রাসুলুল্লাহ (সা.) অসুস্থ হলে কিংবা অন্যকে অসুস্থ দেখলে কিছু দোয়া পড়তেন। তিনি বলতেন, “তোমরা রোগীদের কাছে গেলে বলো: ‘লা বাআসা তহূরুন ইনশাআল্লাহ।’” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৫৬)
অর্থাৎ, “কোনো ক্ষতি নেই, আল্লাহ চাইলে এ রোগ তোমার গুনাহ মাফের কারণ হবে।”
এছাড়াও তিনি রোগীদের জন্য আল্লাহর কাছে শিফা চাইতেন এবং আমাদেরও তা শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিসে বর্ণিত আরো কয়েকটি দোয়া এমন:
১. সাধারণ রোগমুক্তির দোয়া
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রব্বান-নাস, আঝহিবিল বা’স, ইশফি, আনতাশ শাফি, লা শিফা’আ ইল্লা শিফা’উক, শিফা’আন লা ইউঘাদিরু সাকামা।
অর্থ: হে মানুষের রব আল্লাহ, রোগ দূর করে দিন। আরোগ্য দান করুন। আপনি-ই প্রকৃত আরোগ্য দানকারী। আপনার শিফা ছাড়া অন্য কোনো শিফা নেই। এমন শিফা দান করুন, যা কোনো রোগ অবশিষ্ট রাখবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৭৪৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৯১)
২. রোগীর কাছে গিয়ে পড়ার দোয়া
উচ্চারণ: আসআলুল্লাহাল আযিম, রব্বাল আরশিল আযিম, আইয়াশফিয়াকা। (৭ বার পড়তে হবে)
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি—মহান আরশের রব তোমাকে আরোগ্য দান করুন। (সুনান আত-তিরমিজি, হাদিস: ২০৮৩)
৩. রোগীকে সান্ত্বনা দেওয়ার দোয়া
উচ্চারণ: লা বাআসা, তহূরুন ইনশাআল্লাহ।
অর্থ: কোনো ক্ষতি নেই। আল্লাহ চাইলে এটি তোমার গুনাহ থেকে পরিশুদ্ধির কারণ হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৫৬)