০৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষ কি আসলেই স্বার্থপর

  • Voice24 Admin
  • Update Time : ১২:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ৫৪৬ Time View

টেলর মনে করেন, মানুষের পরোপকারিতার পেছনে বিবর্তনগত কারণ রয়েছে। প্রাচীন যুগে মানুষ দলবদ্ধভাবে শিকারে যেতেন এবং একে অপরকে সহযোগিতা করতেন।

কিছু নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা এখনো আমাদের পূর্বসূরিদের মতো করে জীবনযাপন করেন, তাঁরা সম্পদ ভাগাভাগিতে সমতা বজায় রাখেন।

বিজ্ঞান বলছে, ‘আমাদের বেশির ভাগের মধ্যেই নিঃস্বার্থ হওয়ার স্বাভাবিক ক্ষমতা আছে। কখনো কখনো তা আশ্চর্য রকমের বেশি। তবে তার অর্থ এই নয় যে আমরা সব সময় নিঃস্বার্থ হতে পারি বা হওয়া উচিত।’

আমরা কখন নিজের কথা আগে ভাবি আর কখন অন্যের কথা আগে ভাবি, তা অনেকটাই পরিস্থিতি, আমাদের আগের অভিজ্ঞতা এবং সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে।

যেমন যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের মতো কিছু দেশের মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি আত্মকেন্দ্রিক। আবার এশীয় অঞ্চলের অনেক দেশ আছে যেখানকার মানুষেরা সামষ্টিক চিন্তা করে। তারা নিজেদের চেয়ে গোষ্ঠীর কল্যাণকে বেশি গুরুত্ব দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯ মহামারির সময় গবেষকেরা দেখেছেন, সামষ্টিক সংস্কৃতির মানুষেরা ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংস্কৃতির মানুষের তুলনায় মাস্ক পরার ক্ষেত্রে বেশি সচেতন ছিলেন। তাঁরা অন্যদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন।

সবশেষে বলা যায়, ‘আমাদের অনেকেই অন্যের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে পারেন, আর এটা আমাদের জন্য ভালোও। এই কারণেই আমরা অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা আর সফল হয়েছি। অন্যের খেয়াল রাখা ভালো, তবে নিজের প্রতিও যত্নবান হতে হবে।’

ট্যাগঃ

মানুষ কি আসলেই স্বার্থপর

Update Time : ১২:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

টেলর মনে করেন, মানুষের পরোপকারিতার পেছনে বিবর্তনগত কারণ রয়েছে। প্রাচীন যুগে মানুষ দলবদ্ধভাবে শিকারে যেতেন এবং একে অপরকে সহযোগিতা করতেন।

কিছু নৃতাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা এখনো আমাদের পূর্বসূরিদের মতো করে জীবনযাপন করেন, তাঁরা সম্পদ ভাগাভাগিতে সমতা বজায় রাখেন।

বিজ্ঞান বলছে, ‘আমাদের বেশির ভাগের মধ্যেই নিঃস্বার্থ হওয়ার স্বাভাবিক ক্ষমতা আছে। কখনো কখনো তা আশ্চর্য রকমের বেশি। তবে তার অর্থ এই নয় যে আমরা সব সময় নিঃস্বার্থ হতে পারি বা হওয়া উচিত।’

আমরা কখন নিজের কথা আগে ভাবি আর কখন অন্যের কথা আগে ভাবি, তা অনেকটাই পরিস্থিতি, আমাদের আগের অভিজ্ঞতা এবং সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে।

যেমন যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের মতো কিছু দেশের মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি আত্মকেন্দ্রিক। আবার এশীয় অঞ্চলের অনেক দেশ আছে যেখানকার মানুষেরা সামষ্টিক চিন্তা করে। তারা নিজেদের চেয়ে গোষ্ঠীর কল্যাণকে বেশি গুরুত্ব দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কোভিড-১৯ মহামারির সময় গবেষকেরা দেখেছেন, সামষ্টিক সংস্কৃতির মানুষেরা ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংস্কৃতির মানুষের তুলনায় মাস্ক পরার ক্ষেত্রে বেশি সচেতন ছিলেন। তাঁরা অন্যদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন।

সবশেষে বলা যায়, ‘আমাদের অনেকেই অন্যের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে পারেন, আর এটা আমাদের জন্য ভালোও। এই কারণেই আমরা অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা আর সফল হয়েছি। অন্যের খেয়াল রাখা ভালো, তবে নিজের প্রতিও যত্নবান হতে হবে।’