০৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রত‌্যাশা মেটাতে না পারার আক্ষেপ জ‌্যোতির কণ্ঠে

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৪৯ Time View

প্রকাশিত: ২৩:১০, ২৮ অক্টোবর ২০২৫  

স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়া। চেষ্টাও ছিল তেমন। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নিজেদের প্রত‌্যাশা মেটাতে পারেননি। আট দলের বিশ্বকাপে সাতে থেকে শেষ করেছে।

পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল দল। এরপর ইংল‌্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় বাগে পেয়ে গিয়েছিল টাইগ্রেসরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে বাংলাদেশ জয়ের পথেই ছিল। কিন্তু ১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস‌্য হারের তিক্ত স্বাদ পায়। শেষ ম‌্যাচে ভারতের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে শেষ হয় বিশ্বকাপ যাত্রা।

আজ সন্ধ‌্যাতেই দল ফিরেছে দেশে। বাংলাদেশের সামর্থ‌্য সম্পর্কে বিশ্বকে একটি বার্তা দিতে পেরেছেন জ‌্যোতিরা। তবে এই বার্তা দেওয়াতেই সন্তুষ্ট হতে চান না তারা। জিততে চান। বড় অর্জনে নিজেদের নাম দেখতে চান। এজন‌্য এখন থেকেই পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চান জ‌্যোতি। দেশে ফিরে গণমাধ‌্যমে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আপনি যখন একটা বিশ্বকাপ খেলতে যাবেন, আপনি ৬ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে হবে না। অন্য দলগুলো দুই বছর আগে থেকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেয়। ওইভাবে আমাদের এগোতে হবে। যেহেতু এই দলটা সক্ষমতা রাখে ভালোভাবে ক্রিকেট খেলার। আমরা আরও পরিণত ক্রিকেট খেললে হয়তো আমরা আজকে ফেরত আসতাম না। সেমি-ফাইনালে খেলতে পারতাম। এই জিনিসগুলো উতরাতে হলে ক্রিকেটারদের আরও বেশি মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করা দরকার। পরের বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকে আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিৎ।’’

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ছয় মাস কোনো আন্তর্জাতিক ম‌্যাচের স্বাদ পায়নি। প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল তা যাওয়ার আগেও স্বীকার করেছিলেন জ‌্যোতি। ফেরার পর আক্ষেপের সঙ্গে একই সুর পাওয়া গেল, ‘‘দল হিসেবে আমরা যদি ধারাবাহিক হতে পারি, তাহলে বড় ম্যাচ আমাদের ধরতে পারা সম্ভব হবে। প্রথমত আমি মনে করি যে, দুইটা না অনেকগুলো ম্যাচেই আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা আমরা ছিনিয়ে নিতে পারিনি। দল হিসেবে বলব, এটা আমাদের ব্যর্থতা। অবশ্যই প্রস্তুতির একটা বিষয় আছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ, দীর্ঘ সময় ম্যাচ না খেলার একটা ঘাটতি তো ছিলই। বড় টুর্নামেন্টগুলোয় কঠিন সময়গুলোতে কীভাবে উতরাতে হয়, স্নায়ু ধরে রেখে পারফর্ম করতে হয়, দলকে ওই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে হয়, এগুলো আপনি সেখানে শিখবেন। আমি এখনও বলব আমাদের অভিজ্ঞতার এখনও বেশ ঘাটতি আছে।’’ 

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে জ‌্যোতি পুরোপুরি অসন্তুষ্ট, ‘‘ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সেরাটা দিয়ে ব্যাটিং করতে পারিনি। আমার অফ ফর্মটা দলকে ভুগিয়েছে বেশি। কারণ দেখেন, যখন ভালো করি তখন একটা ভালো স্কোর থাকে। কারণ আমি অন্যরকমভাবে ব্যটিং করতে পছন্দ করি। তো আমি সেভাবে দলকে সহায়তা করতে পারিনি। যেটা বলব যে, একটা অভাব রয়ে গিয়েছিল।’’ ৭ ম‌্যাচে মাত্র ১৫৭ রান করেছেন অধিনায়ক। ফিফটি মাত্র ১টি। যে ম‌্যাচে ৭৭ রান করেছিলেন সেই ম‌্যাচটিও হেরেছিল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন

ট্যাগঃ

প্রত‌্যাশা মেটাতে না পারার আক্ষেপ জ‌্যোতির কণ্ঠে

সময়ঃ ১২:০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

প্রকাশিত: ২৩:১০, ২৮ অক্টোবর ২০২৫  

স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোঁয়া। চেষ্টাও ছিল তেমন। কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নিজেদের প্রত‌্যাশা মেটাতে পারেননি। আট দলের বিশ্বকাপে সাতে থেকে শেষ করেছে।

পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল দল। এরপর ইংল‌্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় বাগে পেয়ে গিয়েছিল টাইগ্রেসরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে বাংলাদেশ জয়ের পথেই ছিল। কিন্তু ১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস‌্য হারের তিক্ত স্বাদ পায়। শেষ ম‌্যাচে ভারতের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে শেষ হয় বিশ্বকাপ যাত্রা।

আজ সন্ধ‌্যাতেই দল ফিরেছে দেশে। বাংলাদেশের সামর্থ‌্য সম্পর্কে বিশ্বকে একটি বার্তা দিতে পেরেছেন জ‌্যোতিরা। তবে এই বার্তা দেওয়াতেই সন্তুষ্ট হতে চান না তারা। জিততে চান। বড় অর্জনে নিজেদের নাম দেখতে চান। এজন‌্য এখন থেকেই পরের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চান জ‌্যোতি। দেশে ফিরে গণমাধ‌্যমে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আপনি যখন একটা বিশ্বকাপ খেলতে যাবেন, আপনি ৬ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে হবে না। অন্য দলগুলো দুই বছর আগে থেকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেয়। ওইভাবে আমাদের এগোতে হবে। যেহেতু এই দলটা সক্ষমতা রাখে ভালোভাবে ক্রিকেট খেলার। আমরা আরও পরিণত ক্রিকেট খেললে হয়তো আমরা আজকে ফেরত আসতাম না। সেমি-ফাইনালে খেলতে পারতাম। এই জিনিসগুলো উতরাতে হলে ক্রিকেটারদের আরও বেশি মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করা দরকার। পরের বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকে আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিৎ।’’

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ছয় মাস কোনো আন্তর্জাতিক ম‌্যাচের স্বাদ পায়নি। প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল তা যাওয়ার আগেও স্বীকার করেছিলেন জ‌্যোতি। ফেরার পর আক্ষেপের সঙ্গে একই সুর পাওয়া গেল, ‘‘দল হিসেবে আমরা যদি ধারাবাহিক হতে পারি, তাহলে বড় ম্যাচ আমাদের ধরতে পারা সম্ভব হবে। প্রথমত আমি মনে করি যে, দুইটা না অনেকগুলো ম্যাচেই আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা আমরা ছিনিয়ে নিতে পারিনি। দল হিসেবে বলব, এটা আমাদের ব্যর্থতা। অবশ্যই প্রস্তুতির একটা বিষয় আছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ, দীর্ঘ সময় ম্যাচ না খেলার একটা ঘাটতি তো ছিলই। বড় টুর্নামেন্টগুলোয় কঠিন সময়গুলোতে কীভাবে উতরাতে হয়, স্নায়ু ধরে রেখে পারফর্ম করতে হয়, দলকে ওই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে হয়, এগুলো আপনি সেখানে শিখবেন। আমি এখনও বলব আমাদের অভিজ্ঞতার এখনও বেশ ঘাটতি আছে।’’ 

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে জ‌্যোতি পুরোপুরি অসন্তুষ্ট, ‘‘ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সেরাটা দিয়ে ব্যাটিং করতে পারিনি। আমার অফ ফর্মটা দলকে ভুগিয়েছে বেশি। কারণ দেখেন, যখন ভালো করি তখন একটা ভালো স্কোর থাকে। কারণ আমি অন্যরকমভাবে ব্যটিং করতে পছন্দ করি। তো আমি সেভাবে দলকে সহায়তা করতে পারিনি। যেটা বলব যে, একটা অভাব রয়ে গিয়েছিল।’’ ৭ ম‌্যাচে মাত্র ১৫৭ রান করেছেন অধিনায়ক। ফিফটি মাত্র ১টি। যে ম‌্যাচে ৭৭ রান করেছিলেন সেই ম‌্যাচটিও হেরেছিল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন