রাজধানীর মিন্টো রোড ও হেয়ার রোডে মন্ত্রীদের জন্য বাংলো বাড়ি আছে ১৫টি। এ ছাড়া বেইলি রোডে ‘মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্ট’ নামে তিনটি ভবন রয়েছে। সেখানে ৩০ জন মন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা (ফ্ল্যাট) আছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন প্রায় ৫ হাজার বর্গফুট। এ ছাড়া গুলশানের একটি সরকারি বাংলো বাড়িতে বিভিন্ন সময় কোনো না কোনো মন্ত্রী থেকেছেন। সে হিসাবে ৪৬ জন মন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা আছে। এরপরও নতুন সরকারের মন্ত্রীদের জন্য কেন বাড়ি খুঁজতে হচ্ছে, সে প্রশ্ন উঠেছে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত ৩০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে এখন ১২টিতে থাকছেন সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা। বাকি ১৮টির মধ্যে ১৪টিতে থাকছেন দুজন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার চারজন বিশেষ সহকারী, চারজন নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের দুজন কমিশনারসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে কর্মকর্তারা।
যদিও বিচারপতি ও আমলাদের জন্য নির্ধারিত ফ্ল্যাট আছে। সেগুলোর অনেকগুলো খালি পড়ে আছে। ‘মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্ট’-এ বিচারপতিসহ উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের থাকার বিষয়টি বেআইনি নয় বলে জানিয়েছে সরকারি আবাসন পরিদপ্তর। কিন্তু সাবেক একজন বিচারপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেছেন, বিচারপতিরা মন্ত্রীদের (এখন উপদেষ্টা) সঙ্গে একই ভবনে, একই কমপ্লেক্সে থাকবেন, এটা অনৈতিক।
রাজধানীর কাকরাইলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য ২০ তলা আবাসিক ভবন রয়েছে। দেড় একর জায়গার ওপর নির্মিত ওই ভবনে মোট ৭৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সেখানে ২৪টি ফ্ল্যাট এখনো খালি।