চট্টগ্রামের পটিয়ায় ব্যাংক অবরোধ কর্মসূচি প্রায় চার ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশের ছয়টি বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী রবিবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার প্রায় ২০টি ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। দুপুর ১টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পর এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর সব ব্যাংকে লেনদেন শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ব্যাংক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় পটিয়ায় সব ব্যাংকের শাখা কার্যালয়ে লেনদেনসহ ব্যাংকিং সেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা কোনও ব্যাংকের এটিএম বুথও গ্রাহকদের ব্যবহার করতে দেননি। তারা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর চাকরিচ্যুত হন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, কোনও কারণ ছাড়াই প্রায় সাত হাজার কর্মীকে এসব ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর অধিকাংশই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তাই তারা বেশ কিছুদিন ধরে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌর সদরের থানার মোড়ের একটি কার্যালয়ে আন্দোলনরতদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আসাদুজ্জামান, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান ও পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান। বৈঠকের পর দুপুর ১টার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া নজরুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ‘সকাল থেকে পটিয়ায় সবকটি ব্যাংক বন্ধ করে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আমরা আন্দোলন করেছি। পরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।’
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুজ্জামান বলেন, বৈঠকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন তারা। এখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সবকিছু চলছে।
জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা ব্যাংকের প্রধান ফটক খুলে দেওয়ার পর কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি আমরা। এরপর ব্যাংকের লেনদেন শুরু হয়।’