০৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আট বছর পর আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধবলধোলাই

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৫৯ Time View

সিরিজ হার নিশ্চিত হওয়ার পরও শেষ ওয়ানডে ছিল মর্যাদা রক্ষার লড়াই। কিন্তু হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে সেই লড়াই টিকল মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তিন ম্যাচেই ব্যর্থতা আর ব্যাটিং বিপর্যয়ের রিপ্লে দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা উপহার দিল নিউ জিল্যান্ড।

প্রায় আট বছর আগে ২০১৭ সালে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল কিউইরা; ২০২৫ সালে এসে যেন পুনরায় সেই দুঃস্বপ্ন দেখল ক্যারিবীয়রা।

প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন থামল মাত্র ১৬১ রানে, তখন ম্যাচের চিত্রটা যেন একতরফাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবটা ছিল ভিন্ন। মাত্র ১৬২ রানের লক্ষ্যও নিউ জিল্যান্ডকে দিয়েছে একাধিক ধাক্কা।

১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে যখন ৩২/৩, তখন ম্যাচে উত্তেজনা জমে ওঠে। পরে টম লাথাম ও মার্ক চ্যাপম্যান জুটি বেঁধে পরিস্থিতি সামলে নেন। তাদের ৩৮ রানের জুটিতে কিছুটা স্বস্তি আসে। কিন্তু লাথাম (১০) আউট হতেই আবার চাপ ফিরে আসে।

চ্যাপম্যান তখনো লড়ে যাচ্ছেন। ইনিংসটিকে বড় করার প্রয়াসে ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি ৮ চার ও ২ ছক্কার মারমুখী ব্যাটিংয়ে। অন্য প্রান্তে মাইকেল ব্রেসওয়েল ৭৫ রানের দ্রুত জুটি গড়ে ম্যাচকে এগিয়ে নিয়ে যান।

তবু জয়ের ঠিক আগমুহূর্তে আবারও দোলাচল। মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে পড়ে যায় দুটি উইকেট; চ্যাপম্যান ও স্যান্টনার। শেষ পর্যন্ত জাকারি ফুলকস দায়িত্ব তুলে নেন। ৩১তম ওভারের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে সহজেই তুলে নেন জয়। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জেতে ৪ উইকেটে। তাও ১১৭ বল হাতে রেখে।

ব্যাটাররা যেখানে সংগ্রাম করেছেন, নিউ জিল্যান্ডের বোলাররা সেখানে ছিলেন শাসকের ভূমিকায়। ম্যাট হেনরি ৯.২ ওভারে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। জ্যাকব ডাফি ও মিচেল স্যান্টনার দুজনই ২টি করে উইকেট নেন। কাইল জেমিসন ও জাকারি ফুলকস নেন ১টি করে উইকেট। সিরিজজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে জেমিসন পেয়েছেন সিরিজসেরার স্বীকৃতি। তার মোট উইকেট ৭টি।

তার আগে ক্যারিবীয় ব্যাটিং ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ব্যাটারদের আত্মসমর্পণই মূলত হার ডেকে এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। মাত্র ৩৬.২ ওভার টিকতে পারে দলটি। রস্টন চেজ করেছেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রান। বাকি কেউই দাঁড়াতে পারেননি নিউ জিল্যান্ডের পেস-স্পিন আক্রমণের সামনে। অধিনায়ক শাই হোপও থেমেছেন ১৬ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কিউইদের হাতে ধবলধোলাই নতুন কিছু নয়। ২০০০ সালে ৫-০, ২০১৭ সালে ৩-০ এবং ২০২৫ সালে আবারও ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো তারা। 

ট্যাগঃ

আট বছর পর আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধবলধোলাই

সময়ঃ ১২:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

সিরিজ হার নিশ্চিত হওয়ার পরও শেষ ওয়ানডে ছিল মর্যাদা রক্ষার লড়াই। কিন্তু হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে সেই লড়াই টিকল মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তিন ম্যাচেই ব্যর্থতা আর ব্যাটিং বিপর্যয়ের রিপ্লে দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা উপহার দিল নিউ জিল্যান্ড।

প্রায় আট বছর আগে ২০১৭ সালে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল কিউইরা; ২০২৫ সালে এসে যেন পুনরায় সেই দুঃস্বপ্ন দেখল ক্যারিবীয়রা।

প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন থামল মাত্র ১৬১ রানে, তখন ম্যাচের চিত্রটা যেন একতরফাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাস্তবটা ছিল ভিন্ন। মাত্র ১৬২ রানের লক্ষ্যও নিউ জিল্যান্ডকে দিয়েছে একাধিক ধাক্কা।

১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে যখন ৩২/৩, তখন ম্যাচে উত্তেজনা জমে ওঠে। পরে টম লাথাম ও মার্ক চ্যাপম্যান জুটি বেঁধে পরিস্থিতি সামলে নেন। তাদের ৩৮ রানের জুটিতে কিছুটা স্বস্তি আসে। কিন্তু লাথাম (১০) আউট হতেই আবার চাপ ফিরে আসে।

চ্যাপম্যান তখনো লড়ে যাচ্ছেন। ইনিংসটিকে বড় করার প্রয়াসে ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি ৮ চার ও ২ ছক্কার মারমুখী ব্যাটিংয়ে। অন্য প্রান্তে মাইকেল ব্রেসওয়েল ৭৫ রানের দ্রুত জুটি গড়ে ম্যাচকে এগিয়ে নিয়ে যান।

তবু জয়ের ঠিক আগমুহূর্তে আবারও দোলাচল। মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে পড়ে যায় দুটি উইকেট; চ্যাপম্যান ও স্যান্টনার। শেষ পর্যন্ত জাকারি ফুলকস দায়িত্ব তুলে নেন। ৩১তম ওভারের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে সহজেই তুলে নেন জয়। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জেতে ৪ উইকেটে। তাও ১১৭ বল হাতে রেখে।

ব্যাটাররা যেখানে সংগ্রাম করেছেন, নিউ জিল্যান্ডের বোলাররা সেখানে ছিলেন শাসকের ভূমিকায়। ম্যাট হেনরি ৯.২ ওভারে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। জ্যাকব ডাফি ও মিচেল স্যান্টনার দুজনই ২টি করে উইকেট নেন। কাইল জেমিসন ও জাকারি ফুলকস নেন ১টি করে উইকেট। সিরিজজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে জেমিসন পেয়েছেন সিরিজসেরার স্বীকৃতি। তার মোট উইকেট ৭টি।

তার আগে ক্যারিবীয় ব্যাটিং ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। ব্যাটারদের আত্মসমর্পণই মূলত হার ডেকে এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। মাত্র ৩৬.২ ওভার টিকতে পারে দলটি। রস্টন চেজ করেছেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৮ রান। বাকি কেউই দাঁড়াতে পারেননি নিউ জিল্যান্ডের পেস-স্পিন আক্রমণের সামনে। অধিনায়ক শাই হোপও থেমেছেন ১৬ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কিউইদের হাতে ধবলধোলাই নতুন কিছু নয়। ২০০০ সালে ৫-০, ২০১৭ সালে ৩-০ এবং ২০২৫ সালে আবারও ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো তারা।