০১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ, স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৮ Time View

রাজশাহীর শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভিভাবকেরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা স্কুল গিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন তারা। 

স্কুলটি রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। এখানে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শাহাবুব আলম। তিনি সহকারী শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ, সুযোগ পেলেই তিনি শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন। গত ২ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর সিঁড়িতে একা পেয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানি করেন। 

কয়েক দিনে এ ঘটনার কথা অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। দাবি জানান, দ্রুত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। তবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করে দেন। ফলে শাহাবুব আলম এ দিন আর স্কুলে যাননি।

বিক্ষোভ চলাকালে অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, শিক্ষক শাহাবুব আলম নানা অজুহাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত দেন। কখনো কখনো শ্লীলতাহানিও করেন। সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর তিনি চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে এমনটি করেছেন। ভয়ে মেয়েটি এখন স্কুলে আসছে না। 

অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাবুব আলম বলেন, ‘‘চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির কথা বলা হচ্ছে। এটা কী করে সম্ভব? আমি আসলে এ রকম না। এটা স্কুলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আজ (সোমবার) স্কুলে এ রকম ঘটনার কারণে প্রধান শিক্ষক আমাকে যেতে নিষেধ করেন। তাই আমি যাইনি। এখন তদন্ত হবে, আমি ছুটি নেব।’’ 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘গতকাল (রবিবার) অভিভাবকেরা আমার কাছে এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন যে, শাহাবুব আলম শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন, মারধর করেন। যে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে ২ সেপ্টেম্বর কোনো শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির কথা বলা নেই।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘এই স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক)। আমি তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। তদন্ত করে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।’’

ট্যাগঃ

ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ, স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ

সময়ঃ ১২:০১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর শহীদ নজমুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে অভিভাবকেরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা স্কুল গিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন তারা। 

স্কুলটি রাজশাহী নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। এখানে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শাহাবুব আলম। তিনি সহকারী শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ, সুযোগ পেলেই তিনি শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন। গত ২ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর সিঁড়িতে একা পেয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানি করেন। 

কয়েক দিনে এ ঘটনার কথা অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা। দাবি জানান, দ্রুত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। তবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করে দেন। ফলে শাহাবুব আলম এ দিন আর স্কুলে যাননি।

বিক্ষোভ চলাকালে অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, শিক্ষক শাহাবুব আলম নানা অজুহাতে ছাত্রীদের গায়ে হাত দেন। কখনো কখনো শ্লীলতাহানিও করেন। সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর তিনি চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে এমনটি করেছেন। ভয়ে মেয়েটি এখন স্কুলে আসছে না। 

অভিযুক্ত শিক্ষক শাহাবুব আলম বলেন, ‘‘চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির কথা বলা হচ্ছে। এটা কী করে সম্ভব? আমি আসলে এ রকম না। এটা স্কুলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আজ (সোমবার) স্কুলে এ রকম ঘটনার কারণে প্রধান শিক্ষক আমাকে যেতে নিষেধ করেন। তাই আমি যাইনি। এখন তদন্ত হবে, আমি ছুটি নেব।’’ 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘গতকাল (রবিবার) অভিভাবকেরা আমার কাছে এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন যে, শাহাবুব আলম শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেন, মারধর করেন। যে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে ২ সেপ্টেম্বর কোনো শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির কথা বলা নেই।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘এই স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক)। আমি তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। তদন্ত করে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।’’