০৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার চালকদের কর্মবিরতি, যাত্রীদের দুর্ভোগ

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • ৫৯৮ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলাজুড়ে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। সকালে স্ট্যান্ড থেকে কোনো অটোরিকশা ছেড়ে যায়নি। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

একাধিক যাত্রী জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা না থাকায় তারা টমটম নিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তার মধ্যে অটোরিকশার চালকরা টমটম থামিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ না দিলে মামলা ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন। আমাদের ৫২টি অটোরিকশা জব্দ করা রয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশার লাইসেন্স কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মালিক-চালকেরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের পদে পদে হয়রানি করা হচ্ছে।’’  

অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের জব্দকৃত অটোরিকশা নিঃশর্তভাবে ছাড়তে হবে। পারমিট অনুযায়ী আমাদের জেলার সর্বত্র চলতে দিতে হবে ও জেলা ট্রাফিকের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।’’ 

দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতারা। 

শনিবার (২৬ জুলাই) শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকেরা। 

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কাগজপত্র নেই বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে, তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র আছে, তারা নির্বিঘ্নে চলতে পারছেন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘তারা চাচ্ছেন, তাদের কোনো গাড়ি যেন আমরা না ধরি। ট্রাফিক পুলিশ যেন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে। এটা তো হয় না।’’ 

ট্যাগঃ

টিভিতে আজকের খেলা (২২ ডিসেম্বর, ২০২৫)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশার চালকদের কর্মবিরতি, যাত্রীদের দুর্ভোগ

সময়ঃ ১২:০৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলাজুড়ে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। সকালে স্ট্যান্ড থেকে কোনো অটোরিকশা ছেড়ে যায়নি। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

একাধিক যাত্রী জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা না থাকায় তারা টমটম নিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তার মধ্যে অটোরিকশার চালকরা টমটম থামিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ না দিলে মামলা ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছেন। আমাদের ৫২টি অটোরিকশা জব্দ করা রয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশার লাইসেন্স কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে মালিক-চালকেরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের পদে পদে হয়রানি করা হচ্ছে।’’  

অটোরিকশার মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের জব্দকৃত অটোরিকশা নিঃশর্তভাবে ছাড়তে হবে। পারমিট অনুযায়ী আমাদের জেলার সর্বত্র চলতে দিতে হবে ও জেলা ট্রাফিকের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।’’ 

দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতারা। 

শনিবার (২৬ জুলাই) শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক ও চালকেরা। 

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘‘ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কাগজপত্র নেই বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে, তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র আছে, তারা নির্বিঘ্নে চলতে পারছেন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘তারা চাচ্ছেন, তাদের কোনো গাড়ি যেন আমরা না ধরি। ট্রাফিক পুলিশ যেন কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে। এটা তো হয় না।’’