দেওয়ান মোর্শেদ কামাল আরও বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিকের কোনো সংযোগ নেই। এদের মধ্যে সমন্বয় জরুরি।
রংপুর অঞ্চলে নবজাতক ও মাতৃস্বাস্থ্যসেবা ভালো না হওয়ার ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহকে অন্যতম বড় বাধা বলে মনে করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এনসিআরএইচ) সোহেল হাবীব। তিনি বলেন, প্রশাসনের সহায়তায় এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যেও সমন্বয় থাকতে হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়ানো এবং গর্ভকালীন সেবা–সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডা. গওসুল আজিম চৌধুরী বলেন, পরিবহন সুবিধা এবং মায়েদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। কিশোরীদের বাল্যবিবাহ রোধের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার লাইন ডিরেক্টর জয়নাল আবেদীন বলেন, সরকারের অনেকগুলো প্রোগ্রাম রয়েছে, কিন্তু এরপরও ভালো সেবা পাওয়া যাচ্ছে কি না, সে প্রশ্ন সামনে আসে। সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনেক মানুষ আসেন সেবা নিতে। তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন। সরকারি–বেসরকারি পর্যায়ে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা প্রয়োজন, যেখানে সরকার জনবল সহায়তা দেবে এবং বেসরকারি খাত অবকাঠামোগত বিনিয়োগ করবে।