০২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক মোশারেফ ও শাকিলের ওপর হামলায় ডিআরইউ এর নিন্দা

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৪৮ Time View

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৭ আগস্ট ২০২৫  

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য মোশারেফ হোসেন সিকদার (নোমান মোশারেফ) ও কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী শাকিলসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

এদিকে, এ হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে মোশারেফ হোসেন সিকদার ও কেফায়েত উল্লাহ চৌধূরী শাকিল নিউ নেশনের সহকর্মী মো. শিমুল হাসান একসঙ্গে মোটরসাইকেলে ডিআরইউতে যাওয়ার পথে রাস্তা পারাপারের সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৫-৪১৮৭) তাদের গতিরোধ করে। এতে মোশারেফ হোসেন সিকদার মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে নেমে যান। 

এ সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই ড্রাইভারের সিটে বসা এক ব্যক্তি লাঠি বের করে তাকে আঘাত করে। মাথায় হেলমেট থাকায় শরীরে আঘাত লাগে। তিনি লাঠির আঘাত প্রতিহত করতে গেলে লাঠির এক প্রান্তের খোঁচায় ড্রাইভারের ভ্রুতে সামান্য আঘাত লাগে। এ সময় শিমুল হাসান ড্রাইভারকে প্রতিহত করতে গেলে তাকে গাড়ির ভেতর থেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। একই সময় গাড়ির ভেতরে থাকা কয়েকজন নেমে এসে আরো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল এবং ঘুষি দিতে থাকে। তারা এক প্রকার মব সৃষ্টি করে। পরে প্রেসক্লাবের পুলিশ বক্সে গিয়ে তারা পুলিশ নিয়ে আসে এবং পুলিশ দিয়ে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটায়। 

আশপাশে থাকা সাংবাদিকরা এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে পুলিশ তাদেরও পেটায়। এ সময় আশপাশের সহকর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ দ্রুত মোশারেফ হোসেন সিকদার এবং শিমুল হাসানকে পুলিশ বক্সে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক সপ্তমি মন্ডল রিতু এবং দৈনিক খোলা বাজার পত্রিকার সাংবাদিক রোজিনা বেগম পুলিশি হেনস্তার শিকার হন।

পুলিশ বক্সে নিয়ে তাদের দুজনকে এলোপাথারি বেধড়ক পেটানোর সময় বাংলাভিশন টেলিভিশনের রিপোর্টার কেফায়েত শাকিল এর ভিডিও করতে গেলে তাকেও হেনস্তার শিকার হতে হয়। তাকেও পুলিশ আঘাত করে। পরে বাংলা ভিশন ক্যামেরা রেকর্ডিং শুরু করলে পুলিশ মোশারেফ হোসেন এবং শিমুলকে বক্সের ভেতর থেকে বের করে দেয়। পরে সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাবলু, গাযী আনোয়ার, শাহীন হাসনাত, ইয়াসির ওয়ার্দার তন্ময়সহ কয়েক আহত সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, মোশারেফ হোসেন সিকদার (নোমান মোশারেফ) ও কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী শাকিলের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

ট্যাগঃ

সাংবাদিক মোশারেফ ও শাকিলের ওপর হামলায় ডিআরইউ এর নিন্দা

সময়ঃ ১২:০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৭ আগস্ট ২০২৫  

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য মোশারেফ হোসেন সিকদার (নোমান মোশারেফ) ও কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী শাকিলসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

এদিকে, এ হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে, বুধবার (২৭ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে মোশারেফ হোসেন সিকদার ও কেফায়েত উল্লাহ চৌধূরী শাকিল নিউ নেশনের সহকর্মী মো. শিমুল হাসান একসঙ্গে মোটরসাইকেলে ডিআরইউতে যাওয়ার পথে রাস্তা পারাপারের সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৫-৪১৮৭) তাদের গতিরোধ করে। এতে মোশারেফ হোসেন সিকদার মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে নেমে যান। 

এ সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই ড্রাইভারের সিটে বসা এক ব্যক্তি লাঠি বের করে তাকে আঘাত করে। মাথায় হেলমেট থাকায় শরীরে আঘাত লাগে। তিনি লাঠির আঘাত প্রতিহত করতে গেলে লাঠির এক প্রান্তের খোঁচায় ড্রাইভারের ভ্রুতে সামান্য আঘাত লাগে। এ সময় শিমুল হাসান ড্রাইভারকে প্রতিহত করতে গেলে তাকে গাড়ির ভেতর থেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। একই সময় গাড়ির ভেতরে থাকা কয়েকজন নেমে এসে আরো কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল এবং ঘুষি দিতে থাকে। তারা এক প্রকার মব সৃষ্টি করে। পরে প্রেসক্লাবের পুলিশ বক্সে গিয়ে তারা পুলিশ নিয়ে আসে এবং পুলিশ দিয়ে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটায়। 

আশপাশে থাকা সাংবাদিকরা এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে পুলিশ তাদেরও পেটায়। এ সময় আশপাশের সহকর্মীরা জড়ো হলে পুলিশ দ্রুত মোশারেফ হোসেন সিকদার এবং শিমুল হাসানকে পুলিশ বক্সে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক সপ্তমি মন্ডল রিতু এবং দৈনিক খোলা বাজার পত্রিকার সাংবাদিক রোজিনা বেগম পুলিশি হেনস্তার শিকার হন।

পুলিশ বক্সে নিয়ে তাদের দুজনকে এলোপাথারি বেধড়ক পেটানোর সময় বাংলাভিশন টেলিভিশনের রিপোর্টার কেফায়েত শাকিল এর ভিডিও করতে গেলে তাকেও হেনস্তার শিকার হতে হয়। তাকেও পুলিশ আঘাত করে। পরে বাংলা ভিশন ক্যামেরা রেকর্ডিং শুরু করলে পুলিশ মোশারেফ হোসেন এবং শিমুলকে বক্সের ভেতর থেকে বের করে দেয়। পরে সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাবলু, গাযী আনোয়ার, শাহীন হাসনাত, ইয়াসির ওয়ার্দার তন্ময়সহ কয়েক আহত সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, মোশারেফ হোসেন সিকদার (নোমান মোশারেফ) ও কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী শাকিলের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী