চট্টগ্রাম: পে অর্ডার জালিয়াতির অভিযোগে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের দুই ছেলে, এক উপ কর কমিশনার এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাত কর্মকর্তাসহ ১০ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন, সাইফুল আলমের ছেলে আসাদুল আলম মাহির ও আশরাফুল আলম, কর কর্মকর্তা চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর সাবেক উপ কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আমির হোসাইন, মো. আহসানুল হক, মো. রুহুল আমিন, শামীম আক্তার, মো. আনিস উদ্দিন ও গাজী মোহাম্মদ ইয়াকুব।
মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ পরিচালক সুবেল আহমেদ।
এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে আয়কর রিটার্নে আসাদুল আলম মাহির ২৯ জুন তারিখের পে-অর্ডারের মাধ্যমে কর দেওয়ার তথ্য দেন। একই সঙ্গে ব্যাংক হিসাবে ওই দিন ২৫ কোটি টাকা জমা ও উত্তোলন দেখানো হয়। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে দেখা যায়, যে ব্যাংক হিসাবে পে-অর্ডার ইস্যু ও হিসাব বিবরণী দাখিলের তথ্য দেখানো হয়, সেই হিসাবটি খোলা হয় ওই ঘটনার আরও ৫ মাস ২০ দিন পর, একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর। টাকা জমার কোনো রশিদও পাওয়া যায়নি।
২০ ডিসেম্বর ব্যাংকে কোনো লেনদেনের তথ্য না থাকলেও ওই তারিখে জমার রশিদ পাওয়া গেছে। একইভাবে, আশরাফুল আলমের ব্যাংক হিসাবে ২০২১ সালের ২৯ জুন পে-অর্ডার ইস্যু দেখানো হলেও সেদিন হিসাবে কোনো টাকা ছিল না। পে-অর্ডারের অর্থ জমার কোনো রশিদও পাওয়া যায়নি। ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আসামিরা তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ২০ ডিসেম্বরের লেনদেন পাঁচ মাস আগে ২৯ জুন দেখিয়েছেন।
এমআই/টিসি