১০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিসা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০-৮০ শতাংশ কমেছে

  • Voice24 Admin
  • Update Time : ০৫:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ৫৬৭ Time View

ভিসা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০-৮০ শতাংশ কমেছে, ,


যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
ভারতীয়
শিক্ষার্থীদের
গমন
তীব্রভাবে
কমেছে।
আন্তর্জাতিক
শিক্ষার্থীদের
সঙ্গে
ট্রাম্প
প্রশাসনের
চলমান
সংকটের
প্রেক্ষাপটে
হায়দরাবাদের
শিক্ষা
পরামর্শদাতারা
জানিয়েছেন,
যুক্তরাষ্ট্রগামী
শিক্ষার্থীর
সংখ্যা
৭০
থেকে
৮০
শতাংশ
কমে
গেছে।
এর
পেছনে
প্রধান
কারণ
হচ্ছে—ভিসা
অ্যাপয়েন্টমেন্ট
স্লট
বন্ধ
থাকা
এবং
হঠাৎ
করে
ভিসা
প্রত্যাখ্যানের
হার
বেড়ে
যাওয়া।

হায়দরাবাদ
ওভারসিজ
কনসালটেন্টের
সঞ্জীব
রাই
টাইমস
অব
ইন্ডিয়াকে
বলেন,
‘এই
সময়ে
সাধারণত
অধিকাংশ
শিক্ষার্থীর
ভিসা
সাক্ষাৎকার
শেষ
হয়ে
যায়
এবং
তারা
যুক্তরাষ্ট্রে
যাওয়ার
প্রস্তুতি
নেয়।
কিন্তু
এবার
আমরা
প্রতিদিন
অনলাইন
পোর্টাল
রিফ্রেশ
করছি,
যদি
কোনও
স্লট
খোলে!-এটা
গত
কয়েক
বছরের
মধ্যে
সবচেয়ে
খারাপ
অবস্থা।’

মার্কিন
কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছিল
যে,
ভিসা
স্লট
পর্যায়ক্রমে
ছাড়া
হবে।
কিন্তু
এখনও
এই
প্রক্রিয়া
ঘিরে
রয়েছে
প্রচুর
অনিশ্চয়তা
যা
শিক্ষার্থীদের
মধ্যে
উদ্বেগ
বাড়াচ্ছে।
উইন্ডো
ওভারসিজ
এডুকেশন
কনসালটেন্সির
অঙ্কিত
জৈন
বলেন,
যারা
কোনোভাবে
স্লট
বুক
করতে
পেরেছেন,
তারাও
নিশ্চয়তা
পাচ্ছেন
না।
তিনি
আরও
বলেন,
একমাত্র
যৌক্তিক
ব্যাখ্যা
হতে
পারে—যুক্তরাষ্ট্র
হয়তো
তাদের
সিস্টেম
পরীক্ষা
করছে।

এর
ফলে
অনেক
শিক্ষার্থী
বিকল্প
দেশগুলোর
দিকে
ঝুঁকছে।
২৩
বছর
বয়সী
এক
শিক্ষার্থী
বলেন
‘আমি
আর
অপেক্ষা
করতে
পারিনি।
একটা
বছর
হারিয়ে
যেতে
পারে।
এখন
মনে
হচ্ছে
কোনও
উপায়ই
নেই।
তাই
আমি
আমার
আবেদন
প্রত্যাহার
করে
নিয়েছি।’
বর্তমানে
তিনি
জার্মানিতে
অটোমোটিভ
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে
মাস্টার্স
করার
বিষয়ে
ভাবছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে
শিক্ষাবিষয়ক
একটি
কনসালটেন্সি
সংস্থার
কনসালট্যান্ট
আরবিন্দ
মান্ডুভা
বলেন,
‘যদি
আগামী
কয়েক
দিনের
মধ্যে
স্লট
না
খোলে,
তাহলে
হাজার
হাজার
স্বপ্ন
ভেঙে
যাবে।
আমরা
প্রায়
৮০
শতাংশ
হ্রাস
দেখছি।
প্রতিদিন
শিক্ষার্থী

তাদের
অভিভাবকদের
কাছ
থেকে
আতঙ্কিত
ফোন
পাচ্ছি।’

আরেকটি
বড়
সমস্যা
হলো—যারা
মার্চ
মাসেই
আবেদন
করে
সাক্ষাৎকারের
অ্যাপয়েন্টমেন্ট
পেয়েছিলেন,
তাদের
মধ্যে
অনেকেই
এখন
অস্বাভাবিকভাবে
প্রত্যাখ্যাত
হচ্ছেন।
জৈন
বলেন,
‘অনেক
শিক্ষার্থী,
যাদের
সাধারণত
কোনও
সমস্যা
ছাড়াই
ভিসা
মঞ্জুর
হতো,
তাদের
এখন
ফিরিয়ে
দেওয়া
হচ্ছে।
তাদের
সোশ্যাল
মিডিয়াও
পরিষ্কার
ছিল।
প্রত্যাখ্যানের
কারণ
হিসেবে
সবাই
মূলত
২১৪বি
ধারা
পাচ্ছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের
ইমিগ্রেশন
অ্যান্ড
ন্যাশনালিটি
অ্যাক্টের
২১৪বি
ধারা
হলো
এমন
একটি
সাধারণ
প্রত্যাখ্যানের
কারণ,
যা
তখন
দেওয়া
হয়
যখন
আবেদনকারী
তার
নিজ
দেশে
ফিরে
যাওয়ার
যথেষ্ট
প্রমাণ
দিতে
ব্যর্থ
হন।

টেক্সাসের
ইউএস
অ্যাডমিশন
ইমিগ্রেশন
কনসালটিং
ফার্মের
রবি
লোথুমাল্লা
বলেন,
‘এটি
কোনও
নতুন
প্রক্রিয়া
নয়।
নিয়ম,
যাচাই
এবং
কঠোর
পর্যবেক্ষণ
বহু
বছর
ধরেই
চালু
আছে।
শুধু
এখন
তা
বাস্তবায়ন
করা
হচ্ছে।’

হায়দরাবাদে
মার্কিন
কনস্যুলেট
জেনারেল
জানিয়েছে,
ভিসা
স্লট
আবার
চালু
হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের
দূতাবাস

ওয়েবসাইটে
অ্যাপয়েন্টমেন্ট
পাওয়া
যাচ্ছে
কিনা
তা
নিয়মিত
দেখার
পরামর্শ
দেওয়া
হয়েছে।

কনস্যুলেটের
একজন
মুখপাত্র
বলেন,
‘আমরা
আবেদনকারীদের
সম্পূর্ণ
যাচাই-বাছাই
করছি
যাতে
নিশ্চিত
হওয়া
যায়
যে
তারা
আমেরিকায়
বা
আমাদের
স্বার্থে
ক্ষতি
করার
উদ্দেশ্যে
নয়
এবং
তারা
যে
ভিসার
জন্য
আবেদন
করছে
তার
শর্ত
অনুযায়ীই
কর্মকাণ্ডে
যুক্ত
থাকবে।
আমরা
আবেদনকারীদের
যত
দ্রুত
সম্ভব
আবেদন
করার
পরামর্শ
দিচ্ছি
এবং
যেন
তারা
এই
ক্যাটাগরির
জন্য
অতিরিক্ত
প্রক্রিয়াকালীন
সময়
বিবেচনা
করে।’

গত
বছর
ভারত
চীনকে
পেছনে
ফেলে
যুক্তরাষ্ট্রে
শিক্ষার্থী
পাঠানোর
দিক
থেকে
শীর্ষে
উঠে
আসে।
অর্থাৎ
মোট
৩.৩
লক্ষ
ভারতীয়
শিক্ষার্থী
সে
বছর
যুক্তরাষ্ট্রে
পাড়ি
জমান।

ভারতের
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের
তথ্য
অনুযায়ী,
২০২৪
সালের

জানুয়ারি
পর্যন্ত
১১.৬
লাখের
বেশি
ভারতীয়
শিক্ষার্থী
বিশ্বের
বিভিন্ন
উচ্চশিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে
অধ্যয়নরত
ছিলেন
এবং
ইউরোপ
একটি
শিক্ষাগন্তব্য
হিসেবে
ক্রমাগত
জনপ্রিয়তা
পাচ্ছে।


