০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন: নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’, তবে ফলাফল মেনে নেবে বাগছাস

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৩ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ বলে বর্ণনা করলেও ভোটের ফলাফল যা-ই হোক, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক চর্চা ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ক্ষমতার ভারসাম্যের খাতিয়ে তা মেনে নেবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। 

গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাগছাস নেতারা এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাগছাস সমর্থিত‘ শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী ও বাগছাস জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জল।

লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে কথা বলেন বাগছাসের সদস্য সচিব এবং ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিয়াম বলেন, “জাকসু যে শুরু হলো, এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। বিশেষ করে সাত-আট হাজার শিক্ষার্থী এত প্রতিকূলতার পরে ভোট দিয়েছেন, এ বিষয়টিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এ জন্যই আমরা বলছি, এই নির্বাচনটা আমরা বর্জন করছি না। কিন্তু এই নির্বাচনটা যে ত্রুটিযুক্ত, সেটা আমরা অ্যাড্রেস করছি।”

তিনি বলেন, “তবে আমরা বলছি, ৩২ বছরের নো-জাকসু কাটিয়ে আমরা একটা ব্যাড ইলেকশনের মাধ্যমে হলেও যে জাকসু আমরা পেয়েছি, তা দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্ষমতার ভারসাম্য আনার জন্য এই জাকসুটা আমাদের দরকার।” 

“আমরা মনে করি, এই জাকসু যদি আমরা বর্জন করি, এটা যদি বানচালের দিকে যায়, তাহলে হয়তো এই প্রশাসন আমাদের সামনে আবারো একটা তেত্রিশ বছরের জটলা আনবে। সেটি হলে জাহাঙ্গীরনগরের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলবে,” বলেন সিয়াম।

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বলা হয়, ফলাফল যা-ই হোক, তারা তা মেনে নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যেও ফলাফল মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়। আরিফুজ্জামান উজ্জল লিখিত বক্তব্যে বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিলো স্পষ্ট। মনোনয়ন দাখিলের সময় বাড়ানো, প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের পর হঠাৎ করে ভিপি পদপ্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল, ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি, এসব ঘটনা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

তিনি বলেন, সব প্রার্থী ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করলেও এখনো ফল প্রকাশ হয়নি। যদি কোনো বিজয়ী প্রার্থীর ফল পজিটিভ আসে, তবে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হবে, যার সুনির্দিষ্ট সমাধান নির্বাচন কমিশন জানায়নি।

ভোটের আগের রাতে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিতি, পুলিশ পাহারা ছাড়া ব্যালট বাক্স পরিবহন এবং পোলিং এজেন্ট নিয়োগে অব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি করেছে বলে তুলে ধরেন আরিফুজ্জামান উজ্জল।

ভোট গ্রহণের দিনও অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ তোলে বাগছাস। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিভিন্ন হলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার হয়নি বা সহজেই মুছে গেছে। অনেক ব্যালটে ছবি না থাকায় জাল ভোটের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফজিলতুন্নেসা, তাজউদ্দীন ও রফিক-জব্বার হলে ভোটার পরিচয় যাচাই না করেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। আবার বেশ কয়েকটি হলে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারা ভোটকেন্দ্রে  লিফলেট বিতরণ, টোকেন সরবরাহ, লাইন জ্যামিং এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করেছেন।

নির্বাচনের আগের রাতে তাদের বিরুদ্ধে গুজব ও প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করে আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, যা আসলে নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টা ছিল।

বাগছাস মনে করে, প্রশাসন অনিচ্ছা সত্ত্বেও নির্বাচন আয়োজন করেছে এবং যথাযথ প্রস্তুতির অভাবের সুযোগ নিয়েছে একটি নির্দিষ্ট পক্ষ। তবে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করেছেন।

আরিফুজ্জামান উজ্জল লিখিত বক্তব্যে বলেন, “অসংখ্য অনিয়ম ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার স্বার্থে একটি দুর্বল জাকসুও জাকসু না থাকার চেয়ে ভালো।”

নির্বাচন কমিশনের সমন্বয়হীনতা, অদক্ষতা, প্রস্তুতির অভাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই নির্বাচন বিতর্কিত হওয়ার সব দায়ভার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকেই নিতে হবে। 

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হলো। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ হয়। তবে প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময় পর রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। 

এদিকে ভোটগ্রহণের মধ্যে মধ্যাহ্নের পর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে আগে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলসহ একে একে পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। জাকসু নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন তারা। তবে এই দাবিরবিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গণনা শেষে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল দিতে দিতে শুক্রবার দুপুর হয়ে যেতে পারে।

২৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় বাগছাস জাবি শাখা। ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ নামে এই প্যানেলে ভিপি পদে বাগছাসের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল এবং জিএস পদে রয়েছেন সদস্য সচিব আবু তৌহিদ মো. সিয়াম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে মালিহা নামলাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে জিয়া উদ্দিন আয়ান লড়াই করেছেন।

ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেল জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন আবু তৌহিদ মো. সিয়াম। 

ট্যাগঃ

টিভিতে আজকের খেলা (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫)

গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন: নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’, তবে ফলাফল মেনে নেবে বাগছাস

সময়ঃ ১২:০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ বলে বর্ণনা করলেও ভোটের ফলাফল যা-ই হোক, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক চর্চা ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ক্ষমতার ভারসাম্যের খাতিয়ে তা মেনে নেবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)। 

গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাগছাস নেতারা এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাগছাস সমর্থিত‘ শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী ও বাগছাস জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জল।

লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে কথা বলেন বাগছাসের সদস্য সচিব এবং ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিয়াম বলেন, “জাকসু যে শুরু হলো, এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। বিশেষ করে সাত-আট হাজার শিক্ষার্থী এত প্রতিকূলতার পরে ভোট দিয়েছেন, এ বিষয়টিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এ জন্যই আমরা বলছি, এই নির্বাচনটা আমরা বর্জন করছি না। কিন্তু এই নির্বাচনটা যে ত্রুটিযুক্ত, সেটা আমরা অ্যাড্রেস করছি।”

তিনি বলেন, “তবে আমরা বলছি, ৩২ বছরের নো-জাকসু কাটিয়ে আমরা একটা ব্যাড ইলেকশনের মাধ্যমে হলেও যে জাকসু আমরা পেয়েছি, তা দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্ষমতার ভারসাম্য আনার জন্য এই জাকসুটা আমাদের দরকার।” 

“আমরা মনে করি, এই জাকসু যদি আমরা বর্জন করি, এটা যদি বানচালের দিকে যায়, তাহলে হয়তো এই প্রশাসন আমাদের সামনে আবারো একটা তেত্রিশ বছরের জটলা আনবে। সেটি হলে জাহাঙ্গীরনগরের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলবে,” বলেন সিয়াম।

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বলা হয়, ফলাফল যা-ই হোক, তারা তা মেনে নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যেও ফলাফল মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়। আরিফুজ্জামান উজ্জল লিখিত বক্তব্যে বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিলো স্পষ্ট। মনোনয়ন দাখিলের সময় বাড়ানো, প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের পর হঠাৎ করে ভিপি পদপ্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল, ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি, এসব ঘটনা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

তিনি বলেন, সব প্রার্থী ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করলেও এখনো ফল প্রকাশ হয়নি। যদি কোনো বিজয়ী প্রার্থীর ফল পজিটিভ আসে, তবে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হবে, যার সুনির্দিষ্ট সমাধান নির্বাচন কমিশন জানায়নি।

ভোটের আগের রাতে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিতি, পুলিশ পাহারা ছাড়া ব্যালট বাক্স পরিবহন এবং পোলিং এজেন্ট নিয়োগে অব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি করেছে বলে তুলে ধরেন আরিফুজ্জামান উজ্জল।

ভোট গ্রহণের দিনও অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ তোলে বাগছাস। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিভিন্ন হলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার হয়নি বা সহজেই মুছে গেছে। অনেক ব্যালটে ছবি না থাকায় জাল ভোটের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফজিলতুন্নেসা, তাজউদ্দীন ও রফিক-জব্বার হলে ভোটার পরিচয় যাচাই না করেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। আবার বেশ কয়েকটি হলে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারা ভোটকেন্দ্রে  লিফলেট বিতরণ, টোকেন সরবরাহ, লাইন জ্যামিং এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করেছেন।

নির্বাচনের আগের রাতে তাদের বিরুদ্ধে গুজব ও প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করে আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, যা আসলে নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টা ছিল।

বাগছাস মনে করে, প্রশাসন অনিচ্ছা সত্ত্বেও নির্বাচন আয়োজন করেছে এবং যথাযথ প্রস্তুতির অভাবের সুযোগ নিয়েছে একটি নির্দিষ্ট পক্ষ। তবে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করেছেন।

আরিফুজ্জামান উজ্জল লিখিত বক্তব্যে বলেন, “অসংখ্য অনিয়ম ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার স্বার্থে একটি দুর্বল জাকসুও জাকসু না থাকার চেয়ে ভালো।”

নির্বাচন কমিশনের সমন্বয়হীনতা, অদক্ষতা, প্রস্তুতির অভাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই নির্বাচন বিতর্কিত হওয়ার সব দায়ভার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকেই নিতে হবে। 

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হলো। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ হয়। তবে প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি সময় পর রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। 

এদিকে ভোটগ্রহণের মধ্যে মধ্যাহ্নের পর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে আগে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলসহ একে একে পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। জাকসু নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন তারা। তবে এই দাবিরবিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গণনা শেষে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল দিতে দিতে শুক্রবার দুপুর হয়ে যেতে পারে।

২৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় বাগছাস জাবি শাখা। ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ নামে এই প্যানেলে ভিপি পদে বাগছাসের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল এবং জিএস পদে রয়েছেন সদস্য সচিব আবু তৌহিদ মো. সিয়াম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে মালিহা নামলাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে জিয়া উদ্দিন আয়ান লড়াই করেছেন।

ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেল জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন আবু তৌহিদ মো. সিয়াম।