বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে অডিটোরিয়াম থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনের সব গেট বন্ধ করে সভায় উপস্থিত সবাইকে আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা এবং পরে বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক ঘটনা, ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং ঘটনার সার্বিক তদন্তের লক্ষ্যে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়ার আদেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারকে সভাপতি এবং সংস্থাপন শাখা-২ এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মো. মঞ্জুর হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান, পূর্ত বিভাগ-১ এর অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌ. এনামুল হক।
আদেশে দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট ও সুপারিশ প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ আগস্ট বাকৃবির পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের চাকরির ক্ষেত্র বাড়ানো এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তায় কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি সংবলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর পাঠান। উপাচার্য বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে গত ১২ আগস্ট একটি কমিটি গঠন করে দেন। গঠিত কমিটির সুপারিশে গত ৩১ আগস্ট সকাল ১১টায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় ২৫১ শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপস্থাপন করা হলে শিক্ষা পরিষদ কমিটির সুপারিশ মোতাবেক তিনটি ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।