বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এ ট্রাইব্যুনালে গতকাল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের জেরা সম্পন্ন হয়। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীও বিচারকাজে অংশ নেন।
জেরায় সাবেক আইজিপি বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন বৈধ ছিল। বৈধ জেনেও সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বিরোধিতা তাঁকে করতে হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভিডিও দেখিয়ে ওই সময়ের ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেছিলেন, ‘গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা। একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না।’ তখন ইকবাল হোসাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সাবেক আইজিপি আরও বলেন, তাঁর বাবা দীর্ঘকাল সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তাঁর (মামুন) ছোট ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সমর্থক ছিলেন।