১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী-শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, জামাই গ্রেপ্তার

  • Voice24 Admin
  • Update Time : ১২:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪৩ Time View
গ্রেপ্তার বাদল খান

বরিশাল: স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খান (৪৫) পিরোজপুরে ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরের ধাওয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান।

এর আগে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন কোমলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন নদীপথে অভিযান পরিচালনা করে মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র‌্যাব জানায় চলতি বছরের গত ৫ মে রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তার মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খান তার চতুর্থ স্ত্রী চম্পা বেগম (৩৫) এবং শাশুড়ি বিলকিস ওরফে বিলুকে (৭০) ঘরের ভেতর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এছাড়া ওই সময় বাদল খান তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইয়াছিনকে (১০) ঘুমন্ত অবস্থায় টেনে নিয়ে বাথরুমে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ইয়াছিন কোনো রকমে অভিযুক্তের কাছ থেকে দৌড়ে পালিয়ে প্রতিবেশীদের কাছে যায় এবং ঘটনা জানায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় লাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে পুলিশে খবর দিলে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।  তবে এর আগেই ঘাতক মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খান পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতদের স্বজন মো. শানু খান বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে তিনবার বিয়ে করেছিলেন। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বসবাস করতেন।

এদিকে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার জানান, পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা যাচ্ছে। মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খান ঘটনার ২০ দিন আগে ৪র্থ বিয়ে করেন। এখানে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্যাগঃ

স্ত্রী-শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, জামাই গ্রেপ্তার

Update Time : ১২:০০:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
গ্রেপ্তার বাদল খান

বরিশাল: স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খান (৪৫) পিরোজপুরে ভান্ডারিয়া উপজেলা সদরের ধাওয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অমিত হাসান।

এর আগে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানাধীন কোমলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন নদীপথে অভিযান পরিচালনা করে মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র‌্যাব জানায় চলতি বছরের গত ৫ মে রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তার মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খান তার চতুর্থ স্ত্রী চম্পা বেগম (৩৫) এবং শাশুড়ি বিলকিস ওরফে বিলুকে (৭০) ঘরের ভেতর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এছাড়া ওই সময় বাদল খান তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইয়াছিনকে (১০) ঘুমন্ত অবস্থায় টেনে নিয়ে বাথরুমে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ইয়াছিন কোনো রকমে অভিযুক্তের কাছ থেকে দৌড়ে পালিয়ে প্রতিবেশীদের কাছে যায় এবং ঘটনা জানায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় লাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে পুলিশে খবর দিলে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।  তবে এর আগেই ঘাতক মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খান পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহতদের স্বজন মো. শানু খান বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে তিনবার বিয়ে করেছিলেন। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বসবাস করতেন।

এদিকে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার জানান, পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা যাচ্ছে। মো. ওবায়দুল হক ওরফে বাদল খান ঘটনার ২০ দিন আগে ৪র্থ বিয়ে করেন। এখানে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।