০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৫৩ Time View

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর পদ্ধতিগত নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ। নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের তদন্তকারীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের প্রমাণ বিশ্লেষণের জন্য ২০১৮ সালে গঠিত স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থা (আইআইএমএম) জানিয়েছে, ভুক্তভোগীদের মারধর, বৈদ্যুতিক শক, শ্বাসরোধ এবং প্লায়ার দিয়ে নখ অপসারণের মতো অন্যান্য ধরণের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত এক বিবৃতিতে ব্যবস্থার প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ান বলেন, “আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যসহ উল্লেখযোগ্য প্রমাণ উন্মোচন করেছি, যা মিয়ানমারের আটক কেন্দ্রগুলোতে পদ্ধতিগত নির্যাতনের প্রমাণ দেয়।”

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের ফলে কখনো কখনো মৃত্যু ঘটে। নিখোঁজ বাবা-মায়ের প্রক্সি হিসেবে যেসব শিশুকে প্রায়শই অবৈধভাবে আটক রাখা হয়, তারা নির্যাতনের শিকার হয়।

সামরিক সমর্থিত সরকার কথিত অপরাধ এবং দেশে প্রবেশাধিকারের অনুরোধ সম্পর্কে জাতিসংঘের দুই ডজনেরও বেশি অনুরোধের জবাব দেয়নি।

সেনাবাহিনী  নৃশংসতা সংঘটিত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে এবং অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছে।

৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরের সময়কাল ধরে প্রতিবেদনটি এক হাজার ৩০০ টিরও বেশি উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে শত শত প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ফরেনসিক প্রমাণ, নথি এবং ছবি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকায় উচ্চপর্যায়ের কমান্ডারও রয়েছেন।

আইআইএমএমের একজন মুখপাত্র তাদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, তদন্ত চলছে এবং তারা ব্যক্তিদের সতর্ক করা এড়াতে চায়।

ট্যাগঃ

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

সময়ঃ ১২:০৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর পদ্ধতিগত নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ। নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘের তদন্তকারীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের প্রমাণ বিশ্লেষণের জন্য ২০১৮ সালে গঠিত স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থা (আইআইএমএম) জানিয়েছে, ভুক্তভোগীদের মারধর, বৈদ্যুতিক শক, শ্বাসরোধ এবং প্লায়ার দিয়ে নখ অপসারণের মতো অন্যান্য ধরণের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত এক বিবৃতিতে ব্যবস্থার প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ান বলেন, “আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যসহ উল্লেখযোগ্য প্রমাণ উন্মোচন করেছি, যা মিয়ানমারের আটক কেন্দ্রগুলোতে পদ্ধতিগত নির্যাতনের প্রমাণ দেয়।”

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্যাতনের ফলে কখনো কখনো মৃত্যু ঘটে। নিখোঁজ বাবা-মায়ের প্রক্সি হিসেবে যেসব শিশুকে প্রায়শই অবৈধভাবে আটক রাখা হয়, তারা নির্যাতনের শিকার হয়।

সামরিক সমর্থিত সরকার কথিত অপরাধ এবং দেশে প্রবেশাধিকারের অনুরোধ সম্পর্কে জাতিসংঘের দুই ডজনেরও বেশি অনুরোধের জবাব দেয়নি।

সেনাবাহিনী  নৃশংসতা সংঘটিত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে এবং অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছে।

৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরের সময়কাল ধরে প্রতিবেদনটি এক হাজার ৩০০ টিরও বেশি উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে শত শত প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ফরেনসিক প্রমাণ, নথি এবং ছবি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকায় উচ্চপর্যায়ের কমান্ডারও রয়েছেন।

আইআইএমএমের একজন মুখপাত্র তাদের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছেন, তদন্ত চলছে এবং তারা ব্যক্তিদের সতর্ক করা এড়াতে চায়।