‘আল্লাহুম্মা ফাক্কিহ্হু ফিদ্দিন’ দোয়ার ভেতরে রয়েছে অসাধারণ শিক্ষা—
১. শিশুশিক্ষার প্রতি গুরুত্ব: নবী (সা.) ইবন আব্বাস (রা.)-এর শৈশবেই এ দোয়া করেছেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়—দ্বীনের শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই শুরু হওয়া জরুরি।
২. অভিভাবকদের দায়িত্ব: সন্তানের জন্য কেবল দুনিয়ার সফলতা নয়, দ্বীনের বোধগম্যতার দোয়া করা সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
৩. জ্ঞান ছাড়া আমল অন্ধকার: কোরআন-সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান ছাড়া ইবাদত বা আমল সঠিক হতে পারে না। এজন্য নবী (সা.) আমলের আগে জ্ঞান অর্জনের কথা জোর দিয়েছেন।
৪. আল্লাহর কাছে প্রার্থনার প্রয়োজনীয়তা: শুধু পড়াশোনা করলেই জ্ঞান আসবে না; বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েত না এলে জ্ঞান হৃদয়ে প্রোথিত হয় না। এ কারণেই দোয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
তবে ‘আল্লাহুম্মা ফাক্কিহ্হু ফিদ্দিন’—এ দোয়া শুধু ইবন আব্বাস (রা.)-এর জন্য নয়; বরং এটি প্রতিটি মুসলমানের জন্য পথনির্দেশ। যে ব্যক্তি দ্বীনের গভীর জ্ঞান অর্জন করে, তার জীবন হয় আলো-ঝলমলে, তার আমল হয় সঠিক, আর সমাজ হয় আলোকিত। তাই আমাদের সবার উচিত এই দোয়া বেশি বেশি করা—নিজের জন্য, সন্তানদের জন্য, এবং গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য।