ভারতের অনেক চিংড়িচাষি এই ধাক্কায় টিকে থাকতে অন্য পণ্য উৎপাদনে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চিংড়ি রপ্তানিকারক দেশ। আর এ খাতে দেশটির প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যান্য শুল্কসহ, চিংড়ির ওপর মোট শুল্ক এখন ৬০ শতাংশের ওপরে চলে যেতে পারে। এই খাতের জন্য এটি একটি মারাত্মক ধাক্কা। কারণ, প্রথমবার শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতি কেজিতে দাম ০ দশমিক ৬০ থেকে ০ দশমিক ৭২ ডলার কমে গেছে। ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে দাম আরও কমে যেতে পারে।
চিংড়ি রপ্তানিকারক টোটা জগদীশ বিবিসিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের জন্য বড়দিন ও নববর্ষকে সামনে রেখে পণ্য কেনার এখনই সেরা সময় (পিক সিজন)। সে লক্ষ্যে এখানে চিংড়িচাষিরা কেবল তাঁদের চিংড়ি উৎপাদনের নতুন চক্র শুরু করেছেন। ট্রাম্পের শুল্ক এখানে বড় ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’
হ্যাচারির মালিকেরা বলছেন, শুল্কের কারণে তাঁরা চিংড়ির লার্ভা উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
প্রায় পাঁচ লাখ চিংড়িচাষির জীবিকায় এর সরাসরি আঘাত লাগতে পারে। আর অপ্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হতে পারে আরও ২৫ লাখ চাষি।