০১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু নির্বাচন: সুস্থ ধারায় ফেরার ভোট আজ

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৪ Time View

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নমূলক গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতির অবসান হয়েছে। হল দখল ও আধিপত্যের রাজনীতি এখন বন্ধ আছে। কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে যাওয়া এখন আর শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যাকে কেন্দ্র করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি সাজানোর চেষ্টা করছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আসা এই পরিবর্তনগুলো টেকসই রূপ পাবে, ছাত্ররাজনীতি সুস্থ ধারায় ফিরবে, আসবে গুণগত পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে—এসবই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা। এই প্রত্যাশা নিয়েই আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন।

ডাকসু প্রতিষ্ঠার ১০০ বছরের মাথায় এর ৩৮তম নির্বাচন আজ। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে বেশির ভাগ সময় ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে। বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদগুলো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক, আবৃত্তি, রচনা ও অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং নানা ধরনের প্রকাশনা বের করার কাজই বেশি করেছে। ষাটের দশকেও এসব হয়েছে।

তবে ষাটের দশকে শিক্ষা আন্দোলন, আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ডাকসু ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের রাজনৈতিক ভূমিকাই বড় হয়ে দেখা দেয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব তৈরিতে ডাকসুর ভূমিকা ছিল। যদিও স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে সবচেয়ে কম, মাত্র সাতবার।

ট্যাগঃ

ডাকসু নির্বাচন: সুস্থ ধারায় ফেরার ভোট আজ

সময়ঃ ১২:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নমূলক গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতির অবসান হয়েছে। হল দখল ও আধিপত্যের রাজনীতি এখন বন্ধ আছে। কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে যাওয়া এখন আর শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যাকে কেন্দ্র করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি সাজানোর চেষ্টা করছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আসা এই পরিবর্তনগুলো টেকসই রূপ পাবে, ছাত্ররাজনীতি সুস্থ ধারায় ফিরবে, আসবে গুণগত পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে—এসবই এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা। এই প্রত্যাশা নিয়েই আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন।

ডাকসু প্রতিষ্ঠার ১০০ বছরের মাথায় এর ৩৮তম নির্বাচন আজ। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে বেশির ভাগ সময় ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে। বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদগুলো গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক, আবৃত্তি, রচনা ও অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং নানা ধরনের প্রকাশনা বের করার কাজই বেশি করেছে। ষাটের দশকেও এসব হয়েছে।

তবে ষাটের দশকে শিক্ষা আন্দোলন, আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ডাকসু ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের রাজনৈতিক ভূমিকাই বড় হয়ে দেখা দেয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব তৈরিতে ডাকসুর ভূমিকা ছিল। যদিও স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে সবচেয়ে কম, মাত্র সাতবার।