০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা: খালাসপ্রাপ্ত ১০ আসামিকে আত্মসমর্পণের নিরদে

  • Voice24 Admin
  • সময়ঃ ১২:০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৫৩ Time View

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাইসহসহ খালাসপ্রাপ্ত ১০ আসামিকে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিচারপতি মো. সগির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ গত ২৩ জুলাই এই আদেশ দেন। সেইসঙ্গে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার নথিও তলবের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

খালাসপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে আমানুর রহমান খান রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা রয়েছেন। অন্যরা হলেন, সানোয়ার হোসেন সানু, নাসির উদ্দিন নূরু, বাবু, ফরিদ হোসেন, মাসুদুর রহমান, আলমগীর হোসেন চাঁন।

হাইকোর্টের এই আদেশ রবিবার (১১ আগস্ট) ডাকযোগে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এবং চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পৌঁছায়। তবে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিষয়টি জানা যায়। উভয় আদালতের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ফারুক আহমেদের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন বলেন, ‘‘গত ২ ফেব্রুয়ারি নিন্ম আদালতে মামলার রায় হয়। সেখানে দুইজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ হয়। মামলার মূল আসামি সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাইসহ ১০ আসামি বেকসুর খালাস পান। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিলের উদ্যোগ নেয়নি। তাই আমি নিজে উচ্চ আদালতে আপিলের উদ্যোগ নিয়েছি। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটরি অনুবিভাগ আমাকে গত ২৬ জুন ‘নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে’ ফৌজদারি রিভিশন মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়। অনুমোদন পাওয়ার পর হাইকোর্টে আপিল দায়ের করি।’’

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের বেঞ্চে আহমেদ মজিদ সুমনের আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি আ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম এবং বাদী পক্ষে ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ শুনানিতে অংশ নেন।

টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান বহুল আলোচিত ফারুক হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মোহাম্মদ আলী ও কবির হোসেন নামক দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মোহাম্মদ আলী ১০১৪ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফারুক হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দিতে এই হত্যার সঙ্গে আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তিনি পলাতক রয়েছেন। অপর দন্ডিত কবির হোসেন ২০১৪ সাল থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ট্যাগঃ

টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা: খালাসপ্রাপ্ত ১০ আসামিকে আত্মসমর্পণের নিরদে

সময়ঃ ১২:০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাইসহসহ খালাসপ্রাপ্ত ১০ আসামিকে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিচারপতি মো. সগির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ গত ২৩ জুলাই এই আদেশ দেন। সেইসঙ্গে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার নথিও তলবের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

খালাসপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে আমানুর রহমান খান রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা রয়েছেন। অন্যরা হলেন, সানোয়ার হোসেন সানু, নাসির উদ্দিন নূরু, বাবু, ফরিদ হোসেন, মাসুদুর রহমান, আলমগীর হোসেন চাঁন।

হাইকোর্টের এই আদেশ রবিবার (১১ আগস্ট) ডাকযোগে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এবং চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পৌঁছায়। তবে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিষয়টি জানা যায়। উভয় আদালতের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ফারুক আহমেদের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন বলেন, ‘‘গত ২ ফেব্রুয়ারি নিন্ম আদালতে মামলার রায় হয়। সেখানে দুইজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ হয়। মামলার মূল আসামি সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাইসহ ১০ আসামি বেকসুর খালাস পান। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিলের উদ্যোগ নেয়নি। তাই আমি নিজে উচ্চ আদালতে আপিলের উদ্যোগ নিয়েছি। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটরি অনুবিভাগ আমাকে গত ২৬ জুন ‘নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে’ ফৌজদারি রিভিশন মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়। অনুমোদন পাওয়ার পর হাইকোর্টে আপিল দায়ের করি।’’

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্টের বেঞ্চে আহমেদ মজিদ সুমনের আপিল আবেদনের শুনানি হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি আ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম এবং বাদী পক্ষে ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ শুনানিতে অংশ নেন।

টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান বহুল আলোচিত ফারুক হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মোহাম্মদ আলী ও কবির হোসেন নামক দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মোহাম্মদ আলী ১০১৪ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফারুক হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তার জবানবন্দিতে এই হত্যার সঙ্গে আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তিনি পলাতক রয়েছেন। অপর দন্ডিত কবির হোসেন ২০১৪ সাল থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।