেক ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের বলে জানা গেছে।

গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে নিয়মিতভাবে সিনিয়র সাবেক ছাত্রের কাছে পাঠানোর বিষয়টি মৌখিকভাবে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো.  আব্দুল মজিদের কাছে অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভু্ক্তভোগীসহ ওই বিভাগের সব শিক্ষার্থী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অভিযুক্ত দেবশ্রী দত্ত রাত্রী কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। অপরদিকে, যার কাছে এসব ছবি প্রেরণ করতেন, ওই সাবেক শিক্ষার্থীর নাম শরীফ ইশতিয়াক আকাশ। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই শিক্ষার্থীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে তারা নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন, তিনি মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তারা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

অভিযুক্ত সিনিয়র সাবেক শিক্ষার্থী শরীফ ইশতিয়াক আকাশ স্বীকারোক্তিমূলক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।”

তবে অভিযুক্ত ছাত্রী দেবশ্রী দত্ত রাত্রীর মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত দেবশ্রী দত্ত রাত্রী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। 

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবির আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ওই মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

ট্যাগঃ

গোপনে বাকৃবি ছাত্রীদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে সাবেক ছাত্রকে দিতেন আরেক ছাত্রী

সময়ঃ ১২:০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গোপনে সহপাঠীদের ঘুমন্ত, ব্যক্তিগত ও অপ্রস্তুত মুহূর্তের ছবি তুলে এক সিনিয়র সাবেক ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের বলে জানা গেছে।

গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে নিয়মিতভাবে সিনিয়র সাবেক ছাত্রের কাছে পাঠানোর বিষয়টি মৌখিকভাবে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো.  আব্দুল মজিদের কাছে অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভু্ক্তভোগীসহ ওই বিভাগের সব শিক্ষার্থী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অভিযুক্ত দেবশ্রী দত্ত রাত্রী কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। অপরদিকে, যার কাছে এসব ছবি প্রেরণ করতেন, ওই সাবেক শিক্ষার্থীর নাম শরীফ ইশতিয়াক আকাশ। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই শিক্ষার্থীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে তারা নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন, তিনি মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তারা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

অভিযুক্ত সিনিয়র সাবেক শিক্ষার্থী শরীফ ইশতিয়াক আকাশ স্বীকারোক্তিমূলক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।”

তবে অভিযুক্ত ছাত্রী দেবশ্রী দত্ত রাত্রীর মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অভিযুক্ত দেবশ্রী দত্ত রাত্রী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। 

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবির আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে ওই মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।”