০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলগুলোর নির্বাচনী অঙ্গীকারে কি ‘সবুজ ঢাকা’ থাকবে?

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৫ Time View

ভৌত পরিকল্পনায় ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন কোড কঠোর প্রয়োগ, ফায়ার সেফটি কোড অন্তর্ভুক্ত করে নিয়মিত ইন্সপেকশনের কথা থাকতে হবে।

নগর–উন্নয়ন ও ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে ‘ওয়ান-স্টপ ডিজিটাল পারমিটিং সিস্টেম’ চালু করা জরুরি, যেখানে ভবন নকশা, অনুমোদন ও হোল্ডিং রেকর্ড একক প্ল্যাটফর্মে থাকবে। সিঙ্গাপুর ও সিওল শহরে এমন ডিজিটাল অনুমোদনপদ্ধতি থাকায় উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও সময়ক্ষেপণ ৪০ শতাংশ কমেছে।

তবে যেই দলই সরকার গঠন করুক, একটি দায়িত্বশীল সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত ঢাকার খাল, নদী ও সবুজ এলাকা পুনরুদ্ধারে বিশেষ তহবিল গঠন করা, যার অর্থায়নে হবে পার্ক, খাল ও উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ। যার অর্থায়ন আসবে নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ইমপ্যাক্ট ফি, পরিবেশ ক্ষতিপূরণ ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে। সিআইজিএসের মতে, খাল পুনরুদ্ধারে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট চালু করলে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এই খাল খনন আমরা বিএনপির পরিকল্পনাতে দেখতে পেয়েছি।

বছরে একবার ‘শহরের বসবাসযোগ্যতা ইনডেক্স’ প্রকাশ করা জরুরি, যাতে নাগরিকেরা জানতে পারেন যে ঢাকার বাতাস, পানি, পার্ক ও সেবা খাতের উন্নতি কতটা ঘটছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ড্যাপ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

পরিকল্পনা হবে তথ্য-উপাত্ত ও নাগরিক-কেন্দ্রিক, ব্যবসায়িক চাপে নয়। এসবের পাশাপাশি, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রিয়েল টাইম মনিটরিং ব্যবস্থা, পানির গুণগত মান নিশ্চিতকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধী অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।

ট্যাগঃ

দলগুলোর নির্বাচনী অঙ্গীকারে কি ‘সবুজ ঢাকা’ থাকবে?

সময়ঃ ১২:০১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

ভৌত পরিকল্পনায় ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন কোড কঠোর প্রয়োগ, ফায়ার সেফটি কোড অন্তর্ভুক্ত করে নিয়মিত ইন্সপেকশনের কথা থাকতে হবে।

নগর–উন্নয়ন ও ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে ‘ওয়ান-স্টপ ডিজিটাল পারমিটিং সিস্টেম’ চালু করা জরুরি, যেখানে ভবন নকশা, অনুমোদন ও হোল্ডিং রেকর্ড একক প্ল্যাটফর্মে থাকবে। সিঙ্গাপুর ও সিওল শহরে এমন ডিজিটাল অনুমোদনপদ্ধতি থাকায় উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও সময়ক্ষেপণ ৪০ শতাংশ কমেছে।

তবে যেই দলই সরকার গঠন করুক, একটি দায়িত্বশীল সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত ঢাকার খাল, নদী ও সবুজ এলাকা পুনরুদ্ধারে বিশেষ তহবিল গঠন করা, যার অর্থায়নে হবে পার্ক, খাল ও উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ। যার অর্থায়ন আসবে নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ইমপ্যাক্ট ফি, পরিবেশ ক্ষতিপূরণ ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে। সিআইজিএসের মতে, খাল পুনরুদ্ধারে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট চালু করলে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এই খাল খনন আমরা বিএনপির পরিকল্পনাতে দেখতে পেয়েছি।

বছরে একবার ‘শহরের বসবাসযোগ্যতা ইনডেক্স’ প্রকাশ করা জরুরি, যাতে নাগরিকেরা জানতে পারেন যে ঢাকার বাতাস, পানি, পার্ক ও সেবা খাতের উন্নতি কতটা ঘটছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ড্যাপ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

পরিকল্পনা হবে তথ্য-উপাত্ত ও নাগরিক-কেন্দ্রিক, ব্যবসায়িক চাপে নয়। এসবের পাশাপাশি, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে রিয়েল টাইম মনিটরিং ব্যবস্থা, পানির গুণগত মান নিশ্চিতকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধী অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।