সূত্র:
এনডিটিভি

ট্যাগঃ

ভিসা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০-৮০ শতাংশ কমেছে

Update Time : ০৫:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

ভিসা সংকটে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০-৮০ শতাংশ কমেছে, ,


যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
ভারতীয়
শিক্ষার্থীদের
গমন
তীব্রভাবে
কমেছে।
আন্তর্জাতিক
শিক্ষার্থীদের
সঙ্গে
ট্রাম্প
প্রশাসনের
চলমান
সংকটের
প্রেক্ষাপটে
হায়দরাবাদের
শিক্ষা
পরামর্শদাতারা
জানিয়েছেন,
যুক্তরাষ্ট্রগামী
শিক্ষার্থীর
সংখ্যা
৭০
থেকে
৮০
শতাংশ
কমে
গেছে।
এর
পেছনে
প্রধান
কারণ
হচ্ছে—ভিসা
অ্যাপয়েন্টমেন্ট
স্লট
বন্ধ
থাকা
এবং
হঠাৎ
করে
ভিসা
প্রত্যাখ্যানের
হার
বেড়ে
যাওয়া।

হায়দরাবাদ
ওভারসিজ
কনসালটেন্টের
সঞ্জীব
রাই
টাইমস
অব
ইন্ডিয়াকে
বলেন,
‘এই
সময়ে
সাধারণত
অধিকাংশ
শিক্ষার্থীর
ভিসা
সাক্ষাৎকার
শেষ
হয়ে
যায়
এবং
তারা
যুক্তরাষ্ট্রে
যাওয়ার
প্রস্তুতি
নেয়।
কিন্তু
এবার
আমরা
প্রতিদিন
অনলাইন
পোর্টাল
রিফ্রেশ
করছি,
যদি
কোনও
স্লট
খোলে!-এটা
গত
কয়েক
বছরের
মধ্যে
সবচেয়ে
খারাপ
অবস্থা।’

মার্কিন
কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছিল
যে,
ভিসা
স্লট
পর্যায়ক্রমে
ছাড়া
হবে।
কিন্তু
এখনও
এই
প্রক্রিয়া
ঘিরে
রয়েছে
প্রচুর
অনিশ্চয়তা
যা
শিক্ষার্থীদের
মধ্যে
উদ্বেগ
বাড়াচ্ছে।
উইন্ডো
ওভারসিজ
এডুকেশন
কনসালটেন্সির
অঙ্কিত
জৈন
বলেন,
যারা
কোনোভাবে
স্লট
বুক
করতে
পেরেছেন,
তারাও
নিশ্চয়তা
পাচ্ছেন
না।
তিনি
আরও
বলেন,
একমাত্র
যৌক্তিক
ব্যাখ্যা
হতে
পারে—যুক্তরাষ্ট্র
হয়তো
তাদের
সিস্টেম
পরীক্ষা
করছে।

এর
ফলে
অনেক
শিক্ষার্থী
বিকল্প
দেশগুলোর
দিকে
ঝুঁকছে।
২৩
বছর
বয়সী
এক
শিক্ষার্থী
বলেন
‘আমি
আর
অপেক্ষা
করতে
পারিনি।
একটা
বছর
হারিয়ে
যেতে
পারে।
এখন
মনে
হচ্ছে
কোনও
উপায়ই
নেই।
তাই
আমি
আমার
আবেদন
প্রত্যাহার
করে
নিয়েছি।’
বর্তমানে
তিনি
জার্মানিতে
অটোমোটিভ
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে
মাস্টার্স
করার
বিষয়ে
ভাবছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে
শিক্ষাবিষয়ক
একটি
কনসালটেন্সি
সংস্থার
কনসালট্যান্ট
আরবিন্দ
মান্ডুভা
বলেন,
‘যদি
আগামী
কয়েক
দিনের
মধ্যে
স্লট
না
খোলে,
তাহলে
হাজার
হাজার
স্বপ্ন
ভেঙে
যাবে।
আমরা
প্রায়
৮০
শতাংশ
হ্রাস
দেখছি।
প্রতিদিন
শিক্ষার্থী

তাদের
অভিভাবকদের
কাছ
থেকে
আতঙ্কিত
ফোন
পাচ্ছি।’

আরেকটি
বড়
সমস্যা
হলো—যারা
মার্চ
মাসেই
আবেদন
করে
সাক্ষাৎকারের
অ্যাপয়েন্টমেন্ট
পেয়েছিলেন,
তাদের
মধ্যে
অনেকেই
এখন
অস্বাভাবিকভাবে
প্রত্যাখ্যাত
হচ্ছেন।
জৈন
বলেন,
‘অনেক
শিক্ষার্থী,
যাদের
সাধারণত
কোনও
সমস্যা
ছাড়াই
ভিসা
মঞ্জুর
হতো,
তাদের
এখন
ফিরিয়ে
দেওয়া
হচ্ছে।
তাদের
সোশ্যাল
মিডিয়াও
পরিষ্কার
ছিল।
প্রত্যাখ্যানের
কারণ
হিসেবে
সবাই
মূলত
২১৪বি
ধারা
পাচ্ছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের
ইমিগ্রেশন
অ্যান্ড
ন্যাশনালিটি
অ্যাক্টের
২১৪বি
ধারা
হলো
এমন
একটি
সাধারণ
প্রত্যাখ্যানের
কারণ,
যা
তখন
দেওয়া
হয়
যখন
আবেদনকারী
তার
নিজ
দেশে
ফিরে
যাওয়ার
যথেষ্ট
প্রমাণ
দিতে
ব্যর্থ
হন।

টেক্সাসের
ইউএস
অ্যাডমিশন
ইমিগ্রেশন
কনসালটিং
ফার্মের
রবি
লোথুমাল্লা
বলেন,
‘এটি
কোনও
নতুন
প্রক্রিয়া
নয়।
নিয়ম,
যাচাই
এবং
কঠোর
পর্যবেক্ষণ
বহু
বছর
ধরেই
চালু
আছে।
শুধু
এখন
তা
বাস্তবায়ন
করা
হচ্ছে।’

হায়দরাবাদে
মার্কিন
কনস্যুলেট
জেনারেল
জানিয়েছে,
ভিসা
স্লট
আবার
চালু
হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের
দূতাবাস

ওয়েবসাইটে
অ্যাপয়েন্টমেন্ট
পাওয়া
যাচ্ছে
কিনা
তা
নিয়মিত
দেখার
পরামর্শ
দেওয়া
হয়েছে।

কনস্যুলেটের
একজন
মুখপাত্র
বলেন,
‘আমরা
আবেদনকারীদের
সম্পূর্ণ
যাচাই-বাছাই
করছি
যাতে
নিশ্চিত
হওয়া
যায়
যে
তারা
আমেরিকায়
বা
আমাদের
স্বার্থে
ক্ষতি
করার
উদ্দেশ্যে
নয়
এবং
তারা
যে
ভিসার
জন্য
আবেদন
করছে
তার
শর্ত
অনুযায়ীই
কর্মকাণ্ডে
যুক্ত
থাকবে।
আমরা
আবেদনকারীদের
যত
দ্রুত
সম্ভব
আবেদন
করার
পরামর্শ
দিচ্ছি
এবং
যেন
তারা
এই
ক্যাটাগরির
জন্য
অতিরিক্ত
প্রক্রিয়াকালীন
সময়
বিবেচনা
করে।’

গত
বছর
ভারত
চীনকে
পেছনে
ফেলে
যুক্তরাষ্ট্রে
শিক্ষার্থী
পাঠানোর
দিক
থেকে
শীর্ষে
উঠে
আসে।
অর্থাৎ
মোট
৩.৩
লক্ষ
ভারতীয়
শিক্ষার্থী
সে
বছর
যুক্তরাষ্ট্রে
পাড়ি
জমান।

ভারতের
পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের
তথ্য
অনুযায়ী,
২০২৪
সালের

জানুয়ারি
পর্যন্ত
১১.৬
লাখের
বেশি
ভারতীয়
শিক্ষার্থী
বিশ্বের
বিভিন্ন
উচ্চশিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে
অধ্যয়নরত
ছিলেন
এবং
ইউরোপ
একটি
শিক্ষাগন্তব্য
হিসেবে
ক্রমাগত
জনপ্রিয়তা
পাচ্ছে।


সূত্র:
এনডিটিভি