এদিকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহিবুর রহমানকে দেখা গেছে, তিনি নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের একটি কক্ষে বসে ফোনে কথা বলছেন। তবে ভিডিওটি কখনকার, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিকউস সালেহীনসহ কয়েকজন নেতাকেও ক্যাম্পাসে দেখা গেছে।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন, ‘নির্বাচনের আগের রাতে নাটকীয়তা করছে জাকসু নির্বাচন কমিশন। সাবেক ছাত্রদল নেতা, যুবদল নেতা, আহ্বায়ক ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের নিয়ে কমিশন অফিসে বৈঠক, দিনের পরিবর্তে রাতে ব্যালট বক্স পরিবহন ও ভিডিও করতে নিলে ছাত্রদল নেতার সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেওয়া, বহিরাগত সমাগম এড়ানোর ব্যর্থতা, পোলিং এজেন্ট নিয়ে সিদ্ধান্তে না আসা, ডোপ টেস্ট নিয়ে ধোঁয়াশা— সব মিলিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক একটি পরিস্থিতি স্পষ্ট।’
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে ব্যালট বক্স নিয়ে যাওয়ার সময় ভিডিও ধারণ করছিলেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ কয়েকজন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন। ওই সাংবাদিক ভিডিও করছে দেখতে পেয়ে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রোজেন ওই সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে ফেলেন।