জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ করছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী খাতুন। বহিষ্কারের একদিন না পেরোতেই তার এমন উপস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত তাকে জবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ক্যাফেটেরিয়ার আশেপাশে ও কাঁঠালতলায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞা হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শিক্ষিকাকে দেখে আমরা হতবাক। এটি তার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রমাণ ও প্রশাসনের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “তার এ আচরণই প্রমাণ করে, আমাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিল। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেব।”
তবে সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌসী খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মিটিং এ আছেন বলে জানান তারা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ফেরদৌসী খাতুনকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আদেশে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে জালিয়াতি, মূল্যায়নে স্বেচ্ছাচারিতা, সহকর্মী ও কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকি এবং অশালীন ভাষায় কটূক্তির মতো অসদাচরণের বিষয় উল্লেখ ছিল।
এর আগেও, তার বিরুদ্ধে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম, ভিন্ন নামে গবেষণা প্রকাশ, নিয়মিত ক্লাস না নেওয়া, ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্বে গাফিলতি, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। এসব কারণে বিভাগীয় শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।