০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৮

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৫৭ Time View

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের জন্য আন্দোলনরত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

রোববার (১০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনিসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে উভয় পক্ষের পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন—মোস্তাফিজুর রহমান, রাফি, সিফাত, সুহান ও মুন্না।

রোববার বিকেলে শহরের নথুল্লাবাদ এলাকায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলন শেষে আন্দোলনকারী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সমঝোতা করতে গিয়ে রাতে আবার সংঘর্ষ বাঁধে।

পুলিশ এবং আহত সূত্রে জানা গেছে, রোববার স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ১৪তম দিন বিকেলে নথুল্লাবাদ এলাকায় দুই গ্রুপ শিক্ষার্থীর মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নথুল্লাবাদ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। তবে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে চলমান স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলন ক্ষতি হতে পারে বিধায় বিষয়টি সমঝোতার উদ্যোগ নেন আন্দোলনের নেতারা। সে অনুযায়ী রোববার রাতে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপ সমঝোতায় বসে।

এ সময় উভয় পক্ষ হাতাহাতি থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন রনিসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

যদিও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে দাবি করেছেন, “স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন বানচাল করতেই তাদের ওপর একটি পক্ষ হামলা করেছে। এর আগে একই কারণে রোববার দুপুরের দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েও হামলা করানো হয়েছে। ”

এ প্রসঙ্গে সরকারি ব্রজমোহন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ তাজুল ইসলামের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, নথুল্লাবাদে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএম কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করেনি। হাসপাতালে এবং ক্যাম্পাস এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।

এমএস/এমজেএফ

ট্যাগঃ

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৮

সময়ঃ ১২:১৫:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের জন্য আন্দোলনরত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

রোববার (১০ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনিসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে উভয় পক্ষের পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন—মোস্তাফিজুর রহমান, রাফি, সিফাত, সুহান ও মুন্না।

রোববার বিকেলে শহরের নথুল্লাবাদ এলাকায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলন শেষে আন্দোলনকারী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সমঝোতা করতে গিয়ে রাতে আবার সংঘর্ষ বাঁধে।

পুলিশ এবং আহত সূত্রে জানা গেছে, রোববার স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ১৪তম দিন বিকেলে নথুল্লাবাদ এলাকায় দুই গ্রুপ শিক্ষার্থীর মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নথুল্লাবাদ এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী। তবে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে চলমান স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার আন্দোলন ক্ষতি হতে পারে বিধায় বিষয়টি সমঝোতার উদ্যোগ নেন আন্দোলনের নেতারা। সে অনুযায়ী রোববার রাতে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপ সমঝোতায় বসে।

এ সময় উভয় পক্ষ হাতাহাতি থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন রনিসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

যদিও আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে দাবি করেছেন, “স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন বানচাল করতেই তাদের ওপর একটি পক্ষ হামলা করেছে। এর আগে একই কারণে রোববার দুপুরের দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েও হামলা করানো হয়েছে। ”

এ প্রসঙ্গে সরকারি ব্রজমোহন কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ তাজুল ইসলামের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, নথুল্লাবাদে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএম কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করেনি। হাসপাতালে এবং ক্যাম্পাস এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।

এমএস/এমজেএফ