ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় ছাত্রশিবিরের গোপন কমিটি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্রদল, বাম সংগঠনের অনেক নেতা ও শিক্ষার্থী। শুক্রবার রাতে বিক্ষোভের সময় তাঁরা উপাচার্য ও প্রক্টরকে গোপন রাজনীতি বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা শিবিরকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ নিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আবদুল কাদের গতকাল দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘শিবির শিক্ষার্থীদের প্রতি দেওয়া কমিটমেন্ট ব্রেক (অঙ্গীকার ভাঙা) করেছে। তাদের আগের কমিটি বহাল রেখেছে এবং দেদার কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। হলে হলে শৃঙ্খলা কমিটি, ব্যাচ প্রতিনিধির নামে হলগুলোতে ছায়া প্রশাসন হিসেবে কাজ করেছে।’
কাদের তাঁর স্ট্যাটাসে আরও বলেন, ঢাবির হলে “গুপ্ত ও প্রকাশ্য রাজনীতি’ বন্ধ—প্রক্টরের এমন ঘোষণা আশার আলো দেখাবে না।’
সূর্য সেন হলে ছাত্রদলের নতুন কমিটির সদস্যসচিব আবিদুর রহমান বলেন, ‘শিবির দীর্ঘদিন ধরে হলে গোপনে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে শিক্ষার্থীদের আস্থা নষ্ট করেছে, যা গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী।’
তবে হলগুলোতে শিবিরের কোনো কমিটি নেই বলে প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ।
ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মেঘমল্লার বসু বলেন, হলগুলোতে প্রকাশ্যে কমিটি না থাকলে গুপ্ত রাজনীতির চর্চা বেড়ে যাবে। প্রক্টর বলেছেন যে গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ, কিন্তু গুপ্ত রাজনীতি তিনি কীভাবে নিষিদ্ধ করবেন? গুপ্ত রাজনীতির বৈশিষ্ট্যই তো হচ্ছে তা প্রকাশিত হবে না